ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ২৭ মে, ২০১৭

প্রসংগ: রোযা পালন,,,,,,,,,,,


১) সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার ও যৌন ক্রিয়া থেকে বিরত থাকাকে সওম বা রোযা বলে।
২) প্রত্যেক বালেগ ও সুস্থ মস্তিষ্ক পুরুষ ও মহিলার রমাদান মাসে রোযা রাখা ফরয।
৩) ওজর ব্যতীত রোযা না রাখা কবীরা গুনাহ।
৪) রোযা রাখার ইচ্ছা করা বা সিদ্ধান্ত নেয়াকে রোযার নিয়ত বলে।
৫) নিয়ত হচ্ছে রাতে এই ইচ্ছা করা যে, আগামীকাল আমি রোযা রাখবো" অথবা সকালে এই ইচ্ছা করা যে, আজ আমি রোযা রাখছি"।
৬) রোযার জন্য সাহরী খাওয়া উত্তম। কিন্তু রোযা শুদ্ধ হওয়ার জন্য সাহরী খাওয়া শর্ত নয়। কেউ যদি সাহরী খাওয়ার সুযোগ না পান তবুও তাঁর রোযা হয়ে যাবে।
৭) কোন ব্যক্তি রমাদানে সফরে থাকলে ও রোযা রাখা কষ্টকর হলে রোযা না রাখা জায়েয। পরবর্তী সময়ে রোযার কাযা আদায় করতে হবে।
৮) হায়েয ও নিফাস অবস্থায় মহিলাদের রোযা রাখা জায়েয নেই। পরবর্তী সময়ে সেই রোযার কাযা আদায় করতে হবে।
৯) গর্ভবতী মহিলা রোযা রাখলে অসুস্থ হয়ে পড়লে রমাদানে রোযা না রাখা জায়েয। পরবর্তী সময়ে রোযার কাযা আদায় করতে হবে।
১০) দূগ্ধপোষ্য শিশু যদি মায়ের দুধ ছাড়া আর কিছু না খায় এবং মা রোযা রাখলে দূধের অভাবে শিশুর কষ্ট হয় তাহলে মা'র রোযা না রাখা জায়েয। পরবর্তী সময়ে সেই রোযার কাযা আদায় করতে হবে।
১১) অসুস্থ ব্যক্তি রোযা রাখলে অসুখ বেড়ে গিয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করার আশংকা থাকলে রমাদানে রোযা না রাখা জায়েয। সুস্থ হয়ে রোযার কাযা আদায় করতে হবে।
১২) এমন বৃদ্ধ ব্যক্তি যার পক্ষে রোযা রাখা সম্ভব নয় তিনি রোযা না রেখে ফিদ্ইয়া দেবেন।
১৩) ফিদ্ইয়া হচ্ছে কোন মিসকিনকে প্রতিটি রোযার জন্য দুই বেলা আহার করানো কিংবা খাদ্যদ্রব্য প্রদান।
১৪) সুস্থ-সক্ষম ব্যক্তি বিনা ওজরে রমাদানের রোযা না রাখলে তাঁকে প্রতিটি রোযার কাফ্ফারা স্বরুপ একধারে দুই মাস রোযা রাখতে হবে। এইভাবে রোযা আদায় করা কালে যদি মাঝখানে একটি রোযা বাদ পড়ে তাহলে আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে।
১৫) স্বামী-স্ত্রী রমাদানে দিনের বেলা "বিছানায় গেলে" উক্ত নিয়মে কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।
১৬) ওজর বশত ছুটে যাওয়া রোযা একটানা রাখা যায়, আবার ভেংগে ভেংগেও আদায় করা যায়।
১৭) কো্ন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির পক্ষ থেকে নামায কিংবা রোযা আদায় করতে পারবেন না।
১৮) অপবিত্র অবস্থায় সাহরী খাওয়া যায়, রোযাও হবে। তবে অপবিত্র অবস্থা থেকে যতো তাড়াতাড়ী সম্ভব পবিত্র হওয়া উচিত।
১৯) তারাবীহ রমাদানের সাথে সম্পর্কিত। রমাদানের পর শুধু রোযার কাযা আদায় করতে হবে, তারাবীহ নয়।
২০) অযু-গোসলের সময় গলার ভেতর পানি প্রবেশ করলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। রোযার কাযা আদায় করতে হবে।
২১) ঘুমের মধ্যে গোসল ফরয হলে রোযা নষ্ট হয় না।
২২) রোযাদার ভূলে কিছু খেয়ে ফেললে বা পান করলে রোযা নষ্ট হয় না।
২৩) ইনজেকশন নিলে রোযা নষ্ট হয় না।
২৪) রক্ত দান করলে রোযা নষ্ট হয় না।
২৫) শরীরের কোন স্থান থেকে রক্ত বেরুলে রোযা নষ্ট হয় না।
২৬) জিহবা দিয়ে কোন কিছুর স্বাদ-আস্বাদান করে থুথু ফেলে দিলে রোযা নষ্ট হয় না। কিন্তু বিনা প্রয়োজনে এইরুপ করা মাকরুহ।
২৭) রোযা অবস্থায় টুথপেস্ট ব্যবহার করা মাকরুহ।
২৮) বেলা ডুবার সাথে সাথে ইফতার করতে হবে।
২৯) আল্লাহর রাসুল (সা:) খেজুর কিংবা পানি দিয়ে ইফতার করতেন।
৩০) মুয়াজ্জিন ইফতার করে আযান দিবেন।
৩১) যেহেতু রেডিওতে সঠিক সময়ে আযান দেয়া হয় সেহেতু রেডিওর আযান শুনে ইফতার করা জায়েয।
৩২) ইফতারের সময় দূ'আা পড়া মুস্তাহাব, শর্ত নয়। দূ'আা না পড়ে ইফতার করলেও রোয়া হয়ে যাবে।
(সমস্ত রোযাদারের জন্য পড়া অতীব জরুরী)
সংগ্রহ ঃ মাসিক পৃথিবী

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন