বাংলাদেশ বার্তঃ রমজানের আনন্দ ও ঈমানি চেতনা জামাতে তারাবির নামাজেই সহজে লাভ করা যায়. বিশেষ ভাবে হারাম শরীফে কাবার সামনে শাইখ ছুদাইছ সুরাইম জুহানির পিছনে তারাবিহ পড়তে কি যে আনন্দ তা বলা সম্ভব নয়, মনে হয় যেন এই মাত্র কোরআন নাযিল হচ্ছে.
আলহামদুলিল্লাহ্ প্রতি বছর তাদের পিছনে নামাজ পড়ার সুযোগ আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন.
সৌদি আরবে প্রায় সকল মসজিদে তারাবিহ হয় ধীরে ধীরে তারতিল সহকারে সুমধুর কন্ঠে বুঝে শুনে যা শুনলে মন গলে যায়.ইমাম মুসল্লী সকলেই কোরান বুঝে তাই নামাজে কাদেঁ।
কিন্তু আফসোসের বিষয় আমেদের দেশের অধিকাংশ তারাবিহ তে এত তাড়াতাড়ি তেলাওয়াত ও নামাজ আদায় করে যাতে তাজবিদ আদায় হয়না , যার অর্থ বুঝে যায়না , রুকু সিজদা ঠিক মত আদায় হয়না , শুধু মাত্র বিশ রাকআত ও খতম উদ্দশ্য. ফলে এসকল তারাবিহের নামাজে ছওয়াব লাভের আশা করা যায়না, যেহেতু যে কোন আমল রাসুল (সা:) এর সুন্নাহ মোতাবিক না হলে তাতে কোন ছওয়াবের আশা করা যায়না.
তারাবির নামাজ ফরজ নহে তা সুন্নাত বা নফল নামাজ , তাই তা কম বেশী যাই পড়েন তা ধীর সহীর ভাবে বুঝে বুঝে আল্লাহর ভয়ে পড়বেন তা হলে সেই নামাজের মাধ্যমে সকল গুনাহ মাফ হবে ,
قال رسول الله صلى عليه وسلم من قام رمضان ايمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه ( صحيح البخاري)
আর যে ইমামের পিছনে তারাবিহের নামাজ আদায় করবেন তা পূর্ন করবেন তাহলে সারা রাত জেগে নফল নামাজের ছওয়াব পাওয়া যায় .
قال رسول الله صلي الله عليه وسلم من قام مع الامام حتي ينصرف كتب له قيام ليلة. ( ترمذي)
আল্লাহ তা আলা আমাদেরকে মনগড়া আমল থেকে বিরত রাখুন ও রাসুল সা এর সুন্নাত মোতাবিক আমলের তাওফিক দান করুন আমিন.
বিনীত মামুনুর রশীদ মাদানী.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন