বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ পেশায় পাহারাদার মোহাম্মদ ইয়াকুবের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট হালিমা জন্ম নেন ১৯৫৪ সালে। তার বয়স যখন ৮ বছর তখন পিতা দুনিয়া ত্যাগ করেন।
মা সংসার চালাতে হোটেলে ঝিয়ের কাজ নেন। স্কুলের ফাকে হালিমা মায়ের সাথে হোটেলে প্লেট গ্লাস ধোয়ার এবং ফরমায়েশ শোনার কাজ করতে থাকেন। কিন্তু লেখাপড়া থামাতে পারেনি তাকে তাদের এই দরিদ্রতা। আইন পড়া শেষের মাধ্যমে ক্ষুধার সাথে যুদ্ধে বিজয় লাভ করেন হালিমা।
আইন পেশা হতে ২০০১ সালে সিঙ্গাপুর পিপলস এ্যাকশন পার্টির কর্মী হিসাবে যোগদান করে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন তিনি। পরপর চারটি নির্বাচনে জয়লাভ করে নিজের অবস্থান জানান দেন সবাইকে খুব ভালভাবে।
হালিমা ইয়াকুব ২০১১ সালে সামাজিক উন্নয়ন ও যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন।
২০১৩ সালে সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পীকার মনোনিত হয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় চলে আসেন সিঙ্গাপুরের এই মুসলিম মহীয়সী নারী।
সংসদে স্পীকার হয়েই শেষ হোল না তার উত্থান। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য স্পীকারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন আর প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হয়ে বিশ্বের সর্বাধুনিক নগর রাস্ট্র সিঙ্গাপুরের প্রথম মুসলিম নারী প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহন করেন হালিমা বিনতে ইয়াকুব।
বর্তমান সিঙ্গাপুরের এই প্রেসিডেন্ট এক বক্তৃতায় বলেছিলেন-
"জীবনের মারাত্মক খারাপ সময়গুলোতে অনেকবার আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কিন্তু যখন ভেবেছি যে, আমি একজন মুসলিম তখন আবার ফিরে এসেছি সে সিদ্ধান্ত থেকে। আবার নতুন করে জীবন সাজাতে শুরু করেছি"
আমরা জীবন যুদ্ধে জয়ী এই মুসলিম বোনের আরো সমৃদ্ধি এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন