ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ২২ মে, ২০২০

সুষ্ঠু ত্রাণ বিতরণে বাঁশখালীর আলহাজ্ব সিরাজুল হক ফাউন্ডেশনের দৃষ্টান্ত: নইম কাদের

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত গোটা পৃথিবী। প্রায় দু মাস হতে চলল বাংলাদেশে লকডাউন চলছে। এমতাবস্থায় দেশের খেটেখাওয়া দরিদ্র শ্রেণির মানুষ যারপর নাই আর্থিক সংকটে পড়ে গেছেন।
সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানাভাবে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ব্যক্তি পর্যায়েও অনেকে এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু সুষ্ঠু ত্রাণ বিতরণ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারি ত্রাণ আত্মসাত করায় এবং ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ায় বহু জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত হয়েছেন।
এ কঠিন পরিস্থিতে এলাকা ভিত্তিক একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করে ত্রাণ কার্যক্রমে এগিয়ে এসেছে
আলহাজ্ব সিরাজুল হক ফাউন্ডশন। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জনাব হাসান নুর চৌধুরী সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করে বাঁশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নে মাঠ পর্যায়ে যাচাই বাচাই এর মাধ্যমে অতি গোপনে দরিদ্র ও অতি দরিদ্র দুটি তালিকা প্রণয়ণ করেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল প্রকৃত অভাবী মানুষের নাম যেন তালিকায় স্থান পায় এবং ত্রাণ গ্রহণকারীদের যেন ত্রাণের জন্য ধরনা দিতে না হয়।
এরপর তিনি কোন মাধ্যম না রেখে নিজে তদারকি করে প্রথম পর্যায়ে তালিকাভূক্ত ৫৫০টি পরিবারে চাউল, ডাল, তেল, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ইফ্তার সামগ্রীর প্যাকেট ঘরে ঘরে পৌঁছে দেন। একইভাবে দ্বীতিয় পর্যায়ে ঘরে ঘরে প্যাকেট পৌঁছে দেন ৬৫০টি পরিবারে।
প্রতিটি প্যাকেটে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিবারের জন্য প্রায় ১৫ দিনের খাদ্য সামগ্রী ছিল।
হাসান নুর চৌধুরী মূলত একজন প্রবাসী। পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রামের হাসনাইন ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস এর চেয়ারম্যান।
দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অনেক কষ্টার্জিত অর্থ নিয়ে তিনি তাঁর মরহুম পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডশনের মাধ্যমে এলাকার অভাবী দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

জনাব হাসান নুর চৌধুরীর বৃদ্ধা মা দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভোগছেন। তিনি নিজেও অসুস্থ। আল্লাহরপাক যেন তাঁদেরকে সুস্থতার সাথে দীর্ঘ নেক হায়াত দান করেন এবং মরহুম সিরাজুল হক সাহেবকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে কবুল করেন। আমিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন