ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৪

সাতক্ষীরায় শিবির কর্মী আবু হানিফ ছোটনকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ‘সরকার যৌথবাহিনী দিয়ে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডে মেতে উঠেছে’


সাতক্ষীরায় গতকাল বিকালে ডিবি কর্তৃক আটকের পর যৌথবাহিনীর হেফাজতে থাকা সংগঠনের কর্মী আবু হানিফ ছোটনকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। 
এক প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল আবদুল জব্বার বলেন, আওয়ামী জালিম সরকার যৌথবাহিনী দিয়ে বিচার বহির্ভূত হত্যাকা-ে মেতে উঠেছে। সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যৌথবাহিনী ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে আটকের পর ঠা-া মাথায় গুলি করে হত্যা করছে। শিবির কর্মী আবু হানিফ ছোটনকে একইভাবে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল ডিবি পুলিশ ছোটনকে সাতক্ষীরা সদর থানার পদ্ম শাখরা গ্রামের একটি চিংরির ঘের থেকে আটক করে নিয়ে যায়। ডিবি পুলিশ ছোটনকে যৌথবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। যৌথবাহিনী সারারাত ছোটনকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানোর পর ভোরে তাকে গুলি করে হত্যা করে। পরিকল্পিত হত্যার পর সরকার এখন ‘ছোটন গুলিবিনিময়ে নিহত’ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছোটনকে হত্যা ও হত্যার পর এ ধরণের অপপ্রচার চালানোই প্রমাণ করে, আওয়ামী সরকার নীতিভ্রষ্ট হয়ে কতটা নীচে নেমে গেছে। 
তিনি বলেন, ভোর ৫টার দিকে ভোমরা গ্রামে নিয়ে ছোটনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অথচ সে সময় সেই এলাকায় যৌথবাহিনীর কোন অভিযানই পরিচালিত হয়নি। রাতের আঁধারে এক কিশোরকে ঠা-া মাথায় খুন করার পর আবার নাটক সাজানোর এই অপপ্রয়াস এলাকাবাসী ও ছাত্রজনতাকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর চলমান তা-বে গত কয়েকদিনে ছোটনদেরসহ সেই গ্রামের বেশ কিছু বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। সরকার যে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে হিং¯্র হায়েনার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, তা যৌথবাহিনী পরিচালিত বর্বরতায় পরিস্কার বোঝা যায়। 
তিনি আরো বলেন, ছোটনসহ শিবির নেতাকর্মীদের হত্যা করে সরকার নিজের পায়েই কুড়াল মারছে। এর জন্য সরকারের কর্তাব্যক্তিদের অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। আমরা স্পষ্ট করেই বলছি- বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদসহ আওয়ামী নেতারা পরিস্কারভাবেই খুনের নির্দেশদাতা ও চলমান গণহত্যায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদদাতা। বাংলাদেশের মাটিতেই খুনী দলীয় মনোভাবাপন্ন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যসহ নির্দেশদাতাদের বিচার হবে। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী বলেই শত নির্যাতনের পরও ছাত্রশিবির ছাত্রজনতাকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারের ভূমিকা ছাত্রজনতাকে যে হারে ক্ষুব্ধ করছে তাতে যে কোন সময় ক্ষোভের বিষ্ফোরণ ঘটতে পারে। জনতার হাতে গণধোলাই খেতে শুরু করা আওয়ামী নেতাদের এখনই শিক্ষা না হলে তাদের জন্য ভয়াবহ পরিণতিই অপেক্ষা করছে। 
শিবির সেক্রেটারী জেনারেল অবিলম্বে ছোটন হত্যার সাথে জড়িত যৌথবাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে ও বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন