বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আবরার, নুরু, ইলিয়াস যার দিকেই তাকায়, তাকেই শিবির হিসেবে সন্দেহ করে। নিজ দলের কর্মীরা ও শিবিরের সাপ্লাই। মুক্তিযোদ্ধা চৌদ্দগুষ্ঠী প্রমানের পরেও জামাত শিবিরের গন্ধ খুজেঁ পায়। আজ স্বয়ং আওয়ামীলীগের আপাতত মস্তক শিবির আতঙ্ক এখন জলাতঙ্ক রোগের ন্যায় পরিনত হয়েছে।
স্কুল কলেজ, কাওমী আলিয়া, নাস্তিক বাম, ভারত এবং সরকার বিরুদ্ধী যেখানে যত আন্দোলন সব কিছুর হোতা জামাত শিবির। পুরো দেশের সব ভাল কাজের ক্রেডিট জামাত শিবিরকে দিয়ে দেওয়া হলো। ফেবুতে কেউ দেশের স্বার্থে কথা বল্লেই "তুই জামাত শিবির"। শাহবাগ, ঢাবি সব কিছুই জামাত, হিন্দু প্রধান বিচারপতি পযর্ন্ত জামায়াতের এজেন্ট হয়ে গেলো। এবি পার্টি আসলো শাহবাগে, বুঝালো জামায়াত আসতে না পারলেও আমরা এসেছি। মিডিয়ায় ও বক্তব্য দিয়েছি। কিন্তু তাদেরকে ও সস্তা ট্যাগ দিয়ে দিলেন।
"ইসলামী রাজনীতি ছিল হারাম"। আপনারা পৃষ্ঠপোষকতা করে যাদেরকে নামালেন তারাও তো জামায়াতের কর্মসূচি পালন করছে। পীরবাদী, কাদিয়ানীসহ ছোট খাটো মারামারিতে জামায়াতের এখন আর আগের মত সময় দিতে হয় না।
জামায়াতের আমীর এখন ঘরে বসে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বিবৃতি দেয়। সাঈদীকে কারাগারে রেখে তো দলীয় কর্মীদের বিরাগভাজন প্রধানমন্ত্রী নিজেই হয়েছেন। জনপ্রিয়তায় আজহারী যখন সাঈদী সাহেবের পর্যায় পৌছে গেল তাকেও বাহির করে দিলেন। কিন্তু এখন সে সফর করছে বিশ্ব।
নবী ইউসুফের কাহিনী শুনলে কান্না আসে। বহু "যদি" মাথায় আসে। আহকামুল হাকিমিন যদি এত সব পর্যায় না করতেন তাহলে তাকে ফিলিস্তিন থেকে এত কম বয়সী অবস্থায় মিশরের রাজা বানাতেন কিভাবে। ইউসুফ (আঃ) কিছুটা সাময়িক কষ্ট হলেও তাকে দিয়ে লক্ষ মানুষের দুর্ভিক্ষ এবং খোদায়ী শাষন এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেন।
রনিকে নিলেন কারগারে সে পেয়ে গেল কিছু পরশ পাথরের ছোয়া। জামায়াত ক্ষমতা থাকলে কি তুহিন আফরোজদেরকে তাদের রোকন সিলেবাসের বই পড়াতে পারতো। জামায়েত যাদের কাছে কোন দিন পৌছা সম্ভব ছিল না আপনারা তাদের কাছে জামায়েতকে পৌছিয়ে দিয়েছেন।
হাসবুনাল্লাহ শ্লোগান যাদের মুখে তাদের ক্ষতি করতে যাওয়া উচিত না। তাফহীমুল কুরআনকে জিহাদী বই বল্লেন আজ কুরআন বুঝার জন্য যুবুকদের মাঝে পেরেশানী তৈরী হয়ে গেছে আলহামদুলিল্লাহ্।
স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষকে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করে সার্বভৌমত্ব টিকে রাখা এবং সাধারণ মানুষের মাঝে আল কুরআনের ম্যাসেজ পৌছে দেওয়া ছিল জামায়েতের লক্ষ্য। আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে এই বুঝ মানুষের মাঝে পৌঁছে গেছে। জামায়াত চেয়েছিল খানকার লোকেরা ইকামতে দ্ধীনের কাজ করুক তাও আজ অনেকাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। ইন শা আল্লাহ আচিরেই আরও বেশি মানুষ আল্লাহর আইন এবং সৎ লোকের শাষনের শ্লোগান দিবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন