ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০

সাংবাদিকরা সব সময়ই থাকেন ঝুঁকির মুখে; ঝুঁকি নিয়েই পথচলা

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সাংবাদিকরা সব সময়ই থাকেন ঝুঁকির মুখে। বিশেষ করে জেলা উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের ঝুঁকির মাত্রাটা অনেক বেশি। একই জেলা বা উপজেলা শহরে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, চোরাকারবারী, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের সঙ্গে পাশাপাশি বসবাস করতে হয় তাদের। ছোট শহরে একে অপরকে ভালভাবেই চেনেন। 

ফলে কোন সাংবাদিক এসবের বিরুদ্ধে লিখলে তিনি হয়ে যান ওই চক্রের চক্ষুশূল। সাংবাদিককে শায়েস্তা করতে মাঠে নামেন তারা। প্রভাবশালী কেউ হলে মামলা ঠুকে দিয়ে সাংবাদিককে গ্রেফতার করান। সন্ত্রাসী হামলাতো ঘটছে প্রায়ই। এক্ষেত্রে অনেক সময়ই প্রশাসনিক সহযোগিতা পাওয়া যায় না। 

কারণ পুলিশ প্রশাসন আর সিভিল প্রশাসন উভয়ের সঙ্গেই সন্ত্রাসী চক্রের রয়েছে দহরম-মহরম। প্রায়ই দেখা যায় প্রশাসন আর সাংবাদিকরা মুখোমুখি হয়ে আছেন। এলাকার খুন, ধর্ষণ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির রিপোর্ট লিখলে পুলিশ প্রশাসন হয় ক্ষুব্ধ। আর সিভিল প্রশাসনের অনিয়মের কথা লিখলে তারাও হন ক্ষুব্ধ। 

ফলে দুকুলই হারান সাংবাদিকরা। বাকি থাকে রাজনৈতিক নেতাদের কথা। কিছু কিছু রাজনীতিক অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছেয়ে আছে। এসব দুর্নীতির রিপোর্ট লিখে অনেক সাংবাদিক নিগৃহীত হয়েছেন। রিপোর্ট ছেপে অনেক সাংবাদিক হয়েছেন লাঞ্ছিত। আবার অনেকেই হুমকির মুখে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রতিনিধির রোষানলে পড়ে একাধিক সাংবাদিক গ্রেফতার হয়েছেন। হয়েছেন হয়রানির শিকার। এক উপজেলা প্রতিনিধিকে হত্যা মামলার আসামি করে এলকাছাড়া করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে তিনি অতি সম্প্রতি জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের অনৈক্যও অনেকটা দায়ী। কোন সাংবাদিক এমন হয়রানির শিকার হলে সাংবাদিকদেরই একটি গ্রæপ গিয়ে তাল মেলান প্রভাবশালীর পক্ষে (এ বিষয়ে পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে)। 

এতসব নির্যাতন হয়রানির পরও সাংবাদিকরা থমকে দাঁড়ায়নি। অনেককে দেখা গেছে অস্ত্রের মুখে সততা, নিষ্ঠা আর সাহসিকতায় এগিয়ে গেছেন অনেক দূর। আবার অনেককে অকাতরে জীবন দিতে হয়েছে। এ তালিকায় মফস্বলের সাংবাদিকদের সংখ্যাই অধিক। এছাড়া অনেকেই সন্ত্রাসী হামলায় পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। কেউ কেউ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেও তারা সন্ত্রাসী হুমকিকে উল্টো ফিরিয়ে দিয়ে জানান দিয়েছেন, সাংবাদিকদের দমন করা সহজ নয়। বিশেষ করে দেশের সীমান্ত অঞ্চলের সাংবাদিকদের চোরাচালানিদের সঙ্গে আপস করে চলতে হয়। ব্যতিক্রম হলেই আসে আঘাত। প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার রোষানলে পড়ে অনেক সাংবাদিককে এলাকা ছাড়া হতে হয়েছে। এসব নেতা কোন ঘটনা ঘটলে সাংবাদিকদের কাছে খবর পাঠান, ঘটনাটি এভাবে ঘটেছে।

 কিন্তু সাংবাদিকরা জানেন ঘটনাটি কি? দু’একজন সাংবাদিক যে আপস করেন না তা কিন্তু নয়। যারা আপসহীন তাদেরই ঝামেলা পোহাতে হয়। আবার রিপোর্ট ছাপা হলে সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে কখনও কখনও ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়ে প্রতিবাদ ছাপতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু মফস্বল সাংবাদিক জানেন, প্রতিবাদ ছাপা তার এখতিয়ার নয়। ভয়ে জবুথুব হয়ে ওই সাংবাদিক ফোন করেন মফস্বল ডেস্কে। বলেন কাহিনী, তারপর প্রতিবাদ ছেপে রক্ষা পান। এই অবস্থায় মফস্বল সাংবাদিকরা সব সময় নিরাপত্তাহীন। বড় কথা, রিপোর্ট পক্ষে গেলে কেউ ধন্যবাদ দেন না। কিন্তু বিপক্ষে গেলেই যতসব সমস্যা। আগেই বলেছি, এ সমস্যা আরও তালগোল পাকান সাংবাদিকরা নিজেরাই। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, পুলিশের কিছু নামধারী দালাল সাংবাদিক আছেন, যাদের কারণে বিপদে পড়তে হয় সত্যিকারের সাংবাদিকদের।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন