ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৬

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের প্রতিবাদ

সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে কুরআন শরীফের পাতা ছেঁড়ার সাথে জামায়াত ও শিবিরকে সম্পৃক্ত করে পুলিশের পক্ষ থেকে যে সাজানো বক্তব্য দিয়ে ‘সব দোষ নন্দ ঘোষের’ উপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর জাফর সাদেক এক বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, ধর্মপ্রাণ ও ইসলামপ্রিয় সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় অত্যন্ত সংগোপনে বেশ কয়েকটি মসজিদে কুরআনের পাতা ছেঁড়ার মতো এক জঘন্য ও অভিনব কর্মকা- সংঘটিত হয়েছে। যার সাথে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জামায়াত ও শিবিরকে জড়ানো হচ্ছে। অথচ জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মীগণ কুরআনকে সর্বোচ্চ সম্মান দেয়ার লক্ষ্যে সারাজীবন তা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে যাচ্ছে। কুরআনের মর্যাদা রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কুরবানী দিচ্ছে। এতদসত্বেও বিভিন্ন মসজিদে কুরআন শরীফ ছেঁড়ার মাধ্যমে জামায়াত শিবির কুরআন অবমাননা করতে পারে তা কোন বিবেকবান মানুষ বিশ্বাস করবে না। এ ধরনের ঘৃণ্য অপকর্মের দায় জামায়াত ও শিবিরের উপর চাপিয়ে নেতাকর্মীদের ফাঁসানোর চেষ্টা স্বার্থান্বেষী মহলের জঘন্য ষড়যন্ত্রের নীল-নকশা। কুরআন ছেঁড়ার এ অপকর্মে জামায়াত ও শিবিরের কোন রাজনৈতিক ও আদর্শিক স্বার্থ নেই। কয়েকদিন পূর্বে রাতে হঠাৎ অভিযান চালিয়ে ঢেমশা থেকে কয়েকজন শিবির কর্মী গ্রেফতার করে পাঁচদিন পর্যন্ত থানায় আটক করে রেখে অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে তাদের থেকে সাজানো স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়। অথচ এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ও হীন কর্মকান্ডের সাথে জামায়াত ও শিবিরের দূরতম সম্পর্ক নেই। এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আমরা এ ধরনের মিথ্যা ও নিবর্তনমূলক মামলা দায়ের করে নিরীহ লোকজনকে হয়রানি করা থেকে বিরত থাকার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। সাথে সাথে কুরআন ছেঁড়ার এ জঘন্য ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৬

নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও খাদ্য মন্ত্রীর কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্যে জামায়াতের নিন্দা

নৌ-পরিবহন মন্ত্রী জনাব শাহজাহান খান এবং খাদ্য মন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলামকওমী মাদ্রাসার শিক্ষা ছাত্রদের সম্পর্কেযে কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
 শনিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, সরকারের নৌ-পরিবহন মন্ত্রী জনাব শাহজাহান খান এবং খাদ্য মন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা ছাত্রদের সম্পর্কে যে কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তাতে জাতির সামনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, তারা দেশ থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা তথা ইসলামী শিক্ষা ধ্বংস করতে চায়। তাদের দুজনের বক্তব্য একই সূত্রে গাঁথা।
 নৌ-পরিবহন মন্ত্রী জনাব শাহজাহান খান গত ২২ জানুয়ারী রাজধানী ঢাকা মহানগরীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওরা (মাদ্রাসা ছাত্ররা) বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। ওরা বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সাহিত্য সবকিছু ধ্বংস করে ফেলতে চায় মর্মে যে অন্যায় এবং অযৌক্তিক বক্তব্য রেখেছেন তা হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কওমী মাদ্রাসা ছাত্রদের লক্ষ্য করে ধরনের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য রাখার কোন যুক্তি নেই। 
খাদ্য মন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম গত ২১ জানুয়ারী চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে আয়োজিত এক সম্মেলনে কওমী মাদ্রাসাগুলোকে লক্ষ্য করে কওমী মাদ্রাসা নামধারী জঙ্গী আস্তানাগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে। ব্যাঙের ছাতার মত বাড়ছে কওমী মাদ্রাসা। মর্মে যে অযৌক্তিক আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন তাতে দেশের ওলামায়ে কেরাম এবং ইসলাম প্রিয় জনগণ বিক্ষুব্ধ মর্মাহত।
 দেশের জনগণ মনে করে আমাদের দেশ থেকে ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি সাহিত্য ধ্বংস করার অসৎ উদ্দেশ্যেই নৌ-পরিবহন মন্ত্রী খাদ্য মন্ত্রী কওমী মাদ্রাসার ছাত্র এবং মাদ্রাসা শিক্ষা সম্পর্কে কটাক্ষপূর্ণ অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। তাদের অন্যায় মন্তব্যে দেশের জনগণের নিকট স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, তারা দেশের জনগণের ঈমান-আক্বিদা ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের ইসলামী শিক্ষা তথা মাদ্রাসা শিক্ষাবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশের পীর-মাশায়েখ, ওলামায়ে কেরাম জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মাদ্রাসা শিক্ষা তথা ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি সাহিত্যের বিরুদ্ধে যারা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদেরকে অপপ্রচার চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।



এমএম