ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৬

সর্বোচ্চ ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে কাঙ্খিত মঞ্জিলে নিয়ে যেতে হবে -নব নির্বাচিত শিবির সভাপতি


বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নব নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী অপশাসনে সারাদেশ আজ কারাগারে পরিণত হয়েছে। নতুন বছরে কারারুদ্ধ দেশবাসীকে মুক্ত করার লড়াই চলবে। যৌথবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও দলীয় সন্ত্রাসী দিয়ে সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের রক্তে রঞ্জিত করা হচ্ছে। কিন্তু ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা জীবন দিয়েছে, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে কিন্তু বাতিলের সামনে মাথা নত করেনি।
তিনি ছাত্রশিবিরের ২০১৬ সালের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচনত্তর বৈঠকে এসব কথা বলেন। এসময় সদ্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার, নব মনোনিত সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সেলিম উদ্দিন, মতিউর রহমান আকন্দ, নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং কার্যকরী পরিষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিবির সভাপতি বলেন, আজকের কার্যকরী পরিষদের সমাপনী অধিবেশন যখন করছি তখন কারা প্রকোষ্টে দিন যাপন করছেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, মো. দেলাওয়ার হোসেনসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী। যাদের অনেকের উপর গ্রেফতারের পর থেকেই অমানুসিক নির্যাতন করা হয়েছে। জালিম সরকার মনে করেছিল ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের আটকে রেখে এই সংগঠনের কাজকে দমাতে পারবে। কিন্তু তাদের সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ছাত্রশিবিরের লাখো নেতাকর্মী সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।
সদ্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, ত্যাগ কুরবানী ইসলামী আন্দোলনে খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে যে নজির স্থাপন করেছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সুচনা করেছে। শাহাদাতের তামান্না বুকে ধারণ করে ইসলামী আন্দোলনকে কাঙ্খিত মঞ্জিলে নিয়ে যেতে হবে। একই সাথে ঈমানী মজবুতি নিয়ে ময়দানে অতীতের মত জোরালো ভূমিকা পালন করে যেতে হবে।
সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মতিউর রহমান আকন্দ শাহাদাতবরণকারী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের কথা স্মরণ করে বলেন, ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়ে, শত নির্যাতন সয়ে অপশাসন বিরোধী আন্দোলনে মাইলষ্টোন রচনা করেছেন। শহীদ ভাইয়েরা যে প্রেরণায় আমাদের উজ্জীবিত করে গেছেন, সেই প্রেরণাকে বুকে নিয়ে আমরা সামনের সকল বাঁধা মাড়িয়ে যাব। ইসলাম ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে ছাত্রশিবিরই বাংলাদেশকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিবে। তরুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্রশিবিরই জাতির মুক্তি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে। শত বাধা আর নির্যাতনের পরও তরুন প্রজন্ম ছাত্রশিবিরকেই মেধা বিকাশ, চরিত্র গঠন ও নেতৃত্বের জন্য গাইডলাইন হিসেবে গ্রহণ করেছে।
সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, অসংখ্য ভাইয়ের শাহাদাতে আজ বাংলাদেশের যমীন কথা বলতে শুরু করেছে। ছাত্রশিবির আজ বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারে পৌছে গেছে। অগণিত ভাইয়েরা নিজের জীবন দিয়ে ছাত্রশিবিরকে যে উচ্চতায় তুলে ধরেছেন, ত্যাগের বিনিময়েই নেতাকর্মীদের সে অবস্থান ধরে রাখতে হবে। আদর্শের দাওয়াত দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। নিত্য নতুন কৌশল আর প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে কর্মসূচি পালন করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন