বাংলাদেশ বার্তাঃ২৬ এপ্রিল,২০১৮: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এ মালিকানা বদলের পর আর্থিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে যে খবর ছাপা হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর। গ্রাহকের আস্থায় চিড় ধরার বিষয়টি অনুমান নির্ভর এবং সংকট সৃষ্টির বিষয়টিও কল্পনা প্রসূত। এ ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকের আস্থা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল সময়ের তুলনায় ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল সময়ে আমানত বৃদ্ধির হার ছয় গুণেরও বেশি। এর মাধ্যমে ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বৃদ্ধির বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ব্যাংকের আমানত বৃদ্ধির হার ছিল ১০% যা ২০১৮ সালের একই সময়ে ১২% দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে দেশের স্থিতিশীলতা ও উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশ থাকায় ব্যাংকিং খাতের বিনিয়োগ বেড়েছে। এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় দেশের মোট বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপরীতে ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ বৃদ্ধি সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে।
এছাড়া ২০১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত যে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে এর একটি বড় অংশই হলো এই সময়ে বিগত বছরের বিভিন্ন শিল্প যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানীর মূল্য পরিশোধ জনিত কারণে যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সার আমদানী এবং বিভিন্ন কৃষিভিত্তিক পন্য সংরক্ষণের মওসুমের কারণেও প্রতিবছর এসময় বিনিয়োগ বেড়ে যায় যা স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি। দেশের বৃহত্তম ব্যাংক হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আমদানী নির্ভর বিনিয়োগ রয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানী উত্তর বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে। বিনিয়োগের হার সমন্বয় করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া সময়সীমার মধ্যেই ব্যাংকের আইডিআর সমন্বয় করার কার্যকর পরিকল্পনা বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করা হয়েছে।
২০১৮ সালে ব্যাংকের গ্রাহকসংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ২ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি নতুন হিসাব খোলা হয়েছে। আরো অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে ব্যাংকের সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে এযাবত ৯৫টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট চালু হয়েছে এবং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। গ্রাহকদের আস্থা হারানোর মত কোন ঘটনা এ ব্যাংকে ঘটেনি এবং ব্যাংকে কোন কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনাও হয়নি। ব্যাংকের বোর্ডে দ্বন্দের বিষয়টি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। ব্যাংকে সুশাসন বলবৎ রয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সকল নিয়ম কানুন পরিপালন করেই ব্যাংক পরিচালিত হচ্ছে সুতরাং ব্যাংক কোন বিশেষ গ্রুপের কাছে জিম্মি হওয়ার বিষয়টি অবান্তর।
ব্যাংকে কোন তারল্য সংকট নেই এবং বিনিয়োগ কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালু রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের ইসলামী বিনিয়োগ বন্ডে ইসলামী ব্যাংকের পর্যাপ্ত তারল্য সংরক্ষিত আছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন