ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন : প্রফেসর আসিফ নজরুলের বিশ্লেষণ


বাংলাদেশ বার্তাঃ  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সরকারের অন্যায়ের সমালোচকদের আর বিরোধী মতের কণ্ঠ রোধ করার জন্য করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এর মাধ্যমে বিরোধীদের হয়রানি আর আতঙ্কে রাখাই তাদের উদ্দেশ্য।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ে নয়া দিগন্তকে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে প্রভাবিত করার কাজেও ব্যবহার হতে পারে এ আইন। এ আইন থাকলে গণতন্ত্র, স্বাধীন মত প্রকাশ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সবই বিপন্ন হবে।

প্রফেসর আসিফ নজরুল বলেন, সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ বেশ কিছু ঘটনায় মানুষের যে ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে তাতে সরকারের মনে ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। এসব আন্দোলন দ্রুত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পেছনে ভূমিকা পালন করেছে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। তাই এ ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ব্যবহার করতে পারবে সরকার। আর সে কারণেই সরকার চায় এ ধরনের আইন থাকুক।

তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ৫৭ ধারার অপব্যবহারে মানুষের মনে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সেজন্য আগামীতেও সরকারের সব সমালোচনা বন্ধ এবং ভিন্ন মত দমনে সরকারের হাতে এ ধরনের আইন থাকা এবং এর অপপ্রয়োগ খুবই কাজে দেবে। বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের হাতে যে অবাধ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তাতে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে শুধু সমালোচনা বন্ধ নয় বরং বিরোধীদের দমনে সরকার পুলিশকেও ব্যবহার করতে পারবে। এ আইন বিরোধী রাজনীতিকদের মনেও আতঙ্ক সৃষ্টি করবে।

তিনি বলেন, সরকার অনবরত বিরোধী রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে জঘন্য সব কথা বলছে, অপপ্রচার চালাচ্ছে কিন্তু তাতে তাদের কারোর কিছু হয় না। কেউ তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করে না। অথচ আমরা দেখেছি কিভাবে ৫৭ ধারায় সাধারণ মানুষকেও হয়রানি করা হয়েছে অতীতে। সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কোনো শব্দ করলে কিভাবে অতি উৎসাহী হয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার আর হয়রানি করে।

এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, সরকার অনেক আশ্বাস দিলো ৫৭ ধারা থাকবে না। কিন্তু এখন দেখা গেল এটি তার চেয়েও ভয়ঙ্কর। ৫৭ ধারাকে আরো শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে নতুন আইনে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারাকে সংসদে সদ্য পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮, ২৯, ৩১ ধারায় ভাগ করে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এটি পরিষ্কার যে, সরকার তার সব সমালোচক আর ভিন্ন মত পোষণকারীদের আতঙ্কে রেখে দেশকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার দিকে নিয়ে যেতে চায়।

আসিফ নজরুল বলেন, এ আইন কার্যকর হলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বলতে আর কিছু থাকবে না। সরকারি কোনো অফিস থেকে কেউ কি সাংবাদিককে বলবে আসেন আমার অফিসে এই এই দুর্নীতি হয় এবং এরপর কি একজন সাংবাদিক রিপোর্ট করবেন? এটি তো হাস্যকর। এভাবে সাংবাদিকতা করতে হলে তো ব্যাংকের লুটপাট, আর সোনার মেডেলের জালিয়াতির যে রিপোর্ট হয়েছে তা করা সম্ভব হতো না এবং তাদের জেল হওয়ার কথা এ আইন অনুযায়ী।

তিনি বলেন, নতুন আইনটির ৩২ ধারায় ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অফিসিয়াল সিক্রেটেস অ্যাক্টের অধীনে অপরাধগুলো করলে শাস্তির বিধান করা হয়েছে। অফিসিয়াল সিক্রেটেস অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারা অনুসারে যেকোনো সরকারি অফিসকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার আওতায় আনা যায়। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমনকি অফিসিয়াল সিক্রেটেস অ্যাক্টের চেয়েও কঠোর।

আসিফ নজরুল বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এখনই এ আইন ঠেকাতে না পারলে আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, স্বাধীন গণমাধ্যমের পথ চলা বন্ধ হয়ে যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে গণতন্ত্র।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন