ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০২০

জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৭ মার্চ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম দীর্ঘ ৯ বছর যাবত সরকারের কারাগারে বন্দি। সরকার ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে গ্রেফতার করে। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। ডাণ্ডা বেড়ি পরিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি ২০১২ সালে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেন। এরপর তিনি বাসায় থাকাবস্থায় সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার বাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে। বাড়ির চতুর্দিকে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে এক ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি করা হয়। এরপর তাকে পুনরায় গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সরকারের দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল দায়ের করেন। মাননীয় আপীল বিভাগ বিভক্তি রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ১৫ মার্চ পূর্ণাঙ্গ লিখিত রায় প্রকাশিত হয়।

আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে, সরকারের দলীয় লোকদের মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। যে সব সাক্ষীর বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে তাকে সাজা দেয়া হলো, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। একজন সাক্ষী বলেছেন, তিনি ৭ কিমি দূর থেকে ঘটনা দেখেছেন। অপর সাক্ষী বলেছেন, তিনি ৩ কিমি দূর থেকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। একজন সাক্ষী জনাব আজহার সাহেবের ক্লাসমেট দাবি করে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ঐ সাক্ষী ১৯৭০ সালে কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হন। আর এটিএম আজহারুল ইসলাম তার ২ বছর পূর্বে অর্থাৎ ১৯৬৮ সালে কারমাইকেল কলেজ ত্যাগ করেন। এ সব সাক্ষীর বক্তব্য থেকে দেশ, জাতি ও বিশ্ববাসীর প্রশ্ন, সরকার দলীয় এ সব লোকদের মিথ্যা সাক্ষ্য বিশ্বাস করার কোনো যৌক্তিকতা আছে কিনা?

মূলত সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য জামায়াত নেতৃবৃন্দকে একে একে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করছে। তারই সর্বশেষ শিকার জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম। জনাব আজহারুল ইসলাম একজন আইন অনুগত নাগরিক। তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দায়ের করবেন। আদালত ন্যায় বিচার নিশ্চিত করলে তার রিভিউ গৃহীত হবে এবং তিনি বেকসুর খালাস পাবেন ইনশাআল্লাহ।

আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ করে জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে তাকে হত্যার সরকারি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, গণতান্ত্রিক দেশ ও শান্তিকামী বিশ্ববাসী এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন