ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫

সংলাপ চাহিয়া লজ্জা দিবেন না’ -ডক্টর তুহিন মালিক


এই ভূমে বেশিরভাগ সংকটের মীমাংসাই হয়েছে রাজপথে। রক্তাক্ত সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের নামে উত্থাপিত দাবি আদায় হয়েছে। জনগণকে মূল্য চুকাতে হয়েছে অপরিসীম। এর বিনিময়ে তারা কি পেয়েছেন তা অবশ্য বলা দায়।
ক’দিন আগেই নূর হোসেন দিবস পালন হয়ে গেল। নূর হোসেন যে স্বৈরাচারকে হটানোর জন্য জীবন দিলেন তিনি এখন আবার ক্ষমতার অংশীদার। স্বৈরাচার নিপাত যায়নি, গণতন্ত্রও মুক্তি পায়নি। যদিও নূর হোসেনের ভাই সেদিন বলছিলেন, কারও শাস্তি হলে, বিচার হলে আর কি হয়? নূর হোসেন চেয়েছিলেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র আসুক, নূর হোসেন চেয়েছিলেন বাংলাদেশের মানুষ যেন সুখে থাকে।
যে গণতন্ত্র নূর হোসেন চেয়েছিলেন সে গণতন্ত্র আজ কোথায়? গণতন্ত্রের প্রাথমিক পাঠ অবাধ ভোটাধিকার। নাগরিকরা তা আর খুঁজে পাচ্ছেন না। কিন্তু আজ টিভি পর্দায় আবির্ভাব ঘটেছে এক নতুন দলের। সারা পৃথিবীর সব জ্ঞান তাদের মাথায়। ভিন্নমতের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধের মতো বিষয়টিও তাদের মধ্যে নেই। তারা নিজেরাই নিজেদের প্রশংসা করে। নিজেরাই নিজেদের পুরস্কৃত করে। তারা প্রতিদিন একবার করে ঘোষণা দেন, গণমাধ্যম স্বাধীন। সংবিধানের মহত্ত প্রচার করেন তারা। সংবিধানের অন্যতম মূল চেতনা যে গণতন্ত্র সে কথা অবশ্য তারা চেপে যান।
শুরু করেছিলাম সংলাপ প্রসঙ্গে। এ কথা সত্য, বাংলাদেশে সংলাপে তেমন কোন সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই বলে পর্দার আড়ালে সমঝোতা যে হয়নি তা নয়। অনেক সংকটের সময়েই সমঝোতার ক্ষেত্রে পর্দার আড়ালে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে দুই নেত্রীকে কাছাকাছি আনার ক্ষেত্রে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদের বাসায় দুই নেত্রীর সে বৈঠক আজও অনেকে স্মরণ করেন।
তবে প্রয়াত ফয়েজ আহমেদের মতো মানুষ হয়তো বাংলাদেশে এখন আর নেই। থাকলেও ক্রমশ ভয় দেখিয়ে/ চরিত্রে কালিমা দিয়ে তাদের দমিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান কিছুদিন আগে ঢাকায় এক আলোচনায় বলেছেন, পাকিস্তান আমলে তিনি যখন কোন কিছু লিখতেন, নির্ভার হয়ে লিখতেন। কিন্তু এখন কোন কিছু লিখতে হলে তাকে বারবার ভাবতে হয়। রেহমান সোবহানের এ বক্তব্যের সঙ্গে অনেকেই হয়তো একমত হবেন; আবার অনেকেই হয়তো দ্বিমত পোষণ করবেন। সবচেয়ে বেশি দ্বিমত পোষণ করবেন তারা, যারা সবকিছু বলতে পারেন এবং লিখতে পারেন।
তবে বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে যে সংলাপ সংলাপ চলছে তার একটি নতুন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিএনপিই সংলাপের প্রস্তাব দিচ্ছে। আর সরকার তা প্রত্যাখ্যান করছে। অথচ দেশে দেশে দেখা যায়, সরকারই সংলাপ প্রস্তাব দিয়ে থাকে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। যদিও বিএনপি নেত্রীর তখন আর গণভবনে যাওয়া হয়নি। তবে জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত তারানকোর উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংলাপ হয়েছিল। সে সংলাপ অবশ্য কোন ফল বয়ে আনেনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি পরিষ্কার ভাষাতেই বলেছেন, খুনির সঙ্গে সংলাপ নয়। যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, সংলাপের দরজা সব সময় খোলা রাখতে হবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র এখন এক ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে থাকলেও পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ক্ষমতাই যেখানে প্রধান এজেন্ডা সেখানে সংলাপ হয় না এবং সংলাপ হলেও তা কোন ফল বয়ে আনে না। অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ভাষায় বলতে হয়, আমাদের সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন