বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের দেশেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রচারিত হওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই এই ক্রান্তিকালে আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ তালাশের মাধ্যমেই সমূহ বিপদ থেকে পরিত্রাণ লাভ করা সম্ভব। মূলত বিপদ-আপদ আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে আর তিনিই তা থেকে পরিত্রাণ দান করেন। পবিত্র কালামে হাকীমের সুরা আল বাকারার ১৫৫ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, ‘যখন মুমিরা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।’ এমতাবস্থায় দেশ ও জাতিকে বিপর্যয়মুক্ত করার জন্য আল্লাহর তায়ালার অনুগত হয়ে তার সাহায্য কামনার কোন বিকল্প নেই। তিনি করোনা ভাইরাস সহ দেশ ও জাতিকে সকল প্রকার দুর্যোগ থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য এক দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্য এসব কথা বলেন। দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত, জামায়াত নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোতাহার হোসেন ও ছাত্রনেতা আবু নাহিদ প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, যে কোন রোগব্যাধি থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখার জন্য কতগুলো সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। করোনা ভাইরাস থেকেও নিরাপদ থাকার জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ ইতোমধ্যে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এসব সতর্কতামূলক পরামর্শগুলো মেনে চললে এই ভাইরাসের অনিষ্ট থেকে প্রায় মুক্ত থাকা সম্ভব। সেগুলো হচ্ছে, হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা, ঠাণ্ডা লাগা বা কাশি হওয়া রোগীদের সংস্পর্শে আসার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা, জীবন্ত বন্য অথবা ফার্মের গবাদি পশুর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা, সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে খুব ভালোভাবে হাত পরিষ্কার রাখা, গোস্ত ও ডিম খাবার সময় ভালোভাবে সিদ্ধ করা, প্রচুর পরিমাণ ফলের রস ও পানি পান করা এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করা। তিনি এসব বিষয়ে গণসচেতনা সৃষ্টির জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, কোন ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধি দেখা দিলে রাসুল (সা.) আল্লাহর কাছে ধরণা দিতেন ও দোয়া করতেন-হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট শ্বেত, উন্মাদনা, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার দুরারোগ্য ব্যাধি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবু দাউদ-১৫৫৪) তাই করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে অন্যায়, অসৎ ও গর্হিত কাজ থেকে মুক্ত থেকে মহান আল্লাহর কাছে বেশি দোয়া করতে হবে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বাজায় রেখে যথাযথভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও নফল রোজা রাখতে হবে। তাহলেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে এই শাস্তি থেকে মুক্তি দান করবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন