ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

নাম পরিবর্তনের হিড়িক, রাতের ঢাকা ও ২৮ জন হিজাবধারী নারীর গ্রেফতার


গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ : যশোরের মরহুম মোহাম্মদ হোসেনের সাথে আমার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠতা ছিল। ষাটের দশকের প্রথম দিক থেকে আশির দশক পর্যন্ত আমাদের এই ঘনিষ্ঠতা বজায় ছিল। জনাব মোহাম্মদ হোসেন সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ ও ইসলামী আদর্শের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। এক সময়ে তিনি বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ মালিক সমিতির সভাপতিও ছিলেন। তিনি ও তার পরিবার পশ্চিমবাংলার অধিবাসী ছিলেন এবং ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হিজরত করেন এবং যশোরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বেশিরভাগই তার সাথে পাকিস্তান চলে এসেছিলেন আবার অনেকে ভারতে থেকেও গিয়েছিলেন। যারা এসেছিলেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ ঢাকাতেও আবাস গড়ে তুলেছিলেন। তার এক ভায়রা সেলিমউদ্দিন মল্লিক পুরাতন ঢাকার নবাবপুর রোডের কাছে বনগ্রামে থাকতেন। মিনার্ভা ফার্মেসির মালিক ছিলেন। ঐ পরিবারের সাথেও সাংগঠনিক সম্পর্কের আলোকে আমি সুপরিচিত ছিলাম এবং তাদের বাড়িতে আমার আনাগোনা ছিল। তাদের পারিবারিক অনুষ্ঠানেও আমাকে দাওয়াত দেয়া হতো। ১৯৬৮ সালে তাদের কিছু ভারতীয় মেহমান ঢাকায় এসেছিলেন এর মধ্যে মোহাম্মদ হোসেন স্যারের তিন ভাগ্নেও ছিলেন। আমার সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছিল। একজনের নাম ছিল গোপাল, আরেকজনের তুষার এবং অন্যজনের মৃণাল। তিনজনই যুবক এবং কলেজে পড়াশোনা করতো এবং পাস করে সীমান্ত পার হয়ে এই দেশে কখন আসবে তার স্বপ্ন দেখতো। আমি তাদের হিন্দু নাম দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম যে, সে দেশে মুসলমান নাম নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা অত্যন্ত কঠিন এবং এ প্রেক্ষিতে তাদের নিজেদের এবং পিতার নাম পরিবর্তন ও হিন্দু নাম ধারণ করে শিক্ষায়তনে ভর্তি হতে হয়। নাম পরিবর্তনের সাথে আচার-আচরণ ও জীবনপ্রণালী পরিবর্তন যে অপরিহার্য ছিল সে দিন তাদের কাছে শুনে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিলাম। ৪৮ বছর পর গত বৃহস্পতিবার সহযোগী একটি দৈনিকে ‘নাম পরিবর্তনের হিড়িক’ শিরোনামে একটি সংবাদ পড়ে কথাটি মনে পড়লো। এতে বলা হয়েছে যে, ভারতের অভ্যন্তরে থাকা সাবেক ছিটমহলগুলো বাংলাদেশের ভাগে পড়ায় সেখানকার বাসিন্দাদের বিশেষ করে শিশু, কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী এবং মধ্যবয়সী পুরুষ মহিলাদের হিন্দু নাম পরিবর্তন করে মুসলিম নাম ধারণ করার হিড়িক পড়ে গেছে। পারিবারিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে  এবং কোর্টে এফিডেভিট করে তারা নাম পরিবর্তন করছেন। তাদের সকলেই আনন্দে উদ্বেলিত। নিজ ধর্ম ও কালচারে ফিরে আসতে পেরে তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। নামের সাথে অনেক কিছু জড়িত। ব্যক্তির নামের সাথে তার ঈমান-আকিদা ও বিশ্বাসও জড়িত। ভারতীয় মুসলমানরা তাদের পরিচয় গোপন করে ছেলেমেয়েদের হিন্দু পরিচয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে হয় এটা যেমন বিশ্বাস করা কঠিন তেমনি মুসলিম নাম নিয়ে তারা চাকরি-বাকরি করতে পারেন একথাও বিশ্বাস করা যায় না। বিচারপতি সাচারের নেতৃত্বে গঠিত সংখ্যালঘু কমিশনের রিপোর্টে সংখ্যালঘু ভারতীয় মুসলমানদের বঞ্চনা, অবহেলা ও দুর্দশার একটা করুণ চিত্র কয়েক বছর আগে তুলে ধরা হয়েছিল। ঐ রিপোর্টে সংখ্যালঘুদের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি আসেনি। এটি জোর করে ধর্মান্তরকরণের বিষয়। নাম পরিবর্তন করে যারা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবেন অথবা চাকরি-বাকরি কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য করবেন তারা নিশ্চয়ই মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য ফরজ এবাদতসমূহ করতে পারেন না এবং ইসলামের দৃষ্টিতে হালাল-হারামের বিধানসমূহ মেনে চলতে পারে না, পূজা-অর্চনা, দেবদেবীকে প্রণামের ন্যায় বাধ্য হয়ে ইসলামের দৃষ্টিতে শিরকের কাজগুলো তাদের করতে হয়। এর চেয়ে মর্মান্তিক আর কি হতে পারে? ছিটমহলের অবস্থা যদি সর্বত্র এমন হয় তাহলে ভারতের মুসলমানদের নাম পরিবর্তনের এই বাধ্যবাধকতা তাদের ধর্মীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনেও বিরাট প্রভাব বিস্তার করছে। আদমশুমারি ও ভোটার তালিকা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রে তারা হিন্দু হয়েই থাকতে বাধ্য হচ্ছে। এতে ঐ দেশের মোট জনসংখ্যায় মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বের হার অনেক হ্রাস পাচ্ছে। এতে সরকারি পরিসংখ্যানে যা দেখানো হয় তা প্রকৃত সত্যের প্রতিফলন নয়। সংখ্যালঘুদের প্রতি এই অবিচার বন্ধ করার জন্য আমি ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানাবো।
॥ দুই ॥
গত শনিবার ৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক মানবজমিন ‘রাত নামলেই অন্যরকম দৃশ্য’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। পত্রিকাটির রিপোর্টার জনাব রুদ্র মিজান প্রণীত ও পরিবেশিত এই রিপোর্টে শ্রেণি নির্বিশেষে আমাদের ছেলেমেয়ে ও কিছু কিছু বিত্তশালী অভিভাবক অভিভাবিকার চারিত্রিক অধঃপতনের এক নিটোল চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এই অধঃপতন আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ ও বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দ্রুত পশুর স্তরে নামিয়ে দিচ্ছে বলে মনে হয়। রিপোর্টার রুদ্র মিজানের ভাষায়- “গভীর রাত। বিটের তালে তালে কেঁপে উঠছে পুরো এলাকা। ডিজে তরুণীর হাতের জাদুতে সাউন্ড স্পিকারে যেন আনন্দের ঝড়। বাজছে একের পর এক হিন্দিু, ইংরেজি, পপ ও বাংলা গান। ড্যান্স ফ্লোরে মাতায় চিয়ার্স গার্ল। ফ্লাইং কিস দিচ্ছেন। স্বল্পবসনা তরুণীদের সাথে তরুণরাও কম যান না। জড়িয়ে ধরছেন একে অন্যকে। তা উপভোগ করছেন চারপাশের চেয়ারে বসে থাকা শত শত নারী-পুরুষ। প্রায় সবার হাতেই ড্রিংকস। কারো হাতে বিয়ারের ক্যান, কারো হাতে মদের গ্লাস। ক্যান-গ্লাস হাতে নিয়েই কেউ কেউ চলে যাচ্ছেন ড্যান্স ফ্লোরে। এই দৃশ্য রাজধানীর রাতের পার্টিগুলোর। তারকা হোটেল, বিভিন্ন রিসোর্ট ও অভিজাত বাসাবাড়িতে প্রায় রাতেই আয়োজন করা হয় এ রকম পার্টির। রাজধানী ও আশপাশের বেশ কয়েক স্থানে কমার্শিয়ালভাবে আয়োজন করা হয় এ রকম পার্টি। উত্তরা, তুরাগ, গাজীপুর এলাকায় এ ধরনের কমার্শিয়াল পার্টিগুলো বেশি হচ্ছে।”

পার্টিগুলোর বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি আরো লিখেছেন, “নাচে গানে কাঁপছে পুরো এলাকা। ... বাতাসে তখন গানের শব্দ আর মাদকের গন্ধ। ভেতরে লেজার লাইটের ঝলকানির মধ্যে গান হচ্ছে, ‘চুপি চুপি আয় আজ, ভুলে যাব সব লাজ দেখ আমি সেজেছি বহুরূপী সাজে।’ স্বল্প বসনা চিয়ার্স গার্লদের ডানা কাটা পরীর মতোই লাগছিল। যেন সব লাজ ভুলে এক আনন্দ গ্রহে বিচরণ করছেন তারা। তাদের পরনে মিনি স্কার্ট, টাইট জিন্স, পাতলা টি-শার্ট, থ্রি-কোয়ার্টার ও হাফ প্যান্ট।... চিয়ার্স গার্লরা কিশোরী থেকে তরুণী। অন্যদিকে তরুণ থেকে বয়স্ক পুরুষরা অংশ নেন এই পার্টিতে। রিসোর্টের দ্বিতীয় তলায় যেন পার্টির মূল রহস্য। দ্বিতীয় তলার কক্ষগুলোতে জোড়ায় জোড়ায় ঢুকছেন তরুণ-তরুণীরা। ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পর দরজা খুলে বের হচ্ছেন তারা। কেউ কেউ সারা রাতের জন্য ভাড়া করে নিচ্ছেন কক্ষ। সারা রাতের ভাড়া ছয় হাজার টাকা। এসব কক্ষে টাকার বিনিময়ে যারা যান সেইসব তরুণীরা ‘ফাইটার গার্ল’ নামে পরিচিত।... ‘তারা প্রতি রাতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করে।’ রিপোর্টটি দীর্ঘ। পাঠকদের সুবিধার্থে আমি কয়েক ছত্র তুলে ধরলাম মাত্র। এখানে নির্লজ্জতা, বেহায়াপনা, মাদকাসক্তি ও ব্যভিচারের যে বর্ণনা রয়েছে তা ভাষায় বর্ণনা করা দুরূহ। নৈতিকভাবে আমরা কত দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছি তার একটা প্রতিফলন এই রিপোর্টে পাওয়া যায়। ড্যান্স পার্টি, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও নাচ-গানের নামে প্রকাশ্যে ব্যভিচার-বেশ্যাবৃত্তি ছড়িয়ে আমাদের জাতিকে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এক্ষেত্রে নির্বিকার, সমাজপতিরা নীরব। প্রশ্ন উঠছে, এই অধঃপতনের শেষ কোথায়?
॥ তিন ॥
রুদ্র মিজান এবং দৈনিক মানব জমিনকে আমি রাতের ঢাকার এই কলঙ্কিত কাহিনী তৈরি ও প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ জানাই। দুষ্কৃতির প্রতিরোধ ও নিরসন এবং সুকৃতির প্রতিষ্ঠা সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব আমরা পালন করছি না। আমাদের সমাজ ও জাতীয় জীবনের প্রতিটি স্তরে এখন পচন ধরেছে। এই পচন রোধ করতে না পারলে ধ্বংসের হাত থেকে এই জাতিকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না। রাতের ঢাকার ন্যায় সারা দেশের বড় বড় শহর নগরেও নৈতিক স্খলন, নাচ-গানের নামে ব্যভিচার, মাদকাসক্তি ও উচ্ছৃঙ্খল ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন এগুলো দেখেও দেখছে না। তারা ম্যানেজ হয়ে পয়সা খেয়ে এসব কর্মকা-কে উৎসাহ দিচ্ছে। পক্ষান্তরে যারা চরিত্র গঠন, মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা, ধর্মীয় চেতনা সৃষ্টি ও তার বিকাশ এবং কুরআন-হাদীসের জ্ঞানে নিজেদের সমৃদ্ধ করছে, অন্যদের সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছে এবং সমাজকে নির্লজ্জতা ও ব্যভিচারমুক্ত  করার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন পুলিশ নির্দয়ভাবে তিন মাসের বাচ্চাসহ তাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে দিচ্ছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে কুরআন হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য চর্চারত ২৮ জন পর্দানশীন মহিলার গ্রেফতার রিমান্ড তার একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ। এই মহিলারা অশালীন সমাজে শালীনতা ফিরিয়ে আনার কাজে লিপ্ত ছিলেন। তাদের কাছে নৈরাজ্য সৃষ্টি অথবা সরকার উৎখাতের কোন পরিকল্পনা বা ষড়যন্ত্রের নীল নকশা ছিল না। ছিল আত্ম গঠন ও সমাজ গঠনের রিপোর্ট ফরম্যাট ও রিপোর্ট বই। তারা উচ্ছৃঙ্খল নন, দেহ প্রদর্শনী রূপ যৌবন দেখিয়ে লাস্যময়ী কোন কাজে লিপ্ত ছিলেন না অথবা লাঠিসোটা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তার কসরতেও লিপ্ত ছিলেন না। পর্দার সাথে নিজের এবং অন্যদের চরিত্র গঠন ও ঈমান আকিদা মজবুতের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তাদের কাছে যে রিপোর্ট বই পাওয়া গিয়েছিল তার মধ্যে তারিখ ওয়ারী কুরআন অধ্যয়ন, হাদীস অধ্যয়ন, ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন, নামায পড়া, দাওয়াতী টার্গেট সাক্ষাৎ কর্মী ও সদস্য টার্গেট সাক্ষাৎ, যোগাযোগ, বই বিলি, পারিবারিক বৈঠক, অভাবগ্রস্তদের সাহায্য-সহযোগিতা এবং আত্মসমালোচনার তথ্য ছিল। একজন মানুষের চরিত্র ও জীবনাচারকে নিখুঁত নিষ্কলুষ করার জন্য একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন, এই রিপোর্ট বইটি হচ্ছে সেই পরিকল্পনা। চরিত্র ও ঈমান আপনাআপনি গঠিত হয় না, মজবুতও হয় না, চেষ্টা করতে হয়। এটি হচ্ছে সে চেষ্টারই একটি অংশ। তারা সবাই মিলে এই কাজটি করছিলেন, এটা তাদের অপরাধ হতে পারে না। ডিসকো পার্টির বেলেল্লাপনা ও ব্যভিচার মদ খেয়ে মাতলামী প্রভৃতি হচ্ছে অপরাধ। এই অপরাধে যারা অপরাধী তারা যদি শাস্তি না পান এরা পাবেন কেন?

আমাদের মায়েরা এই ধরিত্রীকে ধারণ করেন। তারা সন্তানকে মানুষ করেন যে সন্তানরা দেশ ও সমাজ চালায়। তারা যদি ভাল মানুষ ও চরিত্রবতী হন তা হলে সমাজ কলুষিত হতে পারে না। নেপোলিয়ান তাই বলেছিলেন, “তোমরা আমাকে একটি ভাল মা দাও, আমি তোমাদের একটি ভাল জাতি উপহার দেব।” আমরা আমাদের ভাল মায়েদের শৃঙ্খলিত করে ভাল জাতি আশা করতে পারি না। এ প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত নির্দোষ মহিলাদের সসম্মানে ছেড়ে দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন