বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ দৈনিক ইত্তেফাক, কালের কন্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন সহ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রেমে রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে কুপিয়েছে শিবির ক্যাডার’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন খবর প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারী জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, এই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত এবং নীতিহীন সাংবাদিকতার নিকৃষ্ট নজির। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রেমে রাজি না হওয়ায় জামায়াত নেতার ছেলে শিবির ক্যাডার জাহিদুল ইসলাম মাদ্রাসা ছাত্রীকে কুপিয়েছে। এর পক্ষে ‘শিবির ক্যাডার’ এই বিদ্বেষমূলক মুখস্ত বুলি ছাড়া প্রতিবেদক তার সাংগঠনিক পরিচয় বা কোন তথ্য-প্রমাণ দেননি। আহত ছাত্রী, তার পরিবার বা ছাত্রশিবিরের কোন দায়িত্বশীলের বক্তব্যও নেয়া হয়নি। শুধুমাত্র বিদ্বেষমূলক মনোভাব থেকে চাতুরতার সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে এই ঘৃণ্য অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
মূলত হামলাকারী জাহিদুল ইসলাম শিবিরের কেউ নয় বরং ছাত্রসেনা হোয়ানক ইউনিয়ন এর ২ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারী এবং তার বাবার সাথেও জামায়াতে ইসলামীর দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। একটি মিথ্যা সংবাদ পরিকল্পিতভাবে স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিকগুলোতে সিন্ডিকেট করে প্রচার করা হলুদ সাংবাদিকতা ছাড়া কিছু নয়। সত্য গোপন করে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর এই ঘৃণ্য প্রচেষ্টা সাংবাদিকতার কোন নীতিমালার মধ্যে পড়ে তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা এই মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সত্যকে পাশ কাটিয়ে যেখানে সেখানে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে অপপ্রচার করা কোন সাংবাদিকতা নয় বরং সাংবাদিকতার লেবাসে প্রতারণার শামিল। জনগণ কোন গণমাধ্যম থেকে এমন বিতর্কিত ভূমিকা আশা করেনা। আমরা আশা করি ইত্তেফাক, কালের কন্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন কর্তৃপক্ষ ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন এবং সঠিক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে বিভ্রান্তি নিরসন করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিবেন।
নেতৃবৃন্দ এ ধরণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক ও গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন