ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

২৮ জন পর্দানশীন ধর্মভীরু মহিলাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ

বাংলঅদেশ বার্তা ডেস্ক: ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭, শুক্রবার; পুলিশ কর্তৃক রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাড়ী থেকে গত ফেব্রুয়ারী ২৮ জন পর্দানশীন ধর্মভীরু মহিলাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ এবং গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার দাবী জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ফেব্রুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “পুরুষ বা মহিলা যে কোন নাগরিকের সভা-সমাবেশ করার কথা বলার অধিকার আছে, যা সংবিধানে স্বীকৃত। কিন্তু জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচিত বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন মহিলা কর্মী গত ফেব্রুয়ারী একটি বাড়ীতে বসে পবিত্র কোরআন হাদীসের আলোচনা করছিলেন। তাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের একটি বৈধ রাজনৈতিক দল। এই দলের কর্মীরা কোথাও বসতে পারবে না, তা হতে পারে না। একটি রাজনৈতিক দলের ঘরোয়া বৈঠককেও রাষ্ট্রদ্রোহীতা হিসেবে প্রচার করার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, এই সরকারের কোন গণভিত্তি নেই। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকারের কোন্ জবাবদিহীতাও নেই। সরকার জামায়াতে ইসলামীর উপর চরম জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। অঘোষিতভাবে এই কর্তৃত্ববাদী সরকার জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিসসহ সারা দেশের অফিসগুলো বন্ধ করে রেখেছে। হাজার হাজার নেতাÑকর্মীকে সরকার গ্রেফতার করে জেলখানায় পাঠিয়েছে। সরকারী দলের অফিস খোলা থাকবে, মিটিং, মিছিল সমাবেশ করতে পারবে, অথচ বিরোধী দল বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশ করা তো দূরে থাক ঘরের মধ্যে বসে কুরআনÑহাদীস নিয়ে আলোচনাও করতে দেয়া হবে না, এটা চলতে পারে না। সাময়িকভাবে সরকার এতে আত্মতৃপ্তি লাভ করলেও এর জন্য সকলকেই ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। 
 আমি পারিস্কার ভাষায় বলতে চাই, অত্যাচার-জুলুম চালিয়ে কোন আদর্শবাদী আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যায় না। সরকার জামায়াতের মহিলা কর্মীদের গ্রেফতার করে প্রমাণ করলো যে, এই সরকার একটি অগণতান্ত্রিক সরকার। 
আমি সরকারের অত্যাচার জুলুমের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত মহিলাদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। সেই সাথে সরকারের জুলুমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন