বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম বলেছেন, জনমত ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি প্রমাণ করে সরকার জনগণের কল্যাণের চেয়ে নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। মূলত এই গণবিরোধী সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই। তাই গণবিচ্ছিন্ন সরকারের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি আজ রাজধানীতে দফায় দফায় গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে একথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি ১০ নং গোলচত্তর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ ১১নং এ গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক আনোয়ারুর করিম, আবুল হাসান, আশরাফুল আলম, এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, আলাউদ্দীন মোল্লা, নাসির উদ্দীন ও আব্দুস সাকী এবং ছাত্রনেতা আব্দুল আলীম প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের ব্যর্থতার কারণেই গণদুর্ভোগ এখন চরমে ওঠেছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি না পেলেও দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি এখন লাগামহীন। উপর্যুপরি জনগণের উপর একের পর এক করের বোঝা চাপিয়ে অনির্বাচিত সরকার নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাস ও কামনা-বাসনা চরিতার্থ করতে তৎপর। মূলত আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণদুর্ভোগ বৃদ্ধি পায় এবং দেশে দুর্ভিক্ষের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মূলত অনির্বাচিত ও গণবিরোধী সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন গণদুর্ভোগ বাড়বে বৈ কমবে না। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এই ফ্যাসীবাদী ও স্বৈরাচারি সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের গ্যাস খাত কোন লোকসানী বা অলাভজনক খাত নয়। বিগত অর্থবছরে পেট্রোবাংলা প্রভূত মুনাফা করলেও সরকার কোন কারণ ছাড়াই গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। এ বিষয়ে জনমত ও বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামতও উপেক্ষিত হয়েছে। একদিকে সরকার রাষ্ট্রের লোকসানী খাতগুলোকে অযৌক্তিকভাবে ভর্তূকি দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুযোগ করে দিচ্ছে, অপরদিকে সম্পূর্ণ অনাকাঙ্খিতভাবে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করে জনজীবনকে দুর্বিসহ করে তোলা হচ্ছে। এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে। ফলে নিম্মমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের মানুষের মধ্যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পরবে। তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে গণদুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন