ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২০

২৬শে আগষ্ট জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী।

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ১৯৪১ সালের ২৬শে আগষ্ট উপমহাদেশের ইসলামী আন্দোলনের কিংবদন্তি আল্লামা সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রহঃ মাত্র ৭৫ জন ব্যক্তিকে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেন জামায়াতে ইসলামী নামক একটি ইসলামী সংগঠন।


সংগঠন আজ দীর্ঘ ৭৭ বছরের পথ পরিক্রমায়, উপমহাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে ৷

শহীদি কাফেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিপ্লবী কালেমার বিপ্লবী দাওয়াত প্রতিটা মানুষের কাছে পৌছাতে বদ্ধ পরিকর। ইনশাআল্লাহ।।

যেই সংগঠন আজ সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে। এবং এই সংগঠনের ফর্মুলা মোতাবেক ইসলামি আন্দোলন সফলভাবে কায়েম হয়েছে মিশর,তুরস্ক, তিউনিসিয়া এবং দক্ষিণ সুদানে।

এ দলের পরিচয় দিতে গিয়ে এর প্রতিষ্ঠাতা সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী বলেছিলেন----

"এ দলের সদস্যদেরকে ঈমানের দিক দিয়ে সুদৃঢ় ও অবিচল হতে হবে এবং আমলের দিক দিয়ে হতে হবে প্রশংসনীয় ও উচ্চমানের। কারণ তাদেরকে সভ্যতা ও সংস্কৃতির ভ্রান্ত ব্যবস্থা ও রাজনীতির বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করতে হবে এবং এ পথে আর্থিক কুরবানি থেকে শুরু করে কারাদণ্ড এমনকি ফাঁসিরও ঝুঁকি নিতে হতে পারে"।

এই ইসলামী আন্দোলন পরিচালনার অপরাধে মরহুম মাওলানাকে আইয়ুব শাহীর আদালতে ফাঁসির আদেশ শুনতে হয়েছে। মরহুম মাওলানা মওদূদী (রহ.) কে যখন কারাগারে ফাঁসির আদেশ পড়ে শুনানো হয় তখন আদেশ শুনে মাওলানা মওদূদী রহ. বলেছিলেন-----

মৃত্যুর ফায়সালা জমিনে নয় আসমানে হয়।

সেই মহান কিংবদন্তির কথাই যে সঠিক তা বাংলাদেশে প্রমাণ হয়েছে। এই আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র ইসলামি আন্দোলন করার অপরাধে ৷

সুদীর্ঘ ৭৭ বৎসরের পথ পরিক্রমায় হাজার হাজার নেতা কর্মীকে পঙ্গু হতে হয়েছে। শহীদি নাজরানা পেশ করতে হয়েছে,জালিমের জুলুম নির্যাতন সহ্য করেই এগিয়ে যাচ্ছে এ শহীদি কাফেলা ৷

আল্লাহ ছাড়া,কোন বাতিল শক্তি'ই রুখতে পারবেনা এই শহীদি কাফেলার,হেরার রাজ তোরণের পথে, অগ্রযাত্রাকে,ইনশাআল্লাহ ৷

বরং সময়ের ব্যবধানে সকল বাতিল শক্তি'ই খুবঈ করুণভাবে,ধ্বংস হওয়ার মাধ্যমে,ইতিহাসের আস্তাকূড়ে নিক্ষিপ্ত হবে, ইনশাআল্লাহ ৷

৭৭ বছরের পথ পরিক্রমায় শহীদি কাফেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি শত জুলুম নির্যাতন সহ্য করেও ইসলামি আন্দোলনকে তার সফলতার মন্জ্ঞিলে মকসুদে এগিয়ে নিতে বদ্ধ পরিকর।

বর্তমানে পুরো বাংলাদেশকে
আওয়ামী বাকশলী, স্বৈরাচার,জঙ্গি, নাস্তিক, ভারতীয় রাজাকাররা তাদের জুলুমের কারাগারে পরিণত করেছে। শহীদি কাফেলা আজ ঈমানের কঠিন অগ্নিপরীক্ষায় অবত্তীর্ণ।

বাতিলের শত জুলুম আর নির্যাতনকে আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করে,শহীদি কাফেলা জাতিকে এই পর্যন্ত এক ঝাক সফল নেতৃত্ব উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে এবং ১৬ কোটি মানুষের প্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে..............

আলহামদুলিল্লাহ,
ইসলামী শরীয়া-ভিত্ত্বিক এবং গণতান্ত্রিক পন্ত্রায় সমাজের পরিবর্তনে অংঙ্গিকারবদ্ধ,শহীদি কাফেলা,গত ১১ বছরে,বাতিলের চরম নির্যাতন এবং জুলুমের মোকাবেলা করে, আল্লাহর উপর ভরসা করে,বাংলাদেশের প্রতিটি স্হানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে,জাতিকে প্রায় ১৮২৬ জন, সৎ,মেধাবী, আল্লাহভীরু জনপ্রতিনিদি, জনসেবক উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে............

এই দেশের মানুষ,শহীদি কাফেলার ১৮২৬ জন জনপ্রতিনিদিকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে,এটাই প্রমাণ করেছেন যে,শহীদি কাফেলার মাধ্যমেই এই দেশে একটি ইনসাফপূর্ণ সুখী সমৃদ্ধশালী, ইসলামী সমাজ ব্যবস্হা কায়েম করা সম্ভব ৷

আমার বিশ্বাস,আমি আশা রাখি,আমি বাস্তব একটি স্বপ্ন দেখি................

প্রিয় শহীদি কাফেলা আল্লাহর উপর ভরসা করে,বাতিলের সব বাধাকে আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করার মাধ্যমে,ঈমানের কঠিন অগ্নীপরীক্ষাকে হাসিমুখে গ্রহন করার মাধ্যমে, বিপ্লবী কালেমার বিপ্লবী দাওয়াত'কে এই দেশের গণ মানুমের কাছে পৌছানোর মাধ্যমে,গণ মানুষের গণ সমর্থন আদায়ের মাধ্যমে,শহীদ-দের রক্তঝরা এই ভুখন্ডের জাতীয় সংসদকে কোরআনের সংসদে পরিণত করবেই, ইনশাআল্লাহ

ইয়া আল্লাহ,প্রিয় শহীদি কাফেলার জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত,তোমার যে সকল প্রিয় মানুষগুলো তাদের জীবনের সোনালী সময় গুলো,দ্বীনের পথে ব্যয় করেছেন এবং করছেন,ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং করছেন,শহীদি নাজরানা পেশ করেছেন,সেই সকল প্রিয় ভাই,বোনদের সকল ত্যাগ'কে আগামী দিনের ইসলামী সমাজ ব্যবস্হার জন্য কবুল করে নাও।।

হে আল্লাহ, শহীদি কাফেলাকে,এই দেশের স্বাধীনতা,সার্বভৌমত্ব,ইসলাম,ইসলামী আন্দোলনের হেফাজতকারী হিসেবে কবুল করুন, আমিন ৷

পরিশেষে আমাদের এই সংগঠনের সকল কর্মী, সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষী এই অংগীকার হক আমরা যেন আমাদের সকলের আত্মো সমালোচনা করে এই সংগঠনের সকল নিয়োম শৃঙ্খলা মেনে, আমাদের ঈমানকে মজবুত করে সকলের কাছে দাওয়াত পৌছায়ে ইকামতের দ্বীনের এই কাফেলার সাথে সক্রিয় থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি। আল্লাহ আমাদের সকলকে কবুল করুক আমিন
' জহির উদ্দীন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন