ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭

বিয়ের ক্ষেত্রে সাহাবীদের আমল ও আমাদের মানসিকতা


বাংলাদেশ বার্তাঃ   সাহাবীদের সময়ে বিয়ের ক্ষেত্রে একটা সুন্দর পদ্ধতি ছিল। সাহাবারা কোনো নারীকে একা ফেলে রাখতেন না। সে বিধবা হোক, তালাকপ্রাপ্তা হোক, তার আবারও বিয়ে হতো। আর অবিবাহিত হলে এখনকার মত আইবুড়ু হয়ে থাকতে হতো না, সে দেখতে অসুন্দরী হলেও!
.
আমরা দেখি, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এর যুগে কোন কোন মহিলা সাহাবীর তিন-চার-পাঁচবারও বিয়ে হয়েছে! আমাদের সময়ে একজন মেয়ের এতবার বিয়ের কথা ভাবাই যায় না। আবু বকর, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুম, উনাদের মত সেরা সেরা সাহাবীরাও তালাক দিয়েছেন, একাধিক বিয়ে করেছেন। তাদের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীদের আবার অন্য সাহাবীরা বিয়ে করে নিয়েছেন। কেউ এমন ভাবেনি, "নিশ্চয়ই অমুক মেয়ের দোষ আছে, নইলে কি আবু বকর-উমারের মত মানুষ তাকে তালাক দেয়! এমন মেয়েকে কে বিয়ে করি?"
.
মানুষের কিছু চাহিদা বাবা-মা-ভাই-বোন-সন্তান-সন্ততি দ্বারা পুরা করা যায় না। একজন সঙ্গী প্রয়োজন। যে অবিবাহিত তারও একজন সঙ্গীর প্রয়োজন, যে বিধবা তারও একজন সঙ্গীর প্রয়োজন। যে তালাকপ্রাপ্ত তারও একজন সঙ্গী প্রয়োজন। সাহাবীদের আমলে কেউ কোনো নারীকে একাকী নিঃসঙ্গ পড়ে থাকত না। মায়ের বয়সী হোক, দাদীর বয়সী হোক, তার আগে বাচ্চাকাচ্চা থাকুক, ‍কিংবা কুমারী হউক -সব রকম নারীকেই বিয়ে করে নেওয়া হত। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে ইসলাম দান করেছেন যেন আমাদের জীবনগুলো সুন্দর হয়, শান্তির হয়। একাকী পড়ে থাকার মত অসহনীয় জীবন আর কিছু নেই!
.
বিয়ের সময় কম-বয়সী, কুমারী নারীকে বিয়ে করতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু সমাজের সার্বিক দিকের কথা চিন্তা করে বিধবা এবং তালাক-প্রাপ্ত বোনদেরও তো কাউকে না কাউকে বিয়ে করতে হবে! 
.
একই ভাবে বোনদের বলব, বিয়ের সময় ইয়াং, সিঙ্গেল পুরুষদের প্রাধান্য দেওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু উত্তম পাত্রের দ্বিতীয় স্ত্রী হতে কিংবা পরহেজগার ও ইলম-অলা পাত্র বয়স্ক হলেও তাকে বিয়ে করার কথা বিবেচনা করা উচিত।
.
আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এর সবচেয়ে ছোটো কন্যা ফাতিমা (রা)। এই ফাতিমার মেয়ে উম্মু কুলসুম। উম্ম কুলসুমকে বিয়ে দেওয়া হয় আল্লাহর রাসূলের সাহাবী উমার (রা) এর সাথে! চিন্তা করুন, ফাতিমার স্বামী আলীর (রা) চেয়েও উমার বয়সে বড়। নিজের বাবার চেয়েও বেশি বয়সী একজন পাত্রকে বিয়ের ব্যাপারে উম্ম কুলসুমের কোনো আপত্তিই ছিল না! আমরা এরকম করার কথা কল্পনাও করতে পারি না।
.
একজন পুরুষের জন্য কুমারী অল্পবয়সী মেয়েকে বিয়ে করতে চাওয়াটা খুবই সহজাত ব্যাপার, তবে বয়স্ক কিংবা বিধবাদের দেখে “ঝুটা” মনে করাটা বাড়াবাড়ি। মনের কোনো কোণায় যদি সূক্ষ্মভাবে এরকম অনুভূতি কাজ করে তাহলে মনে রাখতে হবে যে একজন নারী কুমারী না হওয়ার অর্থ এই না যে সে কম পরহেজগার বা আপনার স্ত্রী আর আপনার সন্তানদের মা হওয়ার কম যোগ্য। 
.
স্বয়ং আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এর প্রথম স্ত্রী খাদিজা (রা) তাঁর চেয়ে বয়সে বড় ছিলেন। দুই-এক বছরের না, বেশ কয়েক বছরের বড়। এমনকি তাঁর আগে বিয়েও হয়েছিল। অর্থাৎ তিনি কুমারী ছিলেন না। কাজেই পূর্ব বিবাহিত পাত্রীকে বিয়ের ব্যাপারে এই ধরণের অস্বস্তিবোধের জায়গা ইসলাম দেয় না। 
.
একবিংশ শতাব্দিতে এসে আমরা সাহাবীদের মত উন্নত মানসিকতা ধারণ করতে পারি নাই। সাহাবী-সাহাবিয়াতরা সব ক্ষেত্রেই সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত রাখতে পেরেছিলেন। আমাদেরকে সহীহ আকিদা ধারণ করার সাথে সাথে সাহাবীদের মত উন্নত মানসিকতা মনের মধ্যে ধারণ করা উচিত।
______________
সংগৃহিত ও সম্পাদিত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন