বাংলাদেশ বার্তাঃ একদিন হযরত মুসা (আঃ) -এর কাছে শয়তানই এসে বললো- "আপনি আল্লাহর মনোনীত রসূল। আপনি আল্লাহর সাথে কথা বলার মর্জাদা লাভ করেছেন। আমি তওবা করার ইচ্ছে করেছি। আপনি আল্লাহ পাকের দরবারে আমার তওবা কবুল করার জন্য সুপারিশ করুন।
.
হযরত মুসা (আঃ) শয়তানের এই কথা শুনে খুশিতে খুব বাগ বাগ হয়ে গেলেন। কারণ শয়তান তওবা করে নিলে তো গুনাহ করার প্রশ্নই উঠে না। তাই তিনি ওযু করে নামাযে লিপ্ত হলেন। আল্লাহ পাক বললেনঃ "হে মুসা! শয়তান মিথ্যে বলেছে। সে আপনার সাথে প্রতারণা করতে চেয়েছে। যদি তাকে পরীক্ষা করতে ইচ্ছা করেন তাহলে তাকে বলে দিন সে যেন আদমের কবরে সিজদা করে। আমি তার তওবা কবুল করব।"
.
এতে মুসা (আঃ) খুব খুশী হলেন। এইজন্য যে এটা তো সাধারণ শর্ত। এটা তো শয়তান কবুল করবেই। তাই তিনি শয়তানকে আল্লাহ পাকের পয়গাম শুনিয়ে দিলেন।
.
এটা শুনে শয়তান অগ্নীশর্মা হয়ে গেল। আর বললোঃ "জীবিত থাকতে যাকে সিজদাহ করলাম না এখন মৃত্যুর পর তাকে সিজদাহ করব? তবে মুসা (আঃ)! আপনি আমার পক্ষে সুপারিশ করে আমার প্রতি এহসান করেছেন। এর শুকুর আদায় করতে গিয়ে আমি আপনাকে তিনটি কথা অবগত করাব। তা হলো এই তিন অবস্হায় আমার থেকে সতর্ক থাকবেন -
.
(১) মানুষ যখব ক্রোধান্বিত হয় তখন আমি তার অন্তরে অবস্হান করি আর রক্তের ন্যায় তার শিরা উপশিরায় দৌড়াতে থাকি।
*
(২) জিহাদের ময়দানে মুজাহীদের অন্তরে স্ত্রী পুত্রের ও সম্পদের আকর্ষণ বাড়াতে থাকি। যাতে সে তাদের মহব্বতের কারণে জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করে।
*
(৩) যখন কোন পুরুষ গায়রে মাহরুম নারীর সাথে নির্জনে কোথাও অবস্হান করে। তখন আমি তাদের প্রত্যেকের পক্ষ থেকে পকীল হয়ে একের অন্তরে অপরের প্রতি ঝুকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাই। যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা অসৎকার্যে জড়িত না হয়ে পড়ে ততক্ষণ আমার এই প্রচেষ্টা চলতে থাকে।
.আল্লাহতায়ালা বিতাড়িত শয়তান থেকে আমাদের সকলকে হেফাজত করুন। আল্লহুম্মা আমিন।।
# সূত্রঃ "তাম্বেহুল গাফিলীন" (খন্ডঃ ১ ;
পৃঃ ৮২)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন