ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০

ডবলমুরিং থানা জামায়াতের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

 বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ডবলমুরিং থানার উদ্যোগে গরীব শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়।

শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে  শীতবস্ত্র বিতরণ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন।  এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ নূর, চট্টগ্রাম মহানগরীর মজলিশে শুরা সদস্য ও থানা আমীর মুহাম্মদ ফারুক আজম, চট্টগ্রাম মহানগরীর মজলিশে শুরা সদস্য ও থানা সেক্রেটারী মোস্তাক আহমদ সহ থানা নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০

দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটাধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশবাসীর প্রতি ডাঃ শফিকুর রহমানরে আহবান

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। ১৯৫০ সালে এই দিনটিকে জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। সেই থেকে বিশ্বজুড়ে এ দিনটি মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।


ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, মিয়ানমারসহ সারা বিশ্বে মানবাধিকার চরমভাবে লংঘিত হচ্ছে। আমরা আজ এমন এক সময় এ দিবসটি পালন করছি যখন আমাদের দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। বিচার বহির্ভূতভাবে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। বিনা অপরাধে মানুষকে গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে এবং দিনের পর দিন কারাগারে আটকে রাখা হচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে কেঁড়ে নেয়া হয়েছে। দেশে আজ গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই। বিরোধী দলের কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। বিচার ব্যবস্থা ও আইনের শাসনকে ভূলুন্ঠিত করা হয়েছে। মানুষের জানমাল, ইজ্জত-আব্রুর আজ কোনো নিরাপত্তা নেই। দেশে প্রতিনিয়ত গুম, খুন, হত্যা, ধর্ষণ এবং মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটছে। বর্তমানে দেশে এক বিভীষিকাময় অবস্থা বিরাজ করছে। 

হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পাশে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃহবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে সহমর্মিতা জ্ঞাপন, তাদের খোঁজ-খবর নেয়া ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জনাব এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর আমীর মোঃ ফখরুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলা আমীর জনাব মোঃ আব্দুর রহমান, সবেক মহানগর নায়বে আমীর হাফেজ আবদুল হাই হারুন, হবিগঞ্জ জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা মুখলিসুর রহমান, সিলেট মহানগরী সেক্রেটারী জনাব মোঃ শাহজাহান আলী, হবিগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি জনাব কাজী মহসিন আহমদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০

একজন সহকর্মীকে হারালাম: এ. আর. নদভী

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ খুব কষ্টের সাথে লিখতে হচ্ছে যে, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর লাইব্রেরীর জুনিয়র লাইব্রেরীয়ান জনাব আব্দুর রাহমান ভাই গতকাল ৪ ডিসেম্বর ২০২০ চট্টগ্রাম শহরের সার্জিস্কোপ এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসরের পর ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রা-জে-উ-ন।

তার সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছে সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখে। দুপুরে ক্যাম্পাস হতে বাসায় ফেরার জন্য তিনি শিক্ষকদের এসি গাড়িতে উঠেছিলেন। ভাটিয়ারী এসে যখন গাড়ি হতে নামছিলেন তখন তাকে দেখে খুবই খারাপ লাগছিলো। কারণ তার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিলো না। দুর্বলতার কারণে পা তখনও সামনে চলছিলো না ঠিক মত। তাই আমি গাড়ির সহকারীকে জসীমকে খুব সতর্কের সাথে নামিয়ে দিতে বললাম। নেমে যাওয়ার সময় আব্দুর রাহমান ভাই বললেন স্যার! খুব অসুস্থ দো‘য়া করবেন।
আমার সাথে তখন প্রফেসর ড. মাহবুবুর রাহমান স্যারও ছিলেন। আমরা কিছুক্ষণ তার অসুস্থতা ও শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে কথা বলে আবার নিজেদের মত করে কথা বলতে বলতে চলে আসলাম। আর সেই পৃথক হওয়াটাই তার সাথে আমাদের শেষ দেখা এবং শেষ কথা ছিলো।
আমার সাথে তার গভীর সম্পর্ক ছিলো। পারিবারিকভাবেও আমাদের যোগাযোগ ছিলো। তার ওয়াইফের সাথে আমার ওয়াইফের খুব মিল ছিলো। ক্যাম্পাসের সামনে নির্মিত আমার বাসায় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রোগ্রামে তার ওয়াইফ আসতেন। মায়ের সাথে বাচ্চারাও আসতো। আমার ওয়াইফও তার বাসায় যেতেন। আমাদের মাঝে কখনো শিক্ষক-অফিসার ভাব ছিলো না। তাকে আমি একজন ভাইয়ের মতই ভাবতাম। তার বাচ্চাগুলোকে আমি খুব আদর করতাম। কুমিরা ছেড়ে আসার পরও যখনই আমার ওয়াইফ ক্যাম্পাসে যেতেন তখনই তার বাসায় অব্যশ্যই যেতেন। ফিরে আসার পর আমি তাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেসও করতাম।
কুমিরা ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে বসবাস করে যারা আবাদ করার জন্য সর্ব প্রথম পরিবার নিয়ে থাকার সাহসিকতা দেখিয়েছেন তিনি তাদের একজন ছিলেন। তিনি আমাদেরও আগে গিয়ে সেখানে পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করেছেন।। আর যে দুইজন ছিলেন তাদের একজন হলেন প্রফেসর ড. শাফী উদ্দীন মাদানী এবং আরেক জন আমি।
আমি এক নং হলের প্রোভেস্ট ছিলাম আর শাফী উদ্দীন মাদানী ভাই ২ নং হলের প্রভোস্ট ছিলেন। আমি ভার্সিটির এক প্রান্তে আব্দুর রাহমান ভাই আরেক প্রান্তে শাফী উদ্দীন ভাই অন্য প্রান্তে থাকতেন। আমি দক্ষিণে আব্দুর রাহমান ভাই পূর্বে আর শাফী উদ্দীন ভাই পশ্চিম উত্তরে থাকতেন। আব্দুর রাহমান বর্তমানে শিক্ষক ডর্মের নামে পরিচিত সেখানের সিঁড়ির নীচে একটি ছোট্ট বাসায় থাকতেন। তদানীন্তন প্রো-ভিসি আবু বকর রাফীক আহমাদ সাহেব তাকে সেখানে থাকার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। রাফীক সাহেব তাকে খুব পছন্দ করতেন।
এসব কারণে আমার সাথে তার গভীর সম্পর্ক ছিলো। আমার কাছে বিভিন্ন সময় আসতেন। পারিবারিক বিষয়ে অনেক কিছুই শেয়ার করতেন। নিজের বাচ্চাদের জন্য শ্বশুরের বাড়িতে কেনা জায়গায় একটি ঘর করার তার পরিকল্পনা ছিলো। কারণ তিনি নও মুসলিম ছিলেন। তাই পৈত্রিক সম্পত্তি হতে মাহরূম হয়েছেন। থাকতেন শ্বশুর বাড়িতে।
খুব কষ্ট করে তার দুটি ছেলে ও একটি মেয়েকে মানুষ করেছেন। বড় ছেলেটা চট্টগ্রাম ভার্সিটি হতে সিএসই শেষ করে এখন একটি প্রাইভেট ভার্সিটিতে শিক্ষকতা করে। দ্বিতীয় ছেলেটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরী করে। আর মেয়েটি কলেজে পড়ে।
পরিশেষে সবার কাছে আব্দুর রাহমান ভাইয়ের জন্য দো‘য়ার আবেদন করছি। আল্লাহ্ যেন তার ঈমানকে ক্বাবুল করে তাকে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নেন এবং তার সন্তানদেরকে সাবরে জামীল দান করেন। আ-মী-ন।

ভাস্কর্য বনাম মূর্তি আসাদ বিন হাফিজ

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ

মৌচাকেতো মৌমাছি নয়, আরো থাকে মধু
তোমার ঘরে বউ থাকেতো আমার ঘরে বধু।
আমার বাড়ি গরু থাকে তোমার থাকে কাউ
আমার ঘরে কদু থাকে, তোমার ঘরে লাউ।
আমি যখন পানি খাই তুমি তো খাও জল
প দিয়ে হয় পানি আর জ দিয়ে হয় জল।
পানি ও জল এক করার কোন মানে হয়?
তবে কেনো ভাস্কর্য আর মূর্তিরে এক কয়?
ভাস্কর্য হয় ভাস্কর্য, আর মূর্তি মানে মূর্তি
এ ফায়সালা হয়ে গেল করো তবে ফুর্তি।
মূর্তির পক্ষ নেবে যারা জাহান্নামে যাবে
ভাস্কর্যটার পক্ষ নিলে দোজখ শুধু পাবে।
মহানবীর উম্মত হলে কোরান হাদিস পড়ো
এটা দিয়েই বন্ধু তুমি নিজের জীবন গড়ো।

শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চট্টগ্রাম’র কর্মকর্তা আব্দুর রহমান চলে গেলেন না ফেরার দেশে

 বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের লাইব্রেরী এন্ড ইনফরমেশন ডিভিশনের সহকারী পরিচালক/জুনিয়র গ্রন্থাগারিক, জনাব মুহাম্মদ আব্দুর রহমান দুরারোগ্য ক্যান্সার জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আজ বিকালে ৫টায় মৃত্যুবরন করেছেন। ইন্নালিল্লহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি চট্টগ্রাম শহরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তার মৃত্যুর বিষয়টি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের লাইব্রেরী এন্ড ইনফরমেশন ডিভিশনের পরিচালক লাইব্রেরীয়ান জনাব জাহাঙ্গীর আলম নিশ্চিত করেছেন।

তার মৃত্যুতে লাইব্রেরী এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের পক্ষ থেকে  আনোয়ার হোসেন নুরী হোয়াটসএপ এ এক শোক বার্তা প্রদান করেছেন।

শোক বার্তায় তিনি মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন,“মহান রবের দরবারে আমাদের প্রিয় ভাইয়ের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। এবং মহান রবের দরবারে দোয়া করছি, মহান রব যেন তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেন। আমীন।”

এছাড়া আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ্এর অফিসার্স ফোরামের পক্ষ থেকে  শোক প্রকাশ করে বানী প্রদান করা হয়। শোকবানীতে অফিসার্স ফোরাম নেতৃবৃন্দ মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

লাইব্রেরী এন্ড ইনফরমেশন ডিভিশনের পরিচালক লাইব্রেরীয়ান জনাব জাহাঙ্গীর আলম,  অরিরিক্ত পরিচালক, এসডিএসডব্লিউডি, জনাব মাহফুজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জনাব জাহেদ রহমান প্রমূখ  অফিসার্স ফোরামের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেন।

বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০

অফিসার্স ফোরামের সভা অনুষ্ঠিত: স্থগিত প্রমোশন চালুর দাবী; কল্যাণ তহবিল গঠন

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ০২ ডিসেম্বর’২০  আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র  অফিসার ফোরামের এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দীর্ঘদিন যাবত অঘোষিতভাবে বন্ধ থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বন্ধ থাকা প্রোমোশ দ্রুত চালু করার দাবী জানানো হয়।

০২ ডিসেম্বর ‘২০ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সভায় ২ জন কর্মকর্তার জন্য এককালীন চিকিৎসা সাহায্য সংগ্রহ করা ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়। এ ছাড়া ট্রাস্ট মেম্বার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যারা অসুস্থ তাদের জন্য দোয়ার আয়োজন করা হয়।

 ট্রান্সপোর্ট  ব্যবস্থাপনা বিভাগের ডাইরেক্টর জনাব মহিউদ্দিন হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায়  অন্যান্যের মধ্যে এসডিএসএস ডাব্লিউডি’ এডিশনাল ডাইরেক্টর জনাব  মাহফুজুর রহমান  বিদেশ বিভাগেরএডিশনাল ডাইরেক্টর  জনাব কামাল উদ্দিন, ভিসি অফিসের  এডিশনাল ডাইরেক্টর জনাব সিরাজুল আরেফিন, পিপিডি’র ডেপুটি ডা্ইরাসিস্রেটক্টর জনাব মাহমুদুল আলম, ট্রান্সপোর্ট  ব্যবস্থাপনা বিভাগের ডিডি জনাব আক্তার হোসাইন, সিনিয়র এষ্টিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। 

দীর্ঘদিন প্রমোশন বন্ধ থাকায় কর্মকর্তদের মধ্যে ক্ষোভ পরিলক্ষিত হয়। প্রমোশনের বিষয়টি  অফিসার্স ফোরামের নেতৃবৃন্দকে কতৃপক্ষে সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তি করার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে দাবী  জানানো হয়। 

নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শেষে একটি কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়। যা প্রতিমাসে সকলেই প্রদান করবে।

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের আক্রমণের কারনে অর্থনৈতিক নানা সংকটের মধ্যেও  আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের বেতন ভাতা চালু  রাখতে পেরেছেন ্জন্য প্রথমে মহান আল্লাহর এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়। 

সবশেষে অসুস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ট্রাস্ট মেম্বারসহ সকলের জন্য দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। মুনাজাত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন  বিদেশ বিভাগেরএডিশনাল ডাইরেক্টর  জনাব কামাল উদ্দিন।

রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০

মানবজমিন পত্রিকায় ‘৩০ বছর ভোটে অংশ নেবে না জামায়াত!’ শিরোনামে প্রকাশিত ভিত্তিহীন খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ২৮ নভেম্বর দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ‘৩০ বছর ভোটে অংশ নেবে না জামায়াত!’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি জনাব মতিউর রহমান আকন্দ ২৮ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,


“২৮ নভেম্বর দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ‘৩০ বছর ভোটে অংশ নেবে না জামায়াত!’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তের বরাত দিয়ে যে তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের মনগড়া, বানোয়াট ও কল্পনানির্ভর বক্তব্য ছাড়া আর কিছু নয়। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। রিপোর্টের অপর এক জায়গায় ‘গত আশি এবং নব্বইয়ের দশকে যেভাবে দলটি সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছিল তা এ সরকারের সময় পায়নি’ মর্মে জামায়াতের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর খবর ছাপা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আমরা সুস্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই, জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। জামায়াত কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বিশ্বাস করে না। এমনকি সমর্থনও করে না। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী কখনো কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল না এবং এখনো নেই। আশি ও নব্বইয়ের দশকে সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করার জামায়াতের বিরুদ্ধে যে অপবাদ দেয়া হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা এবং সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের মনগড়া বক্তব্য ও জামায়াতের বিরুদ্ধে নগ্ন প্রচারণারই অংশ মাত্র। বিগত এক বছরেরও বেশি সময় যাবত একই ধরনের খবর বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে অব্যাহতভাবে একই উদ্দেশ্যে প্রচার করা হচ্ছে। দেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী অবগত আছেন যে, প্রায় এক যুগ যাবত বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার এমন কোনো যুলুম নেই যা জামায়াতের উপর করেনি। যুলুম-নির্যাতন সত্ত্বেও জনগণের ভালোবাসা ও সহনুভূতিতে এ দলটি টিকে আছে এবং নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এরপরও যারা জামায়াতের ভাবমর্যাদা বিনষ্ট করার জন্য মিথ্যা ও মনগড়া প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের আফসোস হয়।

ভবিষ্যতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এ ধরনের কাল্পনিক, মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য প্রচার করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”

সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২০

একটু ভেবে দেখবেন কি? তাফসীর মাহফিলে ১৪৪ ধারার সংস্কৃতি সেই ৯০ দশক থেকে

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ একটু ভেবে দেখবেন কি?তাফসীর মাহফিলে ১৪৪ ধারার সংস্কৃতি সেই ৯০ দশক থেকে। এই ১৪৪ ধারা একজনের মাহফিলকে কেন্দ্র করেই হতো। চট্রগ্রামের প্যারেড ময়দান, লালদিঘী ময়দান ও ঢাকার খিলগাঁও সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠ। বক্তা আল্লামা সাঈদী। আমরা বললাম,ভালোই হলো তিনি জামাতি। না হলেই ভালো। এভাবেই কাটলো অনেক গুলো বছর। এরপর মামলা, গ্রেফতার ও ফাঁসীর রায়। একসময় সাঈদীর কুশপুত্তলিকা দাহ হলো।আমরা

বললাম,একেবারে ঠিক! তার গ্রেফতার হওয়াই উচিৎ। কারন সেতো রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী! র‌্যাব
এরপর তারেক মনোওয়ার সাহেবের মাহফিলে ১৪৪ ধারা। মাহফিল বন্ধ।আমরা বললাম একেবারেই ঠিক! বেটা জামাতি! এরপর আমির হামযা ও আযহারী। এবারও আমরা বললাম,এক্বেবারে ঠিক! সাবাশ পুলিশ প্রশাসন! আপনারা সত্যি ই হক্বপন্থী! কোন কোন স্থানে আমরাই মাহফিল বন্ধে বীরত্ব দেখালাম।বহু মাহফিল বন্ধ করতে সক্ষম হলাম।আমরা ভাবলাম। রাম-বাম, পুলিশ - র‌্যাব সহ প্রশাসন পুরোপুরি আমাদের! সময়ের ব্যবধানে আজ আমরা নিজেরাই আক্রান্ত! সেই রাজাকার সংশ্লিষ্টতার অপবাদ এখন আল্লামা মামুনুল হক্ব ও শায়খ ফয়জুল করীম (হাফিঃ) এর মাথার উপর। রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধের তীর সৈয়দ এছহাক (রহ) ও আল্লামা আজীজুল হক্ব (রহ) এর উপর!
সেই ৯০ দশক থেকে ২০২০ এ এসে সেই একই অপবাদে মাহফিল বন্ধ হচ্ছে। আমরাকি এখনো বুঝবোনা? আর কতোকাল নিজেরা নিজেদের পিছনে লেগে থাকবো? রাম-বাম দের কাছে কোন ব্যক্তি বা দল বিষয় নয়। ইসলামের অগ্রগতি, উত্থান, জাগরণ ঠেকানোই তাদের একমাত্র টার্গেট! জামাতে ইসলামি, খেলাফত মজলিশ, ইসলামি আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন, ইসলামি ঐক্যজোট ও হেফাজতে ইসলাম এর কোন একটা তাদের টার্গেট নয়। টার্গেট ইসলামের জাগরণ!
Mohammad Zakaria Nur

রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২০

আল্লাহ যেন এ রক্তের প্রতিটি ফোঁটা কবুল করেন

 

বাংলঅদেশ বার্তা ডেস্কঃ ৫ বছর পার হয়ে ৬ বছরে পড়লো। ২০১৫ সালে এ দিনটি বা এ সময়টি যখন পার করি, তখন এক কঠিন পরিস্থিতি। এ সময়ে আমরা সর্বশেষ সাক্ষাৎ করার জন্য ডাক পেয়েছি। সেদিন কী যেন হয়েছিল। কোন এক নেতা বা নেত্রী যেন বিদেশ থেকে দেশে এসেছিলেন। সারা রাস্তায় জ্যাম। আমি আগে চলে গেলাম কারাফটকের সামনে। চারিপাশে আমার হিতাকাংখি কেউ নেই। পরিবারের সদস্যরা বহুদুরে। আগের দুজন দায়িত্বশীলকে ১০টার পরপরই রায় কার্যকর করেছিল। আমাদের বেলায় তাই হয় কিনা- তা নিয়ে আমার তীব্র ভয়।

সব ভয়কে জয় করে চলে গেলাম কারাগারের সামনে। মনে হলো, রাজ্যের আক্রোশ আমার ওপর এসে পড়লো। কোনোরকমে কারারক্ষী আর আমার পরিচিত কিছু সাংবাদিক আমাকে টেনে হিঁচড়ে উদ্ধার করলেন। সেদিন দুজনের রায় একসাথে কার্যকর হয়েছিল। শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার আগে সাক্ষাতের জন্য ঢুকে যাওয়ায় আমরা হাতে কিছুটা সময় পেলাম। আস্তে আস্তে আমার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনেরা একে একে আসতে লাগলো।
সবাইকে নিয়ে ওয়েটিং রুমে গেলাম। এমনিতে ওয়েটিং রুমে লোকজন গিজগিজ করে। সেদিন আমরা দুটো পরিবার। নাম জমা দিলাম। আমাদেরকে ভেরিফাই করে ভেতরে নিলো। সাক্ষাৎ করলাম। মৃত্যুকে হাসিমুখে আলিঙ্গন করতে যাওয়া একজন মানুষের সাথে সাক্ষাত করলাম। কী তার বলিষ্ঠ আওয়াজ। কী বজ্রকন্ঠ। রীতিমতো ভাষণ দিলেন পরিবারের সবাইকে সামনে রেখে।
জীবনের শেষ নসীহতগুলো দিলেন। দীনের পথে থাকতে বললেন। কুরআন ও হাদিসকে নিয়মিত অনুশীলণ করতে বললেন। হালাল রিজিকের ওপর জীবন পার করার নির্দেশ দিলেন। তার বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়গুলোকে পরিস্কার করলেন। তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়া অভাবী মানুষকে মাফ করে দিলেন। আমাদেরকে আল্লাহর হাওলায় ছেড়ে দিলেন।
বের হলাম। কেন রাত ১২টা পার হলো? ফাঁসি দিতে এত দেরি হচ্ছে কেন? সব নিয়ে কারাগারের সামনে জড়ো হওয়া মানুষগুলোর আক্রোশের শিকার হলাম আবারো। সাংবাদিকদের কিছু কথা বলার ছিল। সুযোগই পেলাম না। রীতিমতো শারীরিকভাবে হামলা। আম্মাসহ বাড়ির মহিলাদেরকে নিয়ে কোনোরকমে জায়গাটা পার হলাম। বকশী বাজার দিয়ে যখন পার হচ্ছি, মনে হলো কবরের নিস্তব্ধতা। জেলখানার সামনে যত ভীড়, যত আলো, ঢাকা শহরের অন্য অংশে যেন ততটাই নীরবতা।
বের হয়েই জীবন্ত মানুষটার জানাজা পড়ার জন্য বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা। ১০-১৫ মিনিটে চলে গেলাম অনেকদূর। কল্যাণপুর আসতেই রেডিওতে শুনি রায় কার্যকর। গাড়িতে কান্নার রোল উঠলো। সংগঠনের বেশ কিছু দায়িত্বশীল আমাদের সাথে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমান ছিলেন। তারাও যোগ দিলেন। একটু পর পর কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলরা ফোন দিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। কোথাও কোনো হামলার শিকার হলাম কিনা..অবিশ্বাস্য কিছু সময়....
সব কিছুকে পাড়ি দিয়ে ফজরের আগ দিয়ে বাড়িতে কবর দেয়ার জায়গায় পৌঁছলাম। জীবিত রেখে আসা বাবার লাশও অল্প কিছু সময় পর সেখানে এসে পৌঁছালো। আমি সিগনেচার করে মৃতদেহ নিলাম। তার সারা গায়ে তাজা রক্ত। আমার হাতে, কফিনে সর্বত্র সে রক্তের ছাপ। ফজর পড়ে সংক্ষিপ্ত জানাজা পড়েই দাফনও শেষ হলো।
রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানি সাগিরা। আমি এখনো আমার হাতে সে রক্তের স্পর্শ পাই। আল্লাহ যেন এ রক্তের প্রতিটি ফোঁটা কবুল করেন। এ রক্তের বিনিময়ে আল্লাহ যেন তার প্রত্যাশিত ইসলামকে এ ভুখন্ডে কায়েম করে দেন। আমিন।
আলী আহমদ মাবরুর

যে ২৩টি গুরুতর অপরাধে মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  নিম্নে এমন ২৩টি বিশেষ গুনাহ ও অপরাধের কথা উল্লেখ করা হল, যেগুলোর ব্যাপারে হাদিসে বলা হয়েছে যে, এ সকল গুনাহের কারণে মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না বা জান্নাতের ঘ্রাণ পাবে না অথবা বলা হয়েছে, জাহান্নামে প্রবেশ করবে। যথা:

১. ঈমান না আনা
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلا مُؤْمِنٌ
“ঈমানদার ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (বুখারী ও মুসলিম)
তিনি আরও বলেন,
لا تَدْخُلُوا نَ الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا
“তোমরা ঈমান না আনা পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না।” (সহীহ্‌ মুসলিম, হা/৫৪)
২. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া:
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ لا يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ
“যার অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সহীহ মুসলিম/৪৬)
৩. অহংকার করা:
রসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ
“যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার রয়েছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না ।” (মুসলিম, হা/৯১)
৪. চোগলখোরি ও পরনিন্দা করা:
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ نَمَّامٌ
“চুগলখোর বা পর নিন্দাকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না ।” (সহীহ মুসলিম, হা/১০৫)
তিনি আরও বলেছেন,
تَجِدُ مِنْ شَرِّ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِنْدَ اللَّهِ ذَا الْوَجْهَيْنِ الَّذِي يَأْتِي هَؤُلَاءِ بِوَجْهٍ وَهَؤُلَاءِ بِوَجْهٍ
“কিয়ামতের দিন সবচেয়ে খারাপ লোকদের দলভুক্ত হিসেবে ঐ ব্যক্তিকে দেখতে পাবে যে, যে ছিল দুমুখো- যে এক জনের কাছে এক কথা আরেক জনের কাছে আরেক কথা নিয়ে হাজির হত।” (সহীহ মুসলিম, হা/২৫২৬)
৫. আত্মহত্যা করা:
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
مَنْ تَرَدَّى مِنْ جَبَلٍ فَقَتَلَ نَفْسَهُ ، فَهْوَ فِى نَارِ جَهَنَّمَ ، يَتَرَدَّى فِيهِ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا ، وَمَنْ تَحَسَّى سَمًّا فَقَتَلَ نَفْسَهُ ، فَسَمُّهُ فِى يَدِهِ ، يَتَحَسَّاهُ فِى نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا ، وَمَنْ قَتَلَ نَفْسَهُ بِحَدِيدَةٍ ، فَحَدِيدَتُهُ فِى يَدِهِ ، يَجَأُ بِهَا فِى بَطْنِهِ فِى نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا
“যে ব্যক্তি নিজেকে পাহাড়ের ওপর থেকে নিক্ষেপ করে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে যাবে। সেখানে সর্বদা সে ওইভাবে নিজেকে নিক্ষেপ করতে থাকবে অনন্তকাল ধরে। যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করবে, সে তার বিষ তার হাতে থাকবে। জাহান্নামে সর্বদা সে ওইভাবে নিজেকে বিষ খাইয়ে মারতে থাকবে অনন্তকাল ধরে। যে কোনো ধারালো অস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যা করেছে তার কাছে জাহান্নামে সে ধারালো অস্ত্র থাকবে যার দ্বারা সে সর্বদা নিজের পেটকে ফুঁড়তে থাকবে। [সহীহ বুখারী : ৫৪৪২; মুসলিম : ১০৯]
৬. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ
"আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।" (সহীহ মুসলিম, হা/২৫৫৬)
৭. হারাম খাওয়া:
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ لَحْمٌ نَبَتَ مِنْ سُحْتٍ
"হারাম অর্থের মাধ্যমে (যে শরীরে) মাংস বৃদ্ধি পেয়েছে তা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। অর্থাৎ যে ব্যক্তি হারাম অর্থ ও অবৈধ উপার্জন দ্বারা দেহ গঠন করেছে জাহান্নামের আগুনই তার প্রাপ্য।" (তাখরীজ মিশকাতুল মাসাবীহ,সহীহ, আলবানী, হাদীস নং ২৭০৩)
৮. উপকার করে খোটা দেয়া
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنَّانٌ
“সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না যে উপকার করে খোটা দেয়।” সুনান নাসাঈ, হা/ ৫৬৮৮, সহীহ, আলবানী)
৯. তক্দীর (ভাগ্যের লিখন) অস্বীকার করা
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَاقٌّ ، وَلا مُدْمِنُ خَمْرٍ ، وَلا مُكَذِّبٌ بِقَدَرٍ
“পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, মদ্যপায়ী এবং তকদীর অস্বীকার কারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সিলসিলা সহীহা, হাসান, ৬৭৫)
১০. যাদুতে বিশ্বাস করা
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
‘তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে যাবে না।
(১) সর্বদা নেশাদার দ্রব্য পানকারী। (২) আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্নকারী। (৩) যাদুকে বিশ্বাসকারী’ (আহমাদ, মিশকাত, হাদীছ ছহীহ হা/৩৬৫৬)।
১১. মদ, গাঁজা ও নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
‘সর্বদা নেশাদার দ্রব্য পানকারী জান্নাতে যাবে না’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৭৬, হাদীছ ছহীহ)।
১২. গণক
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
" لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ خَمْسٌ ، مُدْمِنُ خَمْرٍ ، وَلا مُؤْمِنٌ بِسِحْرٍ ، وَلا قَاطِعُ رَحِمٍ ، وَلا مَنَّانٌ ، وَلا كَاهِنٌ "
“পাঁচ শ্রেণীর মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (তারা হল,) মদ্যপায়ী, যাদুর বৈধতায় বিশ্বাসী, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, চোগলখোর এবং গণক।” (মুসনাদে আহমদ, হাসান, আলবানী)
১৩. ঋণ পরিশোধ না করা
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট কোন ঋণগ্রস্ত মৃতের লাশ (জানাযার জন্য) নিয়ে আসা হলে জিজ্ঞেস করতেন, “সে ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করেছে কি না?” যদি বলা হত করেছে, তবে জানাযা পড়তেন। অন্যথায় (সাহাবীদেরকে) বলতেন,
صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ
“তোমরা তোমাদের সাথীর জানাযা পড়ে নাও (কিন্তু তিনি নিজে তাতে অংশ গ্রহণ করতেন না)। (সহীহ মুসলিম, হা/১৬১৯)
অন্য হাদীসে রয়েছে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
يُغْفَرُ لِلشَّهِيدِ كُلُّ ذَنْبٍ إِلَّا الدَّيْنَ
“শহীদের ঋণ ছাড়া সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।” (সহীহ মুসলিম, হা/১৮৮৬)
১৪. পুরুষ বেশধারী নারী
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
‘তিন শ্রেণীর মানুষ কখনো জান্নাতে যাবে না।
(১) যে ব্যক্তি তার পরিবারে বেহায়াপনার সুযোগ দেয়। (২) পুরুষের বেশধারী নারী। (৩) নিয়মিত নেশাদার দ্রব্য পানকারী’ (তাবরাণী, তারগীব হা/৩৩৮১; সহিহ হাদিস)।
১৫. দাইয়ুস
আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
ثَلاثٌ لا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ : الْعَاقُّ لِوَالِدَيْهِ ، وَالدَّيُّوثُ ، وَرَجُلَةُ النِّسَاءِ
“তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তারা হল, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, দাইয়ূস এবং পুরুষ বেশধারী নারী।” (সহীহুল জামে, আলবানী, হা/৩৬৩)
দাইয়ূস: রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
الدَّيُّوثُ الَّذِي يُقِرُّ فِي أَهْلِهِ الْخَبَثَ
“ঐ ব্যক্তিকে দাইয়ূস বলা হয় যে তার পরিবারের অশ্লীলতা ও কুকর্মকে মেনে নেয়।” (মুসনাদ আহমদ, নাসাঈ)
১৬. বৃদ্ধ ব্যভিচারী
১৭. মিথ্যাবাদী শাসক
১৮. অহংকারী দরিদ্র
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
ثَلاثَةٌ لا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ : شَيْخٌ زَانٍ ، وَمَلِكٌ كَذَّابٌ ، وَعَائِلٌ مُسْتَكْبِرٌ
“কিয়ামতের আল্লাহ দিন তিন শ্রেণীর লোকের সাথে কথা বলবেন না, তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে পীড়া দায়ক শাস্তি। তারা হল, বৃদ্ধ ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক, অহংকারী দরিদ্র। (মুসলিম, হা/১০৭)
১৯. কঠোর প্রকৃতি ও কটুভাষী লোক এবং যে ব্যক্তি মানুষের কাছে এমন বিষয় নিয়ে গর্ব-অহংকার প্রকাশ করে বেড়ায় প্রকৃতপক্ষে যা তার নিকট নেই
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ الْجَوَّاظُ ، وَلَا الْجَعْظَرِيُّ
“কঠোর প্রকৃতি ও কটুভাষী লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং ঐ লোকও নয় যে এমন সব বিষয়ে মানুষের নিকট গর্ব-অহংকার প্রকাশ করে বেড়ায় প্রকৃতপক্ষে যা তার কাছে নাই।” (আবু দাঊদ, হা/৪৮০১, সহীহ, আলবানী)
২০. মুসলিম সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ ভাবে বসবাসকারী অমুসলিমকে হত্যা করা
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
مَنْ قَتَلَ مُعَاهَدًا لَمْ يَرِحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ ، وَإِنَّ رِيحَهَا تُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ أَرْبَعِينَ عَامًا
“যে ব্যক্তি কোন মুয়াহিদ তথা মুসলিম সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ ভাবে বসবাসকারী কোন অমুসলিমকে হত্যা করবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের পথের দূরত্ব থেকে জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়।” (সহীহ বুখারী হা/৩১৬৬)
২১. বিশ্বাসঘাতক শাসক
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْتَرْعِيهِ اللَّهُ رَعِيَّةً ، يَمُوتُ يَوْمَ يَمُوتُ وَهُوَ غَاشٌّ لِرَعِيَّتِهِ إِلا حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ
"যাকে আল্লাহ তায়ালা জনসাধারণের শাসনকর্তা হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, কিন্তু সে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং বিশ্বাসঘাতক অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছে তাহলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন।" (সহীহ মুসলিম, হা/১৪২)
২২. মানুষকে প্রহার করা
২৩. মহিলাদের পর্দা হীনতা
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ ، لَمْ أَرَهُمَا قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ ، وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلَاتٌ مَائِلَاتٌ ، رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ ، لَا يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ وَلَا يَجِدْنَ رِيحَهَا ، وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا
“দু শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামে যাবে- যাদের আমি এখনো দেখি নি। (অর্থাৎ নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে তাদের আত্মপ্রকাশ হয় নি)
ক) এমন কিছু লোক যাদের হাতে থাকবে গরুর লেজের মত লাঠি। এরা তা দিয়ে জনগণকে প্রহার করবে।
খ) এবং ঐ সকল উলঙ্গ-অর্ধ উলঙ্গ নারী যারা (নিজেদের চলাফেরা ও বেশ-ভূষায়) মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করবে এবং নিজেরাও অন্য মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথায় উটের মত উঁচু এবং একপাশে ঝুঁকে থাকা চূড়ার মতো কেশ রাশি শোভা পাবে। এসমস্ত নারী জান্নাতে তো যাবেই না বরং জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না অথচ এত এত দূর থেকে জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়।” (সহীহ মুসলিম, হা/২১২৮)
এমন গুনাহ আরও আছে কিন্তু ব্যাপক প্রচলিত কিছু বিষয় এখানে তুলে ধরা হল।
আল্লাহর নিকট দুআ করি, তিনি যেন আমাদেরকে যে সব গুনাহ আমাদের জন্য জান্নাতের পথে বাধা সৃষ্টি করে এবং জাহান্নামের দিকে টেনে নিয়ে যায় সে সব গুনাহ থেকে হেফাজত করেন। আমিন।
-------------------
গুরুত্বপূর্ণ টিকা:
উপরোক্ত কাজগুলো কবীরা গুনাহের অন্তর্ভূক্ত। কবীরা গুনাাহে লিপ্ত ব্যক্তিরা যদি তওবা করার পূর্বেই মৃত্যু বরণ করে এবং আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা না করেন তবে তাদের পরিণতি জাহান্নাম। তবে আল্লাহ তায়ালা নিজ দয়া ও ইনসাফের ভিত্তিতে এদের মধ্যে যাকে খুশি ক্ষমা করে দিবেন যদি সে শিরক থেকে দূরে থাকে। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেন:
إِنَّ اللَّـهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَاءُ
“নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন।" (সূরা নিসা: ৪৮)
তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
( من مات وهو يعلم أنه لا إله إلا الله دخل الجنة (رواه مسلم
“যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় মারা গেল যে, (জীবিত অবস্থায়) সে ভালো করে জানত, ‘আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন সত্য ও সত্যিকার মা‘বুদ নেই, সে ব্যক্তি অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (সহীহ মুসলিম)
আর যাদেরকে তিনি ক্ষমা করবেন না তাদেরকে তিনি জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করবেন। পাপের শাস্তি ভোগ করার পর আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। অর্থাৎ তাওহীদপন্থী কবীরা গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তিরা প্রথম পর্যায়ে জান্নাতে প্রবেশকারীদের সাথে জান্নাতে প্রবেশ করবে না বরং জাহান্নামে গিয়ে শাস্তি ভোগ করার পর পরিশেষে জান্নাতে প্রবেশ করবে। কোন তওহীদপন্থীই অন্যান্য কাফেরদের মত চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে অবস্থান করবে না। এটাই হল, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের আকীদাহ। আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন। -অনুবাদক
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
المانعات من دخول الجنَّات من كتاب (100 كبيرة من كبائر الذُّنوب)
للدكتور/ صالح بن عبد الله الصّياح
জান্নাতের পথে বাধা সৃষ্টি করে যে সব কাজ:
একশটি কবীরা গুনাহ বই থেকে
মূল: ডক্টর সালিহ বিন আবদুল্লাহ সাইয়াহ
অনুবাদক: আবদুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
দাঈ, জুাবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব

শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০

চলে গেলেন অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম সারোয়ার সাঈদী রাহিমাহুল্লাহু : ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ প্রখ্যাত মোফাসসির, গবেষক ও আড়াইবাড়ী সাঈদীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হযরত মাওলানা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (পীরসাহেব আড়াইবাড়ী) মহান মাওলার ডাকে সাড়া দিয়ে আজ ভোর ৪.১০ মিনিটে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বাংলাদেশের আপামর জনগণ বিশেষ করে মুক্তি পাগল যুব সমাজের অন্তরকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছিলেন শায়েখ গোলাম সারোয়ার সাঈদী রাহিমাহুল্লাহু। একজন দা’য়ী ইলাল্লাহ হিসেবে মানুষের কাছে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতার এক মহান ব্যক্তিত্ব। মহান আল্লাহর পথে তাঁর প্রতিটি আহবান মানুষকে চমৎকারভাবে আলোড়িত করতো। ইলমে দ্বীনের এই খেদমত মানুষকে যুগ-যুগ ধরে অনুপ্রাণিত করবে। ইতিমধ্যে তিনি দুনিয়ার সফর শেষ করেছেন। শুরু হয়েছে তাঁর অনন্তকালের সফর।

এই সফরে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাঁর একান্ত সাহায্যকারী হোন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও শান্তিময় করে দিন। ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতের উচ্চ মাকাম আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁকে দান করুন। আমীন।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁর পরিবার-পরিজন, আত্নীয়স্বজনকে সবরে জামিল দান করুন।

উল্লেখ্য আজ ২১ নভেম্বর শনিবার বাদ আসর আড়াইবাড়ী দরবার শরীফে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ । 

ভাবছিলাম মরহুম গোলাম সারওয়ার সাঈদী সাহেবের কথা

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আমরা কেন যেন সময় থাকতে মানুষকে মুল্যায়ন করতে শিখলাম না। বড়ো মানুষগুলোকে বড়ো পরিসরে নিয়ে আসতেই আমাদের বড্ড দেরি হয়ে যায়। ভাবছিলাম মরহুম গোলাম সারওয়ার সাঈদী সাহেবের কথা। হুজুর আজ ভোররাতে ইন্তেকাল করলেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

নির্মোহভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, তিনি এত লম্বা সময় ধরে দাঈ হিসেবে কাজ করছেন, ওস্তাদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, অথচ নির্দিষ্ট কিছু জনপদের বাইরে এ মানুষটিকে অনেকেই কয়েক বছর আগেও চিনতো না।
সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙ্গালী তুমুলভাবে তার ভক্ত হতে শুরু করলো, বিগত দু এক বছর ধরেই। বিশেষ করে, করোনা মহামারির শুরুর দিকে, অন্যন্য অনেক দেশের মতো যখন বাংলাদেশেও মসজিদে জামাতে নামাজকে সীমিত করে দেয়া হয়, তখন মাওলানা গোলাম সারওয়ার সাঈদী আফসোস করে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, যুবকদেরকে মসজিদে যাওয়ার জন্য উদ্বুুদ্ধ করে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তাই তাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। আমি এ বক্তব্যটি ইংরেজি ও আরবিতে সাবটাইটেল করে বিভিন্ন দেশের ফেসবুক পেইজে প্রচারও হতে দেখেছি।
এর পরপরই মানুষজন তার নাম সার্চ দিয়ে দিয়ে তার অন্যন্য বক্তব্যগুলো শুনতে শুরু করে। লকডাউনে তিনি নিজেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ফোরামের ডাকে সাড়া দিয়ে অসংখ্য জুম আলোচনা ও সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। এতটা সক্রিয় তাকেও আমরা আগে পাইনি। আর যারা আয়োজক তারাও তাকে ইতোপূর্বে সেভাবে খুঁজে বের করতে পারিনি। তাহলে আমরা হয়তো হুজুরের আরো খেদমত নিতে পারতাম।
’তার উপস্থাপনা কৌশলটি অন্যন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম ও নান্দরিক ছিল। তিনি মানুষকে খোদার পথে আসার জন্য আকুতি ভরা কন্ঠে আহবান জানাতেন। তবে নিজের ব্যক্তিত্বকে বিসর্জন দিতেন না। আল্লাহ তার সকল খেদমত কবুল করুন, তাকে জান্নাত নসীব করুন। আমিন।
করোনা এবার অনেক বেশি আগ্রাসী ভূমিকায়। যাকে ভালোমতো ধরছে, তার ফিরে আসা যেন সত্যিই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর সবচেয়ে বড়ো কথা, পৃথিবীর মাটি থেকে বরকতময় ও পূণ্যবান মানুষেরা বিদায় নিচ্ছেন। নেককার অভিভাবকদের যে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে আল্লাহ যেন তা থেকে আমাদেরকে হেফাজত করেন। আমিন।
( Ali Ahmad Mabrur)

আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদীর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জামায়াত’র আমীর ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদীর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান
২১ নভেম্বর ২০২০ তিনি এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী কিছু দিন পূর্বে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়ে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তিনি ২১ নভেম্বর ভোর ৪:১০টায় ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাউিজন)। তিনি ছিলেন উপমহাদের একজন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার। তিনি আলেম-উলামা ও তৌহিদী জনতার প্রিয় রাহবার।
আমি তার ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তার যুক্তিপূর্ণ জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য সমাজের সকল স্তরের মানুষের হৃদয়কে দারুণভাবে আকৃষ্ট করত। দা’য়ী ইলাল্লাহ হিসেবে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতার এক মহৎ ব্যক্তি। তিনি ছিলেন বহু আলেমের উস্তাদ। ইলমে দ্বীনের খেদমতের জন্য যুগ যুগ ধরে এ দেশের মানুষ তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তার ইন্তিকালে জাতি একজন খ্যাতিমান আলেমে দ্বীনকে হারাল। তার শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়।
শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, আমি মহান রবের নিকট কায়মনোবাক্যে দোয়া করছি, তিনি যেন তাকে ক্ষমা করে দিয়ে শাহাদাতের মর্যাদা দান করেন। আমি তার শোকাহত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাক্সক্ষী ও ছাত্রদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

আড়াইবাড়ি দরবার শরীফের পীর গোলাম সারোয়ার সাঈদী'র ইন্তেকাল!

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আড়াইবাড়ি দরবার শরীফের সম্মানিত পীর জনাব গোলাম সারোয়ার সাঈদী হুজুর ২১ নভেম্বর ভোর ৪:১০ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।

এদেশে ইসলামের প্রচার-প্রসার আর মানুষকে হেদায়েতের সঠিক পথে পরিচালনায় অগ্রণী ভূমিকা পালনকারীদের একজন ছিলেন মরহুম  পীর গোলাম সারোয়ার সাঈদী।

সম্প্রতিকালে অনলাইন মিডিয়ায় মরহুমের অনেক দাওয়াতি বক্তব্য প্রচার হয় যা দল-মত নির্বিশেষে সকল মুসলিমদের নিকট ছিল গ্রহণযোগ্য এবং হেদায়েতের পাথেয় স্বরূপ।


বিশেষ করে দরদ মাখা কন্ঠে বিপথগামী তরুণদের প্রতি ওনার জান্নাতি আহ্বান নাড়া দিয়েছে অসংখ্য তরুণের হৃদয় কোঠরে। জাহিলিয়াতে সয়লাব শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে বেড়ে ওঠা অসংখ্য তরুণরা হুজুরের আহবানে পেয়েছে হেদায়েতের পথ, স্বপ্ন দেখেছে নতুন ভাবে জীবন গড়ার। 
 তার অনেক ভক্ত-অনুরক্ত সামাজিক মিডিয়ায় তার জন্য দোয়া করেছেন এই বলে, হে বিচার দিবসের মালিক, উম্মার হেদায়েতের জন্য যে দরদী ভূমিকা তিনি রেখেছেন একইভাবে আপনিও আপনার দরদমাখা ভালোবাসা দিয়ে মরহুমকে ধন্য করুন। দান করুন জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা জান্নাতুল ফেরদৌস। আর আপনার সান্নিধ্য দিয়ে পূর্ণ করিয়েন প্রাপ্তির সবটুকু। (আমিন)

মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত মেছবাহর অসহায় পরিবারের সাহায্যের আবেদন

  

বাংলাদেশবার্তাডেস্কঃ মাদার বাজারের এক সময়ের সফল এবং জনপ্রিয় ব্যাবসায়ী ছাদিকুর রহমান মিছবাহ। সবাই যাকে এক নামে চিনতো। সেই মিছবাহ মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে ২০১৮ সালে। 

২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত মিছবাহ এর চিকিৎসা বাবদ / লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। এখনও ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা লাগবে। যা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নামিছবার বাবা নেই এমন কি কোন ভাই  নেই। একমাত্র মা তিনি নিজেও এখন অসুস্থ।


 এতোদিন আত্মীয়স্বজন এবং এলাকার দানশীল ব্যক্তি এবং প্রবাসীদের সহোযোগিতায় সাধ্যমত চিকিৎসা চালিয়েছেন এখন তা  সম্ভব হচ্ছে না। প্রতি মাসে দুইবার কেমোথেরাপী দিতে হয় যার ব্যায় নিতান্ত ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।

 আজ / মাস চলছে মুখে খাবার বন্ধ। গলায় শ্বাসনালীতে পাইপ লাগানো আছে।

 

ঠিকানাঃ-

নামঃছাদিকুর রহমান মিছবাহ

গ্রামঃলতিব পুর

ডাকঃলতিব পুর

থানাঃওসমানী নগর

উপজেলাঃওসমানী নগর

জেলাঃসিলেট।

মোবাইল নংঃ০১৭১১-৯৮৩৩২৬


বৃদ্ধ ও অসহায় মায়ের একমাত্র সন্তান এবং ৩ জন অবুঝ সন্তানের পিতা ছাদিকুর রহমান মিছবাহ বাঁচতে চায়! তাই সকলের সাহায্য ও সহযোগিতা চেয়েছেন।

সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে চাইলে সরাসরি এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন।

📞+88-01711-983326

 Bkash  (Personal) Number: 01711-983326