বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আমরা কেন যেন সময় থাকতে মানুষকে মুল্যায়ন করতে শিখলাম না। বড়ো মানুষগুলোকে বড়ো পরিসরে নিয়ে আসতেই আমাদের বড্ড দেরি হয়ে যায়। ভাবছিলাম মরহুম গোলাম সারওয়ার সাঈদী সাহেবের কথা। হুজুর আজ ভোররাতে ইন্তেকাল করলেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
নির্মোহভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, তিনি এত লম্বা সময় ধরে দাঈ হিসেবে কাজ করছেন, ওস্তাদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, অথচ নির্দিষ্ট কিছু জনপদের বাইরে এ মানুষটিকে অনেকেই কয়েক বছর আগেও চিনতো না।
সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙ্গালী তুমুলভাবে তার ভক্ত হতে শুরু করলো, বিগত দু এক বছর ধরেই। বিশেষ করে, করোনা মহামারির শুরুর দিকে, অন্যন্য অনেক দেশের মতো যখন বাংলাদেশেও মসজিদে জামাতে নামাজকে সীমিত করে দেয়া হয়, তখন মাওলানা গোলাম সারওয়ার সাঈদী আফসোস করে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, যুবকদেরকে মসজিদে যাওয়ার জন্য উদ্বুুদ্ধ করে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তাই তাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। আমি এ বক্তব্যটি ইংরেজি ও আরবিতে সাবটাইটেল করে বিভিন্ন দেশের ফেসবুক পেইজে প্রচারও হতে দেখেছি।
এর পরপরই মানুষজন তার নাম সার্চ দিয়ে দিয়ে তার অন্যন্য বক্তব্যগুলো শুনতে শুরু করে। লকডাউনে তিনি নিজেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ফোরামের ডাকে সাড়া দিয়ে অসংখ্য জুম আলোচনা ও সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। এতটা সক্রিয় তাকেও আমরা আগে পাইনি। আর যারা আয়োজক তারাও তাকে ইতোপূর্বে সেভাবে খুঁজে বের করতে পারিনি। তাহলে আমরা হয়তো হুজুরের আরো খেদমত নিতে পারতাম।
’তার উপস্থাপনা কৌশলটি অন্যন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম ও নান্দরিক ছিল। তিনি মানুষকে খোদার পথে আসার জন্য আকুতি ভরা কন্ঠে আহবান জানাতেন। তবে নিজের ব্যক্তিত্বকে বিসর্জন দিতেন না। আল্লাহ তার সকল খেদমত কবুল করুন, তাকে জান্নাত নসীব করুন। আমিন।
করোনা এবার অনেক বেশি আগ্রাসী ভূমিকায়। যাকে ভালোমতো ধরছে, তার ফিরে আসা যেন সত্যিই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর সবচেয়ে বড়ো কথা, পৃথিবীর মাটি থেকে বরকতময় ও পূণ্যবান মানুষেরা বিদায় নিচ্ছেন। নেককার অভিভাবকদের যে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে আল্লাহ যেন তা থেকে আমাদেরকে হেফাজত করেন। আমিন।
( Ali Ahmad Mabrur)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন