বাংলাদেশ বার্তাঃ সিলেট জেলার বিয়ানী বাজার উপজেলার দক্ষিণ চক্রবানি গ্রামের মাওলানা আব্দুস সালাম তরুন বয়সে আজ (১২-০৯-২০১৭) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ ঘটিকায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন " ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
দীর্ঘ প্রায় ২৪/২৫ পূর্বে বিশ্বনাথে আসেন লেখাপড়া করার উদ্দেশ্যে। একসময় লেখাপড়া শেষ করে প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথকেই তিনি তার কর্মক্ষেত্রের জন্য বেচে নেন। শুরুতেই স্থানীয় ওমর ফারুক (রাঃ) একাডেমীতে কিছুদিন শিক্ষকতা করে ইমাম হিসেবে যোগদেন স্থানীয় সুড়িরখাল মসজিদে। একনাগাড়ে দীর্ঘ প্রায় ১৯ বছর ধরে তিনি উক্ত মসজিদে ইমামতি করে আসছিলেন । এর পাশাপাশি বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী বড় কারিকোনার মসজিদে গত ২২ বছর পবিত্র রমজান মাসে মাসব্যাপী কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রে শুরুতে সহকারী ক্বারী ও পরবর্তীতে প্রধান ক্বারী হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ।
বিশ্বনাথে সালাম হুজুর হিসেবে ব্যাপক পরিচিত এই ইমাম সাহেবের অমায়িক ব্যবহারে সবাই ছিল তারই গুনমুগ্ধ। গত ৭ রমজান সুড়িরখাল মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে হঠাৎ করে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুড়িরখাল গ্রামবাসী তখন তাকে জরুরী ভিত্তিতে ডাঃ শামসুদ্দীন হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় তাঁর চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসেন প্রবাসে ও দেশে তাঁর ছাত্র-ছাত্রী, বিশ্বনাথের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার শুভাকাংখিরা। পরবর্তীতে সিলেট শহরের ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। উচ্চ ডায়াবেটিকস ও কিডনীতে জঠিল সমস্যার কারণে দ্রুত তার পায়ে দুটি অপারেশন করা হয়। এরই মধ্যে পা থেকে মাংস কেটে ফেলায় সেই ক্ষত স্থানটি শুকায়নি। যার কারণে তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছিলো এবং অবশেষে ইবনে সিনা হাসপাতাল থেকে ওসমানী মেডিকেলে স্থানান্তরিত করা হয়।
মাওলানা আব্দুস সালাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরবিশ্বনাথ উপজেলা শাখার সাবেক সাথী ও থানা শাখার বায়তুলমাল সেক্রেটারী ছিলেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিশ্বনাথ ইউনিয়ন শাখার সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ইমাম সমিতির বিশ্বনাথ ইউনিয়নের সেক্রেটারির দায়িত্বে ছিলেন।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সিলেট (দক্ষিণ) জেলা শাখার সভাপতি ফখরুল ইসলাম খান ইসলামী আন্দোলনের নিরব এই নিবেদিত প্রাণ কর্মীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ এবং তাঁর শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ঞ্জাপন করেন এবং আল্লাহ তায়া'লার কাছে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করেন যেন মহান আল্লাহ তাঁর সমস্ত খাতা-কসুর ক্ষমা করে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন