ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

যেই বর্বরতা আইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও হার মানায়।


বাংলঅদেশ বার্তাঃ ওদের ঘর-বাড়ী, চাষযোগ্য জমি, দোকান-পাট, আত্বীয়-স্বজন সবই ছিল। সুন্দর সুখী জীবনও চলে ঠিকঠাক মতো। হঠাত বার্মার মগদের জুলুম-নির্যাতন, হত্যার মধ্য দিয়ে চলছে বর্বরতা। যেই বর্বরতা আইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও হার মানায়। ও এখন ফকির, মিসকিন,পথের ভিকারী উদ্বাস্তু, রিফোজী ও শরনার্থী।
যারা দেখেছেন বা তাদের কাছ থেকে সরাসরি শুনেছেন তারা ছাড়া হয়তো বাকীদের বিশ্বাস করতে কষ্ঠ হবে।
জাতিসংঘ কিংবা আন্তর্জাতিক জরিপে মৃত্যুর সংখ্যা যাই বলা হউক না কেন বার্মায় লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে নির্মমভাবে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করেছে। মায়ের সামনে ছেলেকে, বউ এর সামনে জামাইকে, দুধুের শিশুকে মায়ের কোলে হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে বার্মা থেকে আগত রোহিঙ্গারা নির্বাক। বিয়ের মাত্র ৭দিনের মাথায় ঘটনা শুরু হলে স্বামী নিয়ে পালিয়ে আসার চেষ্টাকালে জামাইকে দাঁড়ানো অবস্থায় জবাই করে মগ সেনারা। তার বর্ণনা দিতেই জ্ঞান হারায় স্বামী হারা ফাতেমা। ৭৫ বছর বয়সী মোস্তফা ৯০ বছরের মাকে নিয়ে দু জনই লাঠি ধরে দীর্ঘ ৭দিন হেঠে অবশেষে হ্নীলা খানজার পাড়া গ্রামে প্রবেশ করলেও পরিবারের বাকীদের কোন খবর জানেন না। ২৫ বছর বয়সী মরিয়ম জানান তারা মংডুর পাহাড়ের পূর্বপাড় থেকে ৭০ জনের মতো দল বেঁধে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার জন্য রওয়ানা দেয়। দুই দিন হাটার পর সীমান্তের কাছে মগ সেনারা তাদের ঘিরে ফেলে। নারীদের নিয়ে যায় তাদের ক্যাম্পে। নিয়ে যাওয়ার সময় পাহাড়ে গুটি কয়েকজন পালিয়ে গেলেও বাকীদের অবস্থা কি জানেনা আর যুবক যারা ছিল তাদের সবাইকে পথের ধারেই জবাই করে হত্যা করে মগ সেনারা। জঙ্গলে আশ্রয় নেয়া মরিয়ম আরো জানান ২দিন জঙ্গলে থেকে একটি পাহাড়ের উপর দিয়ে কোন রকম নাফ নদীর পাড়ে আসে। রাতে যখন নাফ নদী পার হওয়ার জন্য নৌকায় উঠি তখনও মগ সেনারা গুলি চালায় এমন কি বাংলাদেশের সীমানায় আসার পরও ধান ক্ষেতের মধ্যেও ওপার থেকে গুলি চালায় তারা। এভাবে হাজারো ঘটনা, হাজারো ইতিহাস, হাজারো করূন অবস্থা শুনতে বেশী দূর যেতে হচ্ছে না। এই নির্মমতা থেকে মানবতা কখন মুক্তি পাবে। যারা প্রাণী হত্যা মহাপাপ বলে তারাই লক্ষ লক্ষ প্রাণী না, মানবজাতিকে হত্যা করছে। হে আল্লাহ তুমি সব ক্ষমতার অধিকারী। তুমি ফায়সালা দাও।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন