ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

আমরা কি জাতি হিসাবে এতটাই চরিত্রহীন ?

বাংলাদেশ বার্তাঃ আরাকানে মুসলমানদের উপর পরিচালিত গণহত্যা, ধর্ষন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের শিকার ভাই-বোনগুলো অনন্যোপায় হয়ে আমাদের মাতৃভুমিতে আশ্রয় নিচ্ছে। আরাকান বলেন আর বাংলাদেশ বলেন, এটি আল্লাহর সৃষ্ট জমিন। পৃথিবীতে প্রাকৃতিক ভুমিকম্পে , বিপর্যয়ে কত দেশ , ভুখন্ড়, জাতি তলিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে ইতিহাস থেকে ও। আমরা ও কিছু দিন পর মারা গেলে সব হারিয়ে আমল নামার মুখুমোখি হবো। আমাদের বা আমার বলে আর কিছু থাকবে না। আমার বাংলাদেশ, তোমার আরাকান বলার মানসিকতাও জাগবে না্ । সবাই নিজেকে নিয়ে প্রচন্ড়ভাবে চিন্তিত হয়ে পড়বে। টেকনাফ বা বাংলাদেশ বলে কিছু থাকবে না যদি আল্লাহর ক্রোধের শিকার হয়ে একটি ভুমিকম্প গ্রাস করে । মাটির গহীনে তলিয়ে যেতে বেশী সময় লাগবে না। (আল্লাহ হেফাজাত করুন)
তাহলে কিসের এত বড়াই, এত বাহাদুরী , যে আমাদের দেশে রোহিঙ্গারা এসেছে , তাই বলে তাদের সাথে যা ইচ্ছা ব্যবহার করব ! কেউ বলছে যে এত রোহিঙ্গারা এসেছে তাদের আমরা খাওয়াব কেন ? তারা ফিরে যাক , হ্যা, তারা অবশ্যই ফিরে যাবে যদি তাদের দেশে বসবাসের পরিবেশ পায়। নিজের মাতৃভুমির চেয়ে আপন আর কি আছে ? তা রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি আমরা যারা মাতৃভুমি ছেড়ে পরদেশে থাকি তারা হাড়ে হাড়ে উপলদ্ধি করি। যতই মুসলিম দেশ হোকনা কেন , যখন বলে তোমরা বাংলাদেশীরা খুব ফকির , অমুক দেশে তোমাদের দেশের লোকদের খুব হীন কাজ করতে দেখেছি, তুমি পড়াশুনা শেষ করতে আর কত দিন লাগবে ? তুমি কখন চলে যাবে, চলে যাবে নাকি এখানে থেকে যাবে? ইত্যাদি । তখন মাতৃভুমির জন্য নিজের অজান্তেই অশ্রুগড়িয়ে পড়ে। আমার দেশে অন্তত কেউ আমাকে কখন চলে যাবে প্রশ্ন করেনা বা আমি অন্য কোথাও চলে যাওয়াটা আশা করে না। আর যারা অমুসলিম দেশে থাকে তাদের তো কথা নেই। আজ আরাকানীরা ও হাজারগুন কঠিন বিপদের সম্মুখীন । কিন্তু তাই বলে কি তাদের এ বিপদে তাদের সাথে উপহাস করতে হবে ? তাদের জন্য আসা সাহায্য , ত্রাণ, টাকা পয়সা লোট করে খেতে হবে ? তাদের সর্বস্ব হারানো মা-বোনদের ইজ্জতে আঘাত করতে হবে? তাদের পতিতালয়ে পাঠাতে হবে? মা, বাবা, ভাই, বোন , স্বামী, ছেলে - মেয়ে হারানো অসহায় এ নারীদের আবার বাংলাদেশে ও ধর্ষণ করতে হবে ? সেই পরিস্থিতিতে আপনি আমি পড়লে কি করব ? 
এ কেমন জাতি আমরা ? যেই করুক, ব্যক্তি, দল, বংশ পরিচয় তার যাই হোক , সে বা তার দল , ওরা কি মানুষ ? আপনিকি ওদের এখনো মানুষ মনে করেন ? অসহায় এ মানুষগুলোর কিছু করার ক্ষমতা নাই বলে কি আপনি তার ইজ্জত আব্রু সব ছিনিয়ে নিবেন ? তাদের কিছু করার ক্ষমতা না থাকলেও কি আল্লাহর কাছে চোখের পানি ফেলে বিচার দেয়ার ক্ষমতা ও নেই মনে করেন ? আর মাজলুমের দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে রাসুল (সা) কি বলেছেন সবার কম বেশী জানা থাকার কথা । 
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুল (সা.) বলেছেন, তিন ধরনের লোকের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ১. রোজাদার , ইফতারের সময় করা দোয়া, ২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া, ৩. মজলুমের দোয়া। মজলুম ব্যক্তির দোয়াকে আল্লাহ মেঘমালার ওপর উঠিয়ে নেন এবং এ জন্য আসমানের সব দরজা খুলে দেওয়া হয়। আল্লাহ বলেন, আমার ইজ্জতের কসম! আমি তোমাকে অবশ্যই সাহায্য করব, যদিও তা কিছুকাল পরে হয় (তিরমিযি)। (অারেক হাদীসে মা- বাবার দোয়ার কথা আছে)

মিয়নমারে হিংস্র- বৌদ্ধরা তাদের নারীদের সাথে যা করেছে , বাংলাদেশে বাঙ্গালী নামধারী মুসলমানরাও যদি একই আচরণ করে, তাহলে আল্লাহর গজব যদি আসে , শুধু মায়ানমারে কেন বাংলাদেশেও তো আসতে পারে, খুব দুরে নয়তো।
আর তাদের নারীদের যদি আপনার এতই পছন্দ হয় তাহলে তারা মুসলিম আপনিও মুসলিম, শরীয়াত মেনে বিয়ে করে নেন। অবশ্যই এতে অনেকের আপত্তি থাকবে, কারণ তারা গরিব এবং মুসলিম , কিন্তু হাসিনা বা আসাদুজ্জমান নুরদের ছেলে মেয়েরা সাদা চামড়াওয়ালা- ওয়ালীদের বিয়ে করলে তখন অসুবিধা হয় না, তখন হয় প্রগতির আরেকধাপ অগ্রগতি। বাংলাদেশী যুবকরা, হিন্দু নায়ক-নায়িকা সেজে আসা পতিতাদের বিয়ে করলে ও তা প্রগতি হিসাবে চালানো হয়। আর যারা রোহিঙ্গা মেয়েদের বিয়ে করাকে আপত্তি জনক মনে করেন তারা একটু এগিয়ে এসে তাদেরকে যৌন হয়রানী কারীদের ঠেকান না। তার বাপের নাম ভুলিয়ে দেন না। না সে ক্ষেত্রে কেউ নেই।
বিশেষ করে যে সব কুলাঙ্গার অসহায় আরাকানী বা বাংলাদেশী যেদেশীই হোক নারীদের গায়ে হাত দেয় তাদের সরকারী আইনের মুখোমুখি করা উচিৎ , কঠিন শাস্তি দেয়া উচিৎ যেন সে নরপশুরা সমাজের অন্যদের আর ক্ষতি করতে না পারে। এটি আইন শৃংখলা রক্ষার জন্য ও খুবই জরুরী। আর রাস্ট্র যদি তাদের শাস্তির পরিবর্তে আশ্রয়- প্রশ্রয় দেয়, কোন দলের লাইসেন্সধারী হুমরা-চোমরা হয়, তাহলে জনগনের উচিৎ তাদের হাত-পা ভেঙ্গে ইতিহাস থেকে নাম- নিশানা মুছে ফেলা। কারণ এই ধর্ষক - লুটেরাদের কৃত অপরাধের ফলে প্রিয়মাতৃভুমি অপমানিত হচ্ছে। আল্লাহর গজবের শিকার হচ্ছে। সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশী জনগণের এতগুলো মানবিক আচরণের প্রচার না পেয়ে খারাপ গুলো প্রচার পাচ্ছে। 
পরিচিত বিদেশীদের অনেকেই আমার কাছে জানতে চায় , সারা পৃথিবী থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য আসা সাহায্যগুলো কি সত্যিই রোহিঙ্গারা , মানে নতুন আসা অসহায় রোহিঙ্গারা পাচ্ছে ? আমি দেশের ইজ্জত বাচানোর জন্য জোর গলায় হ্যা- সুলভ জবাব দিলে ও আসল চিত্র আপনার যারা রোহিঙ্গাদের পাশে থেকে দেখছেন, তারাই ভাল জানেন। অসহায় রোহিঙ্গারা পাচ্ছে নাকি সরকারী দলের চির দরীদ্র প্রভাবশালী নেতা কর্মী, আমলা - পুলিশরা খাচ্ছে। 
বিদেশীদের ত্রাণ পেলে কিছু কিছু আল্লামা, মাওলানা, ফাউন্ড়েশন, এমপি,মন্ত্রী, সবাই গরিব হয়ে যায় । লুটে- পুটে খেতে হোমড়ি খেয়ে পড়ে। হিংস্র হায়েনার মত ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেরাই সাবাড় করে ফেলে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আবার বলতে হবে ”এত কোটি মানুষের এত কোটি কম্বল, আমারটা কই, সবাই পায় সোনার খনি , আমি পাই চোরের খনি “। চোরের দল - চাটার দল , আবার সব চেটে খাওয়ার জন্য হাজির। 
তখন ভুখা নাঙ্গাদের সাথে সুর মিলিয়ে সকল মাজলুম চিৎকার করে বল , ভাত দে হারামজাদা - নয়লে তোর মানচিত্র চিবিয়ে খাব।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন