স্টাফ রিপোর্টার : ২৮ অক্টোবরের খুনিদের বিচারের দাবীতে গতকাল বুধবার রাজধানীর ৭টি স্পটসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। দেশব্যাপী জামায়াতের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের বাধা প্রদান ও লাঠিচার্জ এবং ঢাকায় মিছিল শেষে ঢাকা মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মোবারক হোসাইনসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ এ সময় রাজধানীতে অর্ধশতাধিক, বগুড়ায় ৩, রংপুরে ১১, নীলফামারীতে ২, মৌলভীবাজারে ২, সুনামগঞ্জে ১, মাদারীপুরে ১ জন, বরিশালে ৩, সিরাজগঞ্জে ৫ এবং ফেনী থেকে ১জনকে গ্রেফতার করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরীর সহকারি সেক্রেটারি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দীন বলেছেন, ২৮ অক্টোবরের নির্মম ও পৈশাচিক হত্যাকান্ড বিশ্বের সকল নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। তাই মানবিক মূল্যবোধ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ঘাতকদের বিচারের কোন বিকল্প নেই। তিনি টালবাহানা পরিহার করে অবিলম্বে ২৮ অক্টোবরের খুনীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় আওয়ামী লীগকে একদিন ইতিহাসের আস্তকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে।
কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসাবে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে জামায়াতের সমাবেশে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি একথা বলেন। মিছিলটি কুড়িলে বিশ্বরোড থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর মজলিশে শূরা সদস্য অধ্যাপক আ জ ম কামাল উদ্দীন, শেখ নেয়ামুলক করিম ও মিজানুর রহমান, জামায়াত নেতা জিল্লুর রহমান ও ছাত্রনেতা তারিক হাসান প্রমুখ।
সেলিম উদ্দীন বলেন, ২৮ অক্টোবরের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং এটি ছিল দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে সাংবিধানিক ও আইনের শাসনের পরিবর্তে দেশকে স্বৈর ও ফ্যাসীবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্যই লগি-বৈঠার দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে নারকীয় তান্ডব চালায় এবং ২৮ অক্টোবর পল্টনে ৬ নেতাকর্মীকে রাজপথে পিটিয়ে হত্যা করে দানবীয় উন্মততাই মেতে ওঠে। তারা শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং শহীদদের লাশের উপর নৃত্য করে। প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে এভাবে মানুষ পিটিয়ে হত্যা হালাকু খানের বাগবাদ ধ্বংসের নিষ্ঠুরতা ও নির্মমতাকে মানিয়েছে। তাই এসব নরঘাতক দিয়ে শাস্তি ইতিহাসকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে।
মিরপুর অঞ্চল : জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরীর সহকারি সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন বলেছেন, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধবংস করে দেশকে ফ্যাসীবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য ২৮ অক্টোবর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে। কিন্তু সরকার ঘাতকদের বিচার না করে তাদেরকে মামলা থেকে অব্যহতি দিয়েছে। তিনি সময় থাকতে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে অবিলম্বে খুনীদের বিচারের আওতায় আনার আহবান জানান। অন্যথায় গণবিরোধী সরকারকে গণরোষের মুখোমুখী হতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে জামায়াতের সমাবেশে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ তিনি এ কথা বলেন। মিছিলটি মিরপুর থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ মাহফুজুর রহমান, ছাত্রনেতা তামীম আহমদ, কাফরুল থানা আমীর অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, রূপনগর আমীর আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ভাষানটেক সেক্রেটারি আলাউদ্দীন মোল্লা প্রমুখ।
সমাবেশে মোবারক হোসাইন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মুখে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসার কথা বললেও তারা ২৮ অক্টোবরের খুনীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নানাভাবে পুরস্কৃত করেছে। যা সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের পরিপন্থি। কিন্তু জনতার আদালতে খুনীদের কোন রেহাই নেই। তিনি জালিম সরকারের পতনের ঘটিয়ে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ২৮ অক্টোবরের শহীদদের রক্তের বদলা নেয়া হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে ঢাকা মহানগরীর সহকারি সেক্রেটারি মোবারক হোসাইনসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
উত্তরা জোন : উত্তরা জোনের উদ্যোগে নগরীর উত্তরায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণখান থানা আমীর এ এইচ এম আতিকুর রহমান, সেক্রেটারি এডভোকেট মনিরুল হক, বিমানবন্দর থানা আমীর মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, খিলগাঁও আমীর আব্দুল মান্নান পান্না, বিমানবন্দর সেক্রেটারি এডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, তুরাগ সেক্রেটারি এস আর মোল্লা, ছাত্রনেতা আইয়ুব আলী ও কামরুল হাসান প্রমুখ।
খিলগাঁও জোন : খিলগাঁও জোনের উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর মজলিশে শূরা সদস্য সগীর বিন সাঈদ, জামায়াত নেতা আবু তুবা, আবু আম্মার, আবু মাহি ও খোবায়েব এবং ছাত্রনেতা সি এম রেজা প্রমুখ।
পল্টন-মতিঝিল : পল্টন-মতিঝিল জোনের উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি মালিবাগ রেল গেইট থেকে শুরু হয়ে রামপুরা বিটিভির সামনে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দীন, মজলিশে শূরা সদস্য শামসুর রহমান, ছাত্রনেতা সোহেল রানা মিঠু ও জামায়াত নেতা সাইদুর রহমান প্রমুখ।
মোহাম্মদপুর জোন : মোহাম্মদপুর জোনের উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বাংলা মোটর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন। উপস্থিত ছিলেন মজলিশে শূরা সদস্য শেখ শরীফ উদ্দীন আহমদ, জিয়াউল হাসান, এডভোকেট জসিম উদ্দীন তালুকদার ও ডা. কফিউর রহমান, হাজারীবাগ সেক্রেটারি আব্দুল বারী আকন্দ, ছাত্রনেতা মুজাহিদুল ইসলাম মুন্না ও সৌরভ প্রমুখ।
যাত্রাবাড়ী জোন : যাত্রাবাড়ী জোনের উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি ডেমরা সড়ক থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরীর মজলিশে শূরা সদস্য ড. আব্দুল মান্নান। উপস্থিত ছিলেন শূরা সদস্য হাফিজুর রহমান ও আবুল কাসেম, জামায়াত নেতা নিজামুল হক নাঈম, ছাত্রনেতা সাদেকবিল্লাহ ও রিয়াজ উদ্দীন, জামায়াত নেতা আশরাফ আলী, জাফরুল্লাহ প্রমুখ। সমাবেশে শেষে পুলিশ অতর্কিত জনতার উপর নির্বিচার গুলীবর্ষণ করে। এতে ১০ জন আহত হয়। গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে।
রাজশাহী অফিস : ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর জামায়াত ও শিবিরের নেতা কর্মীদের নৃশংসভাবে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরী গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় লক্ষ্মীপুর এলাকায় এক বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে রাজশাহী জিপিও’র সামনে এসে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীরা লগি-বৈঠা দিয়ে হামলা চালিয়ে জামায়াত ও শিবিরের ৮ জন নেতাকর্মীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে তাদের লাশের উপর দাঁড়িয়ে উল্লাস নৃত্য করে এদেশে রাজনীতির ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গ্রেফতারের নিন্দা : শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে ফেরার পথে জামায়াত সন্দেহে সাধারণ পাবলিকসহ ছাত্রশিবিরে ৫ জন কর্মীকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি প্রদান করেছেন জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর সেক্রেটারি ডা. মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন মিছিল মিটিং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এ অধিকারে বাধা দিয়ে সরকার দেশের সংবিধানকে লঙ্ঘন করছে। তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সাধারণ পাবলিকসহ শিবির কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
চট্টগ্রাম অফিস : জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ দিবসে অক্টোবর ঢাকার পল্টনে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল কর্তৃক জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে সশস্ত্র হামলায় নিহত জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মীদের খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতে একদিন হবেই হবে ইন্শা-আল্লাহ। নেতৃবৃন্দ লগি-বৈঠার নির্মম হত্যা কান্ডের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ডা: মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ছাত্রশিবির নগর দক্ষিণ সভাপতি মাহমুদুল হাসান, জামায়াত নেতা দ্বীন মুহাম্মদ, আলমগীর সরকার ও আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল আগ্রাবাদের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
খুলনা অফিস : জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আজ ২৮ অক্টোবর দেশের জাতীয় ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত দিন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীরা হাইকমান্ডের নির্দেশে লগি-বৈঠার সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে সেদিন পল্টনে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৮ জনসহ ১৪ জন নেতা-কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আহত করে সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীরা পল্টনে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে তাদের হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা নিহতদের লাশের উপর উঠে উল্লাস-নৃত্য করেছিল। সেই লোমহর্ষক ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড দেশ ও সারা বিশ্বের মানুষ বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে বিস্ময়ের সাথে অবলোকন করেছে। ঐ দিন ১৪ দলসহ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যে বর্বরতা সংঘটিত করেছে তা মানব সভ্যতার এ যুগে কল্পনাও করা যায় না। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানান।
সরকার ক্ষমতায় বসে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বেছে বেছে হত্যা করছে এবং দেশব্যাপী গণগ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে ও জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। জনগণ এ ষড়যন্ত্র কখনো বাস্তবায়ন হতে দিবে না।
২৮ অক্টোবরের নৃশংস ও জঘন্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, খুনিদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরী শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, হানিফ বালী, মুস্তাফিজুর রহমান, তারেক রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বরিশাল অফিস : বিগত চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময় ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ কর্তৃক রাজপথে লগী-বৈঠা নিয়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং খুনিদেরও বিচারের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল বরিশালে পালিত হয়েছে। গতকাল সকালে নগরীর কাশিপুরে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন জামায়াত নেতা মাহবুুবর রহমান ও শ্রমিক নেতা শাহীন আলম।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের আওয়ামী বর্বরতা সারা দুনিয়ার বিবেকবান মানুষকে আতংকিত ও ব্যাথিত করলেও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের মানসিকতার কোন পরিবর্তন হয়নি।
অবৈধ এই খুনি সরকার সেদিনের হত্যাকারীদের দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে জোর করে আজ ক্ষমতায় টিকে আছে। আমরা এই হত্যার বদলা দেশে একটি কল্যাণমুখি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নেব ইনশা আল্লাহ। শহীদের পবিত্র রক্ত যে মাটি রঞ্জিত হয় সে মাটিতে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবেই।
সিলেট ব্যুরো : সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন- জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করে অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ সরকারকে ক্ষমতায় আনার জন্যই ২৮ অক্টোবর ঢাকাসহ সারাদেশে একই সময়ে পরিকল্পিতভাবে নারকীয় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হয়েছিল। সেদিন লগি-বৈঠা দিয়ে নিরীহ নেতাকর্মীদের শুধু পিটিয়ে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি খুনিরা লাশের উপর নেচে নৃত্য করেছিল। এমন নৃশংস ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞে জাতি হতবম্ব হয়ে গিয়েছিল।
২৮ অক্টোবরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। ২০০৬ সালের লগি-বৈঠার নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত খুনিদের বিচারের দাবিতে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ।
গতকাল বুধবার জামায়াত কেন্দ্রঘোষিত দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে জড়িত খুনিদের বিচার ও দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্থির দাবিতে সিলেট মহানগর জামায়াত নগরীর আম্বরখানা এলাকায় শান্তিপুর্ণ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা সোহেল আহমদ, সহকারী সেক্রেটারি মো: শাহাজাহান আলী, জামায়াত নেতা মুফতী আলী হায়দার, মু. আজিজুল ইসলাম, হাফিজ মশাহিদ আহমদ, চৌধুরী আব্দুল বাছিত নাহির ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সেক্রেটারি মাসুক আহমদ প্রমুখ।
বগুড়া অফিস : ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠার তাণ্ডবের প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে বগুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াত। কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বাদ আছর জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার উদ্যোগে শহরতলীর মাটিডালি বারপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র মানেনা। সন্ত্রাস এবং মানুষ খুন আওয়ামী লীগের কাজ। আওয়ামী লীগ একটি জঙ্গি সংগঠন। ২০০৬ সালের ২৮ াক্টোব রাজধানীর পল্টনে লগি-বৈঠা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা যে তান্ডব চালিয়েছিল তা দেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় একটি অধ্যায়। আওয়ামী লীগের সশ্বস্ত্র নেতাকর্মিরা সেদিন জামায়াত-শিবিরে নেতাকর্মীদের পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যার পর লাশের ওপর নৃত্য করেছিল। জামায়াত নেতৃবৃন্দ সেইসব খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
রংপুর অফিস : ভয়ংকর ২৮ অক্টোবর পল্টন ট্রাজেডি স্মরণে জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগরের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগরের উদ্যোগে মহানগরীর যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকসহ ও কোতয়ালী থানা আমীর এম. কে আলীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কোতয়ালী থানা সেক্রেটারি তারেকুজ্জামান, প্রচার সেক্রেটারি ফরহাদ, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। সমাবেশ শেষে অক্টোবর শহীদদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুর সংবাদদাতা : লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যার প্রতিবাদ ও খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও দোয়া মাহফিল করেছে গাজীপুর মহানগর জামায়াত। বুধবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী এলাকায় মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রটারি মুহাম্মাদ হোসেন আলীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে জামায়াত নেতা রফিকুল আলম, সাইদুর রহমান, শিবির নেতা আহমেদ ইমতিয়াজ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
এদিকে ২৮ অক্টোবর নিহতদের স্মরণে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহ বলেন, লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে যারা লাশের উপর নৃত্য করেছে সেইসব খুনিদের চিহ্নিত করা হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ২৮ অক্টোবরের খুনিদের বিচার একদিন এদেশের মাটিতে হবেই।
সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা : গতকাল বুধবার দুপুরে ইসলামী ছাত্রশিবির সিরাজগঞ্জ শহর শাখার উদ্দোগে শহরের এইচআরডি সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহর নেতৃত্বে অক্টোবরে লগি-বৈঠার পৈশাচিক হত্যাকা-ের মূল হোতা ও খুনিদের বিচার ও জামায়াত- শিবিরের সকল শীর্ষনেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সিরাজগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রাণকেন্দ্র ইবি রোডের মসজিদের সামনে শুরু হয়ে স্থানীয় নীমতলা গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে ছিলেন, উপস্থিত ছিলেন শিবির নেতা হাফিজুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
একই দাবিতে রায়গঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির ছাত্রশিবির পৃথক কর্মসুচী পালন করেছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর আলী মর্তুজার নেতৃত্বে মিছিলটি উপজেলার হেড কোয়াটর থেকে শুরু হয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যম শেষ হয়। মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবুল কালাম বিশ্বাস, ইসলামী ছাত্রশিবিরের রায়গঞ্জ উপজেলা সেক্রেটারি এস, এম, মুনসুর আলী, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি খোরশেদ আলম, পৌর আমির মাওলানা আমিনুল ইসলামসহ জামায়াত-শিবির নেতৃবৃন্দ।
কুমিল্লা অফিস : জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর উদ্যাগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৮ অক্টোবর নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর রাণীর বাজার এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরি পরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরী সভাপতি মু.কামাল হোসাইন। বিক্ষোভ মিছিলে আরো অংশগ্রহণ করেন মহানগরী জামায়াত নেতা আবদুল কাইয়ুম মজুমদার, মোহাম্মদ হোসাইন, কাজী নজীর আহম্মেদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি শাহাদাত হোসাইন, মহানগর ছাত্রশিবির সেক্রেটারি ডা. মোজাম্মেল হকসহ আরো অনেকে।
ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : খুনিদের বিচারের দাবিতে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শহর জামায়াতে ইসলামী। গতকাল বুধবার সকালে শহরের জেলা স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। শহর জামায়াতের সেক্রেটারি শহীদুল্লাহ কায়সারের নেতৃত্বে মিছিলটিতে উপস্থিত ছিলেন শহর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য হায়দার করিম, আল হেলাল তালুকদার, শহর শিবিরের সভাপতি আবিদ হাসান ও সেক্রেটারি মো. শামসুজ্জোহা প্রমুখ। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠা বাহিনী ২৮ অক্টোবরের নির্মম ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় তৈরি করেছে। অথচ বারবার হত্যাকারীদের বিচার দাবি করা হলেও বর্তমান অবৈধ সরকার এই হত্যাকারীদের রক্ষা করেই যাচ্ছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হবে না, নিষ্ঠুর এই হত্যাকান্ডের বিচার একদিন হবেই ইন-শা-আল্লাহ।
নোয়াখালী সংবাদদাতা : জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী শহর শাখার উদ্যোগে গতকাল বুধবার সকালে অক্টোবরের শহীদদের স্মরণে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান হয়েছে। নোয়াখালী জেলা শহরের একটি মিলনায়তনে শহর জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা নিজাম উদ্দিন ফারুক। শহর জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি নিজামুল হকের পরিচালনায় এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী শহর ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও শহর জামায়াত নেতা মাওলানা আবু তাহের, জামায়াত নেতা মাওলানা মুহাম্মদ ইছমাঈল, মোহতাসিম বিল্লাহ, মিনহাজুল আনোয়ার মিশু প্রমুখ।
চাঁদপুর : ২৮ অক্টোবর জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের নৃশংসভাবে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে গতকাল বুধবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁদপুর শহর জামায়াতের উদ্যোগে সকাল ৯টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞপ্তি।
ফেনী সংবাদদাতা : ২৮ অক্টোবরে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ফেনীতে জামায়াতে ইসলামী ফেনী শহর শাখার উদ্যোগে গতকাল বুধবার সকালে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন শহর জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুল ওহাব ভূঞা ও শিবির নেতা সুলতান মাহমুদ টিপু। অগ্রভাগে ছিলেন শ্রমিক নেতা মো: শহীদ উল্যাহ, শিবির নেতা আবু তৈয়ব প্রমুখ। মিছিলটি শহরের ট্রাংক রোড থেকে শুরু হয়ে এসএসকে সড়কে এসে শেষ হয়।
লালমনিরহাট সংবাদদাতা : লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে জামায়াতের রুকন মহিউদ্দিন (৬০) ও জামায়াতের চলবলা ইউনিয়নের সেক্রেটারি সমর উদ্দিন (৬৫)কে গ্রেফতার করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। এদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় ৫১ ধারা দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে নিরপরাধ জামায়াত কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন জেলা ও উপজেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ। বুধবার জেলা জামায়াতের প্রেস সেক্রেটারি হাসান আলী এ তথ্য জানান। কালীগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাদারীপুর সংবাদদাতা : ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার রাজপথে লগি-বৈঠা তাণ্ডবে নিহত মাদারীপুরের কালকিনি থানার জামায়াতের কর্মী শহীদ হাবিবুর রহমানের বাড়িতে থানা জামায়াতের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মাহফিলে থানা আমীরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জেলা শাখার উদ্যোগেও জেলা আমীরের পরিচালনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা (সদর) সংবাদদাতা : জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা পৌর শাখার উদ্যোগে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চুয়াডাঙ্গা জেলা আমীর আনোয়ারল হক মালিক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের মানবতাবিরোধী কলংকজনক অধ্যায়। চুয়াডাঙ্গা পৌর আমীর মফিজুর রহমান জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমীর ও দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা অজিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়তের সেক্রেটারি ও চুয়াডাঙ্গা ২নং আসনের এমপি প্রার্থী রুহল আমীন, অফিস সম্পাদক এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, জেলা বায়তুলমাল সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল খালেক ও পৌর সেক্রেটারি এডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল।
বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা : কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার খুনিদের বিচার, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের স্বৈরাচারী-অগণতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদ ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ব
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন