ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭

অভিনয় শুরু করলে দেশের প্রথম অস্কার ফরহাদ মজহার এনে দিতেন !

১.
ফরহাদ মজহার অপহৃত হন নি । তিনি নিজেই বেড়াতে বের হয়েছিলেন । বেড়ানোর আলামত হিসাবে তার সঙ্গে একটি ব্যাগও পাওয়া গেছে । সেই ব্যাগে তার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সবকিছুই ছিল । কাজেই প্রমাণিত হয়েছে যে তিনি নিজেই বেড়াতে বের হয়েছিলেন । অপহৃত হন নি । পুলিশের উর্ধতন অফিসারের প্রেস ব্রিফিংসহ সরকারের বিভিন্ন শুভাকাঙ্খী ইশারা ঈঙ্গিতে কিংবা সরাসরি তাদের ফেসবুকে এই কথাটি প্রচার করেছেন । কাজেই আশা করা যায় রানা প্লাজার রেশমার নতুন ড্রেসের মত ফরহাদ মজহারের এই ব্যাগটিও আমাদের ইতিহাসের অংশ হয়ে পড়েছে । 
উদ্ধার হওয়ার পর স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে তাঁর যে ছবি দেখা গেছে তা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখতে পাবেন যে তিনি ও তার পরিবার কত নিখুঁত অভিনয় করে গেলেন ! তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে কান্নার দৃশ্যে তারানা হালিমদেরকেও অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছেন । শুধু তাই নয় , নিজে লুকিয়ে গেলেও পুলিশ যাতে তাকে ট্র্যাক করতে পারে , তজ্জন্যে নিজের মোবাইলটি অন রেখেছিলেন । সরকার নাটক করে নি , নাটক করেছেন তিনি নিজে । নাটকের পুরো সাসপেন্স তৈরি করতে ৩৫ লাখ টাকা টাকা চেয়ে পরিবারকে নিজেই ফোনও করেছিলেন! বাপরে বাপ কত্তো বড় অভিনেতা ! হাছান মাহমুদ কিংবা হানিফ ঠিকঠাকমত বলে দিতে পারবেন এই নাটকের প্রযোজক কে ? দুয়েকদিনের মধ্যে তা জাতি জানতে পারবেন বলে অনুমিত হচ্ছে ।

মনে হচ্ছে , ফরহাদ মজহার ভুল করে কবি সাহিত্যিক হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন । অভিনয় করলে দেশের জন্যে প্রথম অস্কার পুরস্কারটি বোধহয় তিনিই এনে দিতেন ! 
সাধারণ মানুষ চেচামেচি শুরু না করলে কমপক্ষে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দীন আহমেদ এবং সুখরঞ্জন বালীর মত কামরূপ কামাখ্যায় উদয় হতেন । হাতে থাকতো পুলিশ কর্তৃক উদ্ধারকৃত এই ঐতিহাসিক ব্যাগ , উদাস দৃষ্টি মেলে দার্শনিকের মতই বলতেন , আমি কোথায় এসেছি ? 
জনগণের চেচামেচির কারণে পুরো অভিনয়টি তিনি করতে পারলেন না ।
বিডিনিউজ২৪.কম এই নব্য অভিনেতার দৃশ্য অদৃশ্য কিছু পাপের তালিকা প্রকাশ করতে সময় নেয় নি । শাহবাগের মন্চে যাওয়াকে মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসুদ তার জীবনের সবচেয়ে বড সওয়াবের কাজ বলে উল্লেখ করেছিলেন । কাজেই এই বামপন্থী কবির সবচেয়ে বড় পাপ ছিল এই মন্চের সমালোচনা । তাছাড়া গোরক্ষা আন্দোলনের সমালোচনার মত স্পর্ধাও তিনি দেখিয়েছেন ! ভারতের অনেক বুদ্ধিজীবী ভারতে বসেও গো-রক্ষা আন্দোলনের সমালোচনা করেন । অনেক কিছু না বুঝেই সেই খায়েশ হয়েছিল ফরহাদ মজহারদের ! 
২.
ফরহাদ মজহারকে নিয়ে সাধারণ মানুষ সরব হলেও সমাজের অসাধারণ মানুষগুলি বরাবরের মতই নীরব ছিল । এই নীরবতা আমাদেরকে ধীরে ধীরে আরো ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে , সেই হুঁশটি অনেকেই হারিয়ে ফেলছি ।
এই কঠিন বাস্তবতার মাঝেও কেউ কেউ দেশবাসী ও বিশ্ববাসীকে প্রকৃত ঘটনা জানাতে চেষ্টা করছেন , এখান থেকে বের হওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছেন । এই সব গুণী ও সাহসীজনদেরই একজন লন্ডন প্রবাসী ক্যাপ্টেন ফজলুর রহমান চৌধুরী । জীবনে কোনওদিন রাজনীতি না করলেও রাজনৈতিক সচেতনতা তাঁর লেখায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে । দেশ ও জাতির জন্যে যা দরকার সেই কথাটিই তিনি অকপটে বলে ফেলেন । বাংলাদেশ মার্চেন্ট নেভির অত্যন্ত পরিচিত মুখ জনাব চৌধুরী তাঁর অবসর সময় এই কাজে উৎসর্গ করেছেন । তাঁর লেখায় ইতিহাসের অনেক না বলা কথা ফুটে ওঠে । তাঁর এমনই একটা সুন্দর লেখা South Asia Journal এ প্রকাশিত হয়েছে ( লেখার লিংকটি নিচে দেয়া হলো ) । আশা করি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে । যে যেখানেই থাকেন না কেন , আসুন এ লক্ষ্যে কিছু একটা করি । মনে রাখবেন অন্য কিছু না পারলেও আপনার একটা লাইক শেয়ারও এই প্রচেষ্টাকে সামনে এগিয়ে নিবে । আপনার জাগ্রত দৃষ্টি ও ভূমিকা অনেক ফরহাদ মাজহারকে রক্ষা করবে । 
Click Here to see the Atricle

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন