রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয় -সংগ্রাম
স্টাফ রিপোর্টার : নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকার দুর্নীতি দমনের কথা বলে নিজেই দুর্নীতি করছে। রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অচিরেই আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে।গণতন্ত্রকে ব্যাহত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে না। আপনার দাপাদাপি বন্ধ করুন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলাকে শিবিরের নামে চালিয়ে দিয়ে ছাত্রলীগকে বাঁচানোর পাঁয়তারা করবেন না।
গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলাকারী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি। মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সিপিবি উপদেষ্টা মঞ্জুরুল আহসান খান, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সিপিবি সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ , নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শহীদুল্লাহ কায়সার, বজলুর রশিদ ফিরোজ, গণফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য শেখ আখতারুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, , পলিটব্যুরো সদস্য শাহ আলম প্রমুখ।
মান্না বলেন, সরকার গণতন্ত্র কেটে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। আমরা কোনোভাবেই তা মেনে নেব না এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার লড়াই চালিয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, দুই প্রধান রাজনৈতিক জোটের কাছে দেশ নিরাপদ নয়, তাই নতুন জোট গড়ে ওঠার অপেক্ষা না করে গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার চেতনাকে সুসংহত রাখার জন্য সকলকে একত্রিত হয়ে তৃতীয় শক্তি গড়ে তুলতে হবে। কারণ এই সরকার কেবল যুদ্ধাপরাধের বিচারের কথা বলে দেশে দুঃশাসন চালাচ্ছে এবং শিক্ষাঙ্গনে নগ্ন হামলা চালিয়ে একে একে দেশের মূল্যবোধকে নষ্ট করছে যা আমরা কখনো হতে দেব না।৫ জানুয়ারির নির্বাচন সারা বিশ্বে আজো প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। সরকার দুর্নীতি দমনের নামে দুর্নীতি চালাচ্ছে। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অচিরেই কর্মসূচি দিব। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন কোন দলের নয়।
খালেকুজ্জামান বলেন, দেশে পরিবারতন্ত্র, লুটপাটতন্ত্র এবং দুর্বৃত্তায়ন রোধ করার জন্য দেশের মানুষ এখন তৃতীয় শক্তি দেখতে চায়, আর এ কারণেই বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, নাগরিক ঐক্য এবং গণফোরাম একত্রিত হয়েছে।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিবির, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল সাধারণ ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কোনো আন্দোলন করেছে এমন ইতিহাস বাংলাদেশে নেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনেও কোনো শিবির ছিল না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাদের শিক্ষামন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বলছেন যে সেখানে শিবির হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সাড়ে চারশত শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের অনুমোদন পেয়েছিল কিন্তু তারা নিয়োগ দিয়েছে বাইশশ’র অধিক। আর তাদের অতিরিক্ত বেতনের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর।
সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে যদি শিবির সুযোগ নিয়ে থাকে তবে তা আপনাদের ব্যর্থতা। শিক্ষার্থীদের ওপর একত্রে গুলী চালিয়েছে চিহ্নিত ছাত্রলীগ ও পুলিশ অথচ মামলা হয়েছে সাধারণ ছাত্রদের নামে।তিনি আরো বলেন, ৫ তারিখের নির্বাচনে পার পেলেও ছাত্রলীগের জন্য আর বেশি দিন পার পাবেন না, ছাত্রলীগের চরিত্র আজ প্রকাশিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন