বাংলাদেশ সরকার রক্তাক্ত গোপন যুদ্ধে লিপ্ত বলে মন্তব্য করেছেন আর্ন্তজাতিক যুদ্ধাপরাধ, সন্ত্রাসবাদ ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ টবি কেডম্যান। তিনি বলেছেন এই সরকারের হাতে বেসামরিক জনগণ ব্যাপকভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। ২০১০ সাল থেকে এ বছরের জানুয়ারী মাস পর্যন্ত এই সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কয়েক শতাধিক বিশ্বাসযোগ্য মুত্যুর প্রমাণ রয়েছে উল্লেখ করে টবি কেডম্যান বলেন, বিশ্বসম্প্রদায়ের বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার এসব ঘটনার কোন নিরপেক্ষ তদন্ত বা বিচার করতে ব্যার্থ হয়েছে। ইউরোপিয়ান হিউম্যান রাইটস অর্গেনাইজেশন ‘ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন ফর ফ্রিডম এন্ড হিউম্যান রাইটস‘ এর পক্ষে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় সেন্ট্রাল লন্ডনের নাইন বেডফোর্ড রো ইন্টারন্যাশনাল কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে টবি কেডম্যান এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে টবি কেডম্যান বলেন, আর্ন্তজাতিক অপরাধ আদালত বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ খুবই গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। হেফাজতে ইসলাম, জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের নানা সচিত্র তথ্য উপাত্ত আদালতে দাখিল করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শীঘ্রই মামলার প্রাথমিক তদন্ত শুরু হবে। টবি কেডম্যান বলেন, বাংলাদেশ এখন প্যারালাইসড অবস্থায় রয়েছে। দেশে মানবাধিকার বলে কিছু নেই। বাংলাদেশে যে পরিমাণে মানবতাবিরোধী কর্মকান্ড সংঘটিত হচ্ছে তার জন্য একদিন সরকারেক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে। তিনি বলেন, জুডিশিয়াল কিলিং, গণহত্যা, মিডিয়ার স্বাধীনতা খর্ব, সংখ্যালঘু নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো গুরুতর বিষয়গুলো আর্ন্তজাতিক অপরাধ আদালতে দাখিল করা হয়েছে। মিডিয়া ও অন্যাান্য স্বতন্ত্র মানবাধিকার সংগঠনের হিসেব অনুযায়ী এ পর্যন্ত ৭শ মানুষকে বিনা বিচারে সরকারী বাহিনী হত্যা করেছে। তবে এ সংখ্যা আরও বেশী রয়েছে বলে মনে করেন টবি কেডম্যান। সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার এর চেয়ারম্যান আদিলুর রহমানের পরিবারকে হয়রানি করা হচেছ উল্লেখ করেন টবি কেডম্যান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাইন বেডফোর্ড রো ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল টিমের প্রধান স্টফেন কে কিউসী, লিগ্যাল টিমের সদস্য জন কেমি, ম্যারিজা বারকোবিস ও লিনার্ট পোলসেন।
উৎসঃ মানবজমিন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন