রাস্তায় কোন টায়ার ফাটলেও সেই দায় জামায়াত শিবিরের উপর দেয়া হয়..এতদিন তাই জানতাম। কিন্তু অবাক হলাম, ভারতের কলকাতায় সিপিএম নেতা এবং রাজ্য সরকারের সাবেক মন্ত্রী বিমান বসুও এক বক্তব্যে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জীকে জামায়াতের সাথে সম্পর্ক রাখার দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। কলকাতার রাজনীতির ইস্যুও কি তাহলে এখন জামায়াত?
নীচের সংবাদটি পড়ুন।।
‘জামায়াতকে সাহায্য দিচ্ছেন মমতা’
বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ‘সম্পর্ক গভীর’ বলে অভিযোগ করেছেন পশ্চিম বঙ্গ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।
রোববার কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড মাঠে এক সমাবেশে বিমান বলেন, “মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক দল জামায়াতকে মদদ দিচ্ছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের তিস্তা চুক্তি ও সীমান্ত ইস্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি, “তিনি (মমতা) তাদেরকে এখানে আশ্রয়- প্রশ্রয় দিচ্ছেন। ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তির উত্থানে তিনি মদদ দিচ্ছেন। তিনি একটি ভয়াবহ খেলায় মেতে উঠেছেন।”
বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় যখন জামায়াতের ‘সন্ত্রাসী’দের ধরতে পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে, তখন পশ্চিম বঙ্গের বশিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত সাংসদ তাদের আশ্রয় দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন বিমান।
“আপনাদের কী মনে হয়, তিনি (মমতা) কেন তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তিতে সায় দিচ্ছেন না, কেন তিনি সীমান্ত চুক্তির ব্যাপারেও আপত্তি করছেন? এর কারণ হচ্ছে তিনি জামায়াতকে খুশি করতে চান এবং হাসিনাকে বিপদে ফেলতে চান।”
ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সালমান বশির সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করে তাকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই বুদ্ধদেব তৃণমূল নেত্রীকে দুষে বলেন,“আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। তবে তা বাংলাদেশকে হারানোর বদলে নয়। আমাদের কাছে পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন