বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আটকের ৪৩ দিন পর মিললো জামায়াত নেতা জহুরুল ইসলামের লাশ।
গত বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা গ্রামের মধুমতি নদীর ধারে পাওয়া বেওয়ারিশ লাশটি মো. জহুরুল ইসলামের বলে সনাক্ত করেছে পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পরদিন সেই লাশটিও গায়েব হয়ে যায় বলে জানিয়েছে পরিবার।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যে দিবালোকে পুলিশ জহুরুল ইসলামকে আটক করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করেছে।
পরিবারের দাবি, প্রকাশ্যে দিবালোকে পুলিশ জহুরুল ইসলামকে আটক করলেও তা অস্বীকার করছিল।
জানা যায়, জামায়াতে ইসলামী ঝিনাইদহ শহর শাখার আমীর ছিলেন মো. জহুরুল ইসলাম। তিনি ঝিনাইদহ শহরের হামদহস্থ দিশারী প্রি-ক্যাডেট স্কুলে যাওয়ার পথে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ঝিনাইদহ পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সাদা পোশাক পরিহিত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। তারপর ওই স্থানে লটকানো সি.সি ক্যামেরাটি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
এরপর তাকে চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসে তুলে অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। অতঃপর প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা তাকে গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করে।
এদিকে, গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গওহরডাঙ্গা গ্রামের মধুমতি নদীর ধারে ১৯ অক্টোবর যে বেওয়ারিশ লাশটি পাওয়া গেছে তা মো. জহুরুল ইসলামের। লাশের ছবি দেখে তার পরিবারের সদস্যরা তার লাশ বলেই চিহ্নিত করেছে।
জামায়াতের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিস্ময়কর ব্যাপার হলো গত ১৯ অক্টোবর স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে স্বজনদের এসে লাশ চিহ্নিত করতে বলা হলেও গত ২০ অক্টোবর লাশ নাই বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। দাফনের জন্য কী স্বজনরা তার লাশও পাবে না? প্রশ্ন জামায়াতের।
এদিকে, এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন