ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৬

এক বছরে নারী নির্যাতন বেড়েছে ৭৪ শতাংশ


বাংলাদেশ বার্তাঃ দেশে ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে নারী নির্যাতনের ঘটনা ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। ৫৫টি জেলায় নিজস্ব কর্মীদের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ব্র্যাকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নারীর প্রতি সহিংস ঘটনার ৬৮ শতাংশই নথিভুক্ত হয় না। নথিভুক্ত হলে সংখ্যাটি আরও বাড়ত।
আরও কয়েকটি সংস্থার নিজস্ব পরিসংখ্যানও নারী নির্যাতন পরিস্থিতির অবনতির চিত্রদিচ্ছে। পুলিশের মামলার হিসাবও বলছে, নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। নারী আন্দোলনকর্মী, মানবাধিকারকর্মীরা প্রতিনিয়তই এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
তবে মহিলা ও শিশু-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম, গণমাধ্যমে প্রচার—সব মিলিয়ে আগে মানুষ যে বিষয়গুলোকে নির্যাতন বলেই মনে করত না, এখন তা যে নির্যাতন, সেই সচেতনতা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে নির্যাতন নিয়ে মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে। ফলে নারী নির্যাতনের সংখ্যাটি বেশি দৃশ্যমান হচ্ছে।
এরই মধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ড নিয়ে সারা দেশে বিক্ষোভ চলছে।
ব্র্যাকের পরিসংখ্যান: দেশের বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক তাদের সামাজিকÿক্ষমতায়ন কর্মসূচির আওতায় দেশের ৫৫টি জেলা থেকে নির্যাতনের ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গত বছরের জুন মাসে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ২ হাজার ৮৭৩টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পরের বছর সংখ্যাটি ৫ হাজার ৮টিতে পৌঁছায়। এই এক বছরে নারীর প্রতি প্রায় সব ধরনের সহিংসতাই বেড়েছে। এই প্রতিবেদনে দেখা যায়, দরিদ্র নারীরা সচ্ছল নারীদের থেকে বেশি (৫৪ শতাংশ) সহিংসতার শিকার হয়েছেন। আর নারী নির্যাতনকারীদের ৮৮ শতাংশই পুরুষ। এই পুরুষেরা নির্যাতনের শিকার নারীর পরিবারের সদস্য বা প্রতিবেশী। ব্র্যাকের জরিপ অনুযায়ী, নির্যাতনের বেশি ঘটনা ঘটে কুমিল্লা, বগুড়া, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায়। বছরের মে মাসে নির্যাতনের সংখ্যা বাড়ে। অন্যদিকে জানুয়ারি মাসে নির্যাতনের ঘটনা কম থাকে।
ব্র্যাকের পল্লিসমাজ নামের ওয়ার্ডভিত্তিক ও নারীকেন্দ্রিক সংগঠনের নেটওয়ার্কের সদস্যদের কাজে লাগিয়ে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। কোথাও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে ভুক্তভোগীর পরিবার, প্রতিবেশী, পল্লিসমাজের সদস্যরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেসব তথ্য রাজধানীতে ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠান এবং প্রধান কার্যালয় এ তথ্য ডেটাবেইসে সংরক্ষণ করে।

"বাংলাদেশি পাসপোর্ট? নট অ্যালাউড ইন মুম্বাই !!!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম - 2016-03-29: ওহ! ইউ ফ্রম বাংলাদেশ? সরি! নো বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইজ অ্যালাউড ইন আওয়ার হোটেল। গভর্নমেন্ট পারমিশন নেহি হ্যায়।’ - কথাগুলো বলছিলেন মুম্বাই শহরের হোটেল ‘সি গ্রিন’ ও ‘সি গ্রিন সাউথ’র ম্যানেজাররা।
আইসিসি টি-টোয়িন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে কলকাতা থেকে প্রায় ২৬ ঘণ্টা ট্রেন ভ্রমণ শেষে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকাল সাড়ে দশটায় মুম্বাই রেলস্টেশনে নেমেছি আমরা দশ বাংলাদেশি গণমাধ্যম কর্মী।
নেমেই যথারীতি হোটেল খুঁজতে বেরিয়েছি মুম্বাই শহরে। কিন্তু হোটেলে গিয়ে হোটেলের ম্যানেজারদের মুখ থেকে এসব কথা শুনেই আমাদের সবার চোখ কপালে!
এখানকার হেটেলগুলোতে বাংলাদেশ থেকে এসেছে শুনলেই চোখ উঁচু করে, ভ্রু কুচকে, মুখ বাঁকা করে একবারে সোজা না করে দিচ্ছে! তাহলে কি আমরা বাংলাদেশে জন্মে পাপ করেছি? আমরা তো এখানে বেড়াতে আসিনি। এসেছি আইসিসি’র আমন্ত্রণে। আর যদি বেড়াতেও আসি তাতেই বা দোষ কী?
যাই হোক উল্লিখিত প্রথম দুই হোটেলে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসার পর বাংলাদেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল জি টিভি’র ভারপ্রাপ্ত ক্রীড়া সম্পাদক তাইব অনন্ত ও চ্যানেল আই’র স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট আরিফ চৌধুরী গিয়েছিলেন হোটেল সিলভার মুনসহ আরও দুই হোটেলে।
তাদের পরিচয় না জেনে রুম দেখিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ এক একটি রুমের ভাড়া হাঁকিয়েছেন ৬ হাজার রুপি। রুম দেখার পর তারা দরদামের সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ পরিচয় জানতে চায়। দুজনই বাংলাদেশ থেকে এবং আরও আটজন যারা আসবে সবাই এক দেশের তখন এক রকম রেগে গিয়ে তাদের বলেন, ‘সরি আপকো রুম নেহি মিল সাকতা। কিউ কি আপ বাংলাদেশকা সিটিজেন হ্যায়।’
আরেক হোটেলের ম্যানেজার বলেন, আমাদের সিআইডি ফর্ম নেই। ওটা থাকলে আপনাদের জন্য চেস্টা করে দেখতাম।
জবাবে তারা কিছুই না বলে ফিরে আসেন। তখনও আমাদের সবার শরীর ভীষণ ক্লান্ত, পেটে ক্ষুধা। বসার জায়গা দূরে থাক ল্যাগেজ রাখারও এতটুকু জায়গা নেই।
রোদের মধ্যে না খেয়ে না ঘুমিয়ে ক্লান্ত শরীরে মুম্বাই রেলস্টেশনে ল্যাগেজের পাহারার জন্য তিনজন রেখে বাদ বাকি সবাই বেরিয়ে পড়েছি হোটেলের খোঁজে।
এভাবে একটি দুটি করে প্রায় ১৯টি হোটেল দেখার পর বিকেল ৩টা নাগাদ খাড়াকের মোহাম্মদ আলী রোডের মিনারা মসজিদের পাশে অবশেষে একটি হোটেলে আমরা উঠি। কৃতজ্ঞতায়-তাজুল ইসলাম

চুরি হয়ে যাওয়া টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে সরকারের ধীর গতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ


বাংলাদেশ বার্তা: যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আটশত কোটি টাকা চুরির ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা এবং চুরি হয়ে যাওয়া আটশত কোটি টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে সরকারের ঢিমেতেতাল গতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ৩০ মার্চ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আটশত কোটি টাকা চুরির ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা এবং চুরি হয়ে যাওয়া আটশত কোটি টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে সরকারের টিমেতেতাল গতি লক্ষ্য করে দেশবাসীর মনে এ টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে সন্দেহ ও সংশয় দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারের ব্যাপারে তদন্তে তেমন কোন অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। দিন যত যাচ্ছে ততই যেন বিষয়টি ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যে, সরকারের মধ্যেকার রাঘব বোয়ালরা যাতে ধরা না পরে সে জন্যই সরকার বিষয়টি ধামা-চাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য সরকার তদন্তের ব্যাপারে গড়ি মসি করে অযথা সময় ক্ষেপণ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাকে কোনভাবেই হ্যাকিং বলা যায় না, এটা ডিজিটাল ডাকাতি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আটশত কোটি টাকা চুরির প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করে এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবী আজ গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। জনতার দাবীকে পাশ কাটানোর কোন ষড়যন্ত্র দেশবাসী বরদাস্ত করবে না। 
বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরিতে শুধু আর্থিক ক্ষতিই হয়নি। এতে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত এসেছে এবং দেশের ভাবমর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। সরকার কিছুতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনার দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। টাকা চুরির ঘটনার ব্যাপারে সরকার এখন পর্যন্ত কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যাও দিতে পারেনি। এ থেকেই বুঝা যাচ্ছে যে, এ ঘটনার সাথে সরকারের মধ্যকার রাঘব-বোয়ালরা জড়িত। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্তা ব্যক্তিরা জড়িত না থাকলে অন্য কেউই এ ঘটনা ঘটাতে পারত না। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত থাকার কারণেই এ টাকা চুরি করা সম্ভব হয়েছে। 
গত ১৩ মার্চ অর্থমন্ত্রী অর্থচুরির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরের পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোন অগ্রগতিই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরের পদত্যাগই যথেষ্ঠ নয়। এ অর্থ চুরির দায়িত্ব তিনি এড়াতে পারেন না। 
সরকার ও সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বর্তমানে রহস্যজনকভাবে কঠোর নিরবতা পালন করছেন। নিরবতা পালন করেই কি সরকার তার দায়িত্ব এড়াতে পারবেন? অর্থ চুরির দায়দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করার পরিবর্তে অর্থমন্ত্রী রহস্যজনকভাবে নিরবতা পালন করে কি দেশের মানুষের চোখ ফাঁকি দিতে পারবেন? অতএব এই অর্থ চুরির ঘটনার দায়ভার ঘাড়ে নিয়ে কমপক্ষে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আটশত কোটি টাকা চুরির ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা এবং চুরি হয়ে যাওয়া আটশত কোটি টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
অন্যথায় দেশের এই লুণ্ঠিত সম্পদের ব্যাপারে দেশের জনগণ সরকারের কাছ থেকে কড়ায় গন্ডায় হিসাব আদায় করার পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।”

বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬

ইসলাম ও ইসলামী সংস্কৃতি নিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী নেতাদের বচন !!

১. তথাকথিত আল্লাহর শাসন দিয়ে কিছু হবেনা ~সৈয়দ আশরাফ
২. আগামীবার ক্ষমতায় আসলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামও তুলে দেব~ সেনগুপ্ত সুরঞ্জিত
৩. কোরআনের তাফসিরের প্রকাশনা বন্ধ~সরকারী ডিজি শামিম আফজাল
৪. আগামীতে ক্ষমতায় এলে ধর্মের ছায়াটুকুও মুছে ফেলা হবে~ সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী
৫. ‘ধর্ম তামাক ও মদের মতো একটি নেশা’।~পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী
৬. রাসুল (সা:) কে নিয়ে কটুক্তি করা স্বাভাবিক বিষয় , এটা নিয়ে হৈচৈ করা ঠিক নয়~তথ্যমন্ত্রী ইনু
৭. রাসুল সাঃ হিন্দুদের পূজার জন্য মসজিদের অর্ধেক জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন ~ ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া
৮. মহানবী হযরত মোহাম্মদ! সংসদে মহাজোট এমপি এমপি বাদল- ধর্ম নিরপেক্ষ ছিলেন(সাঃ)
৯. মা দূর্গা গজে চড়ে এসেছিলেন বলে ফলন ভালো হয়েছে~ হাসিনা
১০. গ্রামগন্জে ইসলামিক জলসা বন্ধকরতে হবে~পঙ্কজ ভট্টাচার্য।
১১. মেয়েদেরকে বোরকার হাত থেকে রক্ষাকরতে হলে,তাদের নাচগান শিক্ষাদিতে হবে~হাসান মাহমুদ
১২. বোরকার ব্যবহার ৫০০ ভাগ বেড়ে গেছে , বন্ধ করতে হবে,~সজিব ওয়াজেদ জয়
১৩. সেনাবাহিনীতে কওমী মাদ্রাসার ছেলে বেড়ে গেছে’, কওমি সনদের সরকারী স্বীকৃতি নেই )~সজিব ওয়াজেদ জয়
১৪. ২৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে হিন্দু প্রধানমন্ত্রী চাই’~সজিব ওয়াজেদ জয়
১৫. সেনাবাহিনী থেকে ইসলামপন্থীদের বিতাড়িত করতে হবে~সজিব ওয়াজেদ জয়
১৬. কুতসিত চেহারা ঢাকতেই মেয়েরা বোরকা পরে~ডেপুটি স্পীকার
১৭. আমি মুসলিমও নই, হিন্দুও নই ~ সৈয়দ আশরাফ
১৮. বঙ্গবন্ধু মদজুয়া হারাম করেছেন~নৌ মন্ত্রী শাজাহান খান
১৯. কওমী মাদ্রাসার ছেলেরা কিচ্ছু জানেনা,উজবুক,এরা শুধু মুখস্থ করে~অর্থমন্ত্রী মুহিত
২০. কওমি মাদ্রাসাগুলো জঙ্গী প্রজননকেন্দ্র~আইনমন্ত্রী
২১. ‘পৃথিবীতে যত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রয়েছে, তার সবই ইসলাম ও মুসলমানদের মধ্যে। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের মধ্যে কোনো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নেই। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানরা সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত নয়’।- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি সামীম আফজাল
২২. ‘একদিকে ধর্মনিরপেক্ষতার বিধান আর অন্যদিকে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে রাখা সাংঘর্ষিক- সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার
২৩. “আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ চিন্তা করলো- জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কীভাবে চলবে, তারাতো ছিলো ডাকাত, তখন একটা ব্যবস্থা করলো যে, আমার অনুসারীরা প্রতি বছর একবার এক সঙ্গে মিলিত হবে। এরই মধ্যে একটা আয় ইনকামের ব্যবস্থা হবে।” (নাউযুবিল্লাহ)- লতিফ সিদ্দিকী
২৪. কাফেরদের দেবতাদের নামে আল্লাহর ৯৯ নাম; এখন বাংলাদেশে বোরকা পরার বিপক্ষে অনেকেই জেগে উঠেছে,সৌদি বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবনে সউদ মুসলমান ছিলেন না- কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী
২৫. সারাদেশে আজ হিজাবের তান্ডব , বাঙ্গালীর সংস্কৃতিতে কালিমা লেপন – লুতফুন নাহার লতা
২৬. মসজিদের মাইকে উচ্চশব্দে আজান দিয়ে শব্দ দূষন করা হচ্ছে – বনমন্ত্রী আনয়ার হোসের মঞ্জুর সহধর্মিনী তাসমীমা হোসেন
২৭. মসজিদ হলো জঙ্গী তৈরির কারখানা। মসজিদে যেসব আলোচনা হয় , তাতেই জঙ্গী তৈরি হয় ! -আওয়ামী আইনজীবি রেজাউল করিম

শিশু ও নারী নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ জনগণ তনু হত্যাসহ অন্যান্য শিশু ও নারী নির্যাতনকারী খুনিদের বিচার দেখতে চায় -ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ বার্তা: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু ধর্ষিতা ও খুন হওয়ার ঘটনা এবং সম্প্রতি পিরোজপুরে একজন কিশোরী কাজের মেয়ে গৃহকর্তা কর্তৃক ধর্ষিতা হওয়া এবং ঢাকায় কণ্ঠশিল্পী কৃষ্ণকলির স্বামী খালেকুর রহমান কর্তৃক ধর্ষিতা হয়ে গৃহকর্মী জান্নাত আক্তার শিল্পী খুন হওয়াসহ শত শত শিশু এবং নারী নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঘটনা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান।
গতকাল মঙ্গলবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২০ মার্চ কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সোহাগী জাহান তনু টিউশনি করে বাসায় ফেরার পথে ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়। ক্যান্টনমেন্টের মতো নিরাপদ এলাকার বাসায় ফেরার পথে তনুকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় দেশবাসী শংকিত ও ক্ষুব্ধ। সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা হলো তনু হত্যার ১ সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতোই বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বললেন, ‘আমরা বড় বড় ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছি, এটাও পারবো’। তনু হত্যার ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুনিদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হওয়ায় সাধারণ মানুষ বিশেষ করে স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ রাস্তায় নেমে প্রতিদিনই মানববন্ধন করছেন এবং তনুর হত্যাকারী খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছেন। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নানা কথা বললেও মামলার দৃশ্যমান ও বিশ্বাসযোগ্য কোন অগ্রগতি নেই।
তিনি আরো বলেন, প্রায় ৪ বছর আগে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি খুন হওয়ার পর তদানীন্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করার ঘোষণা দেন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা তো দূরে থাক আজ ৪ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও সাগর-রুনির ছোট্ট ছেলেটি, তাদের আত্মীয়-স্বজন ও দেশবাসী জানতে পারলো না যে, তাদের কারা খুন করেছে। তাই স্বাভাবিক কারণেই তনুর ধর্ষক ও খুনিদের গ্রেফতারে বিলম্ব হওয়ায় তার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, সহপাঠীসহ দেশবাসী সকলেই উদ্বিগ্ন যে, তনু হত্যার প্রকৃত খুনিরা আদৌ গ্রেফতার হবে কিনা?
তিনি জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল তনু হত্যার ঘটনা যাতে ধামাচাপা দিতে না পারে, প্রকৃত ধর্ষক ও খুনিরা যাতে আড়াল হতে না পারে, সেজন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তনু হত্যাসহ অন্যান্য শিশু এবং নারী নির্যাতনকারী খুনিদের আসল চেহারা ও বিচার দেখতে চায়। সংশ্লিষ্ট মহল যদি বাংলাদেশের জনগণকে বোকা মনে করে এ ধরনের পৈশাচিক ঘটনাগুলোকে ধামাচাপা দিতে চান, তাহলে জনগণ একদিন রুখে দাঁড়াবে এবং এ ব্যাপার সমূহ দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
নরপশুদের বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী তীব্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে কুণ্ঠাবোধ করবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১৬

YVB's Career Counselling Event in Chittagong

Bangladesh Barta: The youth constitutes one third of total population of Bangladesh. The age group between 18-35 years old is known as ‘youth’. Youth unemployment is a big problem in Bangladesh. Every year about 1.5 million graduates are remaining unemployed. In 2015, more than 40% of Bangladeshi youth were considered NEET (not in employment, education or training) and the portion of young unemployed NEETs was about 80%. More young women than young men are in vulnerable employment. The greatest proportion of women in vulnerable employment can be seen in Bangladesh (90%) while the lowest is observed in El Salvador (35%). Youth suffering from poverty, unemployment and illiteracy are often driven by frustration towards drugs.
In order to develop the youth, Youth Voice of Bangladesh (YVB) has been working aiming at enhancing youth leadership skills & building youth awareness since 2013. Reportedly, YVB organizes leadership programs composed of a monthly training followed by an assignment. In addition to the leadership programs, professional development courses for the corporate executives and career development courses for the students are held. As part of the Youth Awareness program, YVB involves the youth in doing charity works and to take part in important social awareness events. According to Barrister Tareque A. Khondakar, the Founding Chairman of YVB, it is an organization providing platforms for the youth of Bangladesh to raise their voices, to be heard and to change things in their communities.
It pleases me to share that YVB organized a mass career counseling event titled “Corpo-Route Key” having more than 500 university participants from different public and private universities on 12 March 2016 at Hotel Agrabad in Chittagong from 2:30 pm till 8:00 pm. I was fortunate enough to remain present as an invited speaker on this occasion. The career counseling workshop was attended by top corporate icons from six multinational companies. The key personnel were: Rubaba Dowla, Chief Service Officer, Airtel; Asif Touhid, Chief Procurement Officer, Grameenphone; SM Khaled, Supply Chain Director, British American Tobacco; Javed Akhter, Brand Building Director, Unilever; Hemi Hossain, Founding Director, Careers Club Australia; Emma Hart, HR Capability Specialist, Careers Club Australia, Chandan Poudyal, Careers Club Australia and M Nayeem Hossain, President, Alumni Association of North South University (AANSU). The event was ended with the closing speech from the Chairman of YVB, Barrister Tareque.
It was one of the most successful events ever I have seen on career counseling in Chittagong. The speakers shared their experiences, knowledge & ideas regarding the ways of building a successful career in the corporate world. After the end of each speaker’s deliberation, the participants were given time to ask career related questions. As seen, participants were very much excited during the interactive session. As informed, they were highly benefited from the deliberations. Certificates of participation were issued to the registered participants. CVs from the interested incumbents were collected during the event in the CV booths by the companies that included Airtel, Unilever, Grameenphone, British American Tobacco, Brac & Careers Club Australia. It is expected that qualified candidates will be provided with jobs by the companies to start building their professional career.
I personally consider the activities of YVB as performing of great social responsibilities. The functions and activities of this type of organization should be supported and encouraged by all for the development of our young generation and to meet the Millennium Development Goals (MDGs) of Bangladesh. I wish a continuing success of the organization.
By Prof. Dr. Farid Ahmed Sobhani

বহদ্দারহাট থেকে দুটি লাশ উদ্ধার, পরিচয় খুঁজছে পুলিশ


চট্টগ্রাম, ২৮ মার্চ (সিটিজি টাইমস) :: চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকা থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের একজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও বাকি এক কিশোরের পরিচয় এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তাই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তার স্বজনদের সন্ধান করছে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার (২৭ মার্চ) গভীর রাতে বহদ্দার হাট বাড়ই পাড়ার মুখের আগে শরীয়তপুর বেডিং ষ্টোরের সামনে পাকা রাস্তার উপর পড়ে থাকা দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদের এক জনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অপর অজ্ঞাতনামা কিশোরের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মৃত ছেলেটির বয়স অনুমান ১৩-১৪ বছর হবে। উচ্চতা অনুমান ৪ ফুট ৪ ইঞ্চি, গায়ের রং কালো। গায়ে গোলাপী রংয়ের ছিঁড়া পুরাতন গেঞ্জি ও গাঢ় নীল রংয়ের লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
কিশোর’কে শনাক্ত করতে পারলে চান্দগাঁও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ছৈয়দ আবু মোহাম্মদ শাহজাহান কবির (০১৭১৩-৩৭৩২৫৯) বরাবর যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন।

রিট বাতিল সাজানো নাটক!! সব কৃতিত্ব রাজপথে এবং ফেসবুকে আন্দোলনকরীদের: ব্যারিস্টার রাজ্জাক


রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করতে রিট আবেদন খারিজ করার ঘটনাকে সাজানো নাটক বলে দাবি করেছেন জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। আজকের রিট আবেদন বাতিল হওয়াকে জন্য রাজপথে ও ফেসবুকে আন্দোলনরত মুসলিমদেরকে কৃতিত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। আজ সোমবার রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে করা রিট খারিজ করে দেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকে নিজের পেইজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ দাবি করেন।
স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, 'যদি আজকে মুসলমানরা চুপ করে বসে থাকতো, তবে বিভিন্ন আইনের অজুহাতে আজকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করা হতো। কিন্তু যেহেতু মুসলমানরা তীব্র আন্দোলন করেছে, তাই ভীত হয়ে আইনের অজুহাত দিয়েই বাতিল করা হলো কথিত রিট আবেদন। তাই আজকের রিট আবেদন বাতিল হওয়ার মূল কৃতিত্ব ছিলো রাজপথে ও ফেসবুকে আন্দোলনরত মুসলিম সমাজের।'
ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, 'কোর্ট শুরু হয়েছে ২:০০ টায়, সুপ্রীম কোর্টের এনএক্স ভবনের ২০ নম্বর রুম। তিন জাস্টিস (নাইমা হায়দার, কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামাল বসে আছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (অ্যার্টনী জেনারেল) মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলো না, ছিলো তার সহযোগী অ্যার্টনী জেনারেল মুরাদ রেজা। সে কোর্টের কাছে আরো সময় চায়। এ সময় জাস্টিস কাজী রেজাউল হক তাকে বসিয়ে দেন। এ সময় দাড়ায় থার্ড পার্টি হিসেবে ইন্টারভেনারদের (ইসলামের পক্ষে) আইনজীবি টিএইচ খান ও এবিএম নুরুল ইসলামসহ আরো অসংখ্য আইনজীবি। এ সময় জাস্টিস কাজী রেজাউল হক তাকেও বসিয়ে দেন। বলেন-্আগে রিট আবেদনকারীদের (রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের পক্ষে) কথা শুনবো। এ সময় দাড়ায় রিট পক্ষের (ইসলাম বাতিলের পক্ষে) আইনজীবি সুব্রত চৌধুরী, যে হিন্দুদের অন্যতম নেতা। সে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তার কাছে কাজী রেজাউল হক জানতে চায়- রিট দায়েরকারী কথিত ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির’ লোকাস স্ট্যান্ডি (রিট দায়ের করার আইনী বৈধতা) আছে কি না ? কিন্তু হিন্দু নেতা সুব্রত চৌধুরী তা দিতে সক্ষম হয় না। ফলে কোর্ট শুরুর মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে জাস্টিস কাজী রেজাউল হক বলেন- রিট খারিজ, রুল ডিসচার্জ।'
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হওয়ায় রিটকারীদের আইনজীবি ড.কামালের মেয়ের ইহুদী জামাই রাগান্বিত হয়ে কোর্ট থেকে বেরিয়ে গেছেন বলে ওই স্ট্যাটাসে দাবি করেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক।
এ রিটকে ইসলাম বরোধী আন্তর্জাতিক সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত আখ্যায়িত করে ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে এ বিষয়ে তিনি লিখেন, 'তবে একজন জানালো- রায় ঘোষণা হওয়ার পর কোর্ট থেকে চরম রাগান্বিত অবস্থায় এক সাদা চামড়ার ইউরোপীয় ব্যক্তিকে সে হন হন করে বের হয়ে যেতে দেখেছে। ঐ ব্যক্তির নাম ডেভিড বার্গম্যান। সে ড. কামাল হোসেনের মেয়ে সারা হোসেনের জামাই, সে একজন ব্রিটিশ ইহুদী। এখান থেকে বলা যায়- বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করার চক্রান্ত কত সুদূর প্রসারী ছিলো।

প্রিয়দেশ অনলাইন, ঢাকা:

হরতাল সফল করায় ছাত্রজনতাকে শিবিরের অভিনন্দন

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী আহুত দেশব্যপি শান্তিপূর্ণ হরতাল সফল করায় ছাত্রজনতাকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ অভিনন্দন বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র এদেশের আপামর ছাত্রজনতাকে ক্ষুদ্ধ করে তুলেছে। ছাত্রজনতা সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে সর্বাত্মক হরতাল সফল করে। যা সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বহাল রাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এ বিজয় ইসলাম প্রিয় ছাত্রজনতার। আশা করি ইসলাম বিরোধী অপশক্তি এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশব্যাপী হরতালকে সফল করে তোলায় আমরা দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। একই সাথে আশা করছি, ভবিষ্যতেও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ত্ব ও ইসলাম বিরোধী যে কোন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাজপথে নেমে আসবে। যার যার অবস্থানে থেকে ইসলামের পক্ষে ও বাতিলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখবে। ছাত্রজনতা ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করলে শুধু রাষ্ট্রধর্ম নয় বরং পুরো সংবিধানই ইসলামের আলোকে প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১৬

চট্টগ্রামে জামায়াতের ডাকা হরতাল চলছে

চট্টগ্রামে জামায়াতের ডাকা হরতাল চলছে শীর্ষ নিউজ, চট্টগ্রাম: সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখার দাবিতে জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে।
সোমবার সকাল থেকে নগরীতে স্বল্প পরিসরে যান চলাচল করলেও ব্যক্তিগত গাড়ি তেমন দেখা যায়নি। স্বল্প পরিসরে চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে হরতালের সমর্থনে নগরীর দু’একটি জায়গায় মিছিল ও সমাবেশ করছে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা।
নগর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ উল্যাহ শীর্ষ নিউজকে জানান, স্বত:পূর্তভাবে পালিত হচ্ছে হরতাল। হরতালের সমর্থনে প্রতিটি থানায় থানায় মিছিল ও সমাবেশ হচ্ছে।
হরতালে নগরীর কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
হরতালে যে কোন ধরণের নাশকতারোধে নগরীতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে টহল দিচ্ছে র‌্যাব-পুলিশের একাধিক টিম।
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্রাযার্য্য জানিয়েছেন, হরতালে জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। যে কোন ধরণের নাশকতারোধে সতর্ক রয়েছে পুলিশ।

হরতালের সমর্থনে পৃথক স্থানে সিলেট নগর জামায়াতের মিছিল সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহালের দাবীতে সোমবার সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল পালন করুন-----------সিলেট নগর জামায়াত

সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন- শতকরা ৯০ভাগ মুসলমানের দেশে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের ধর্মপ্রান তৌহিদী জনতা বরদাশত করবেনা। পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশেই রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম রয়েছে। হাতে গোনা কতিপয় রাষ্ট্র ও ধর্ম বিদ্বেষী ব্যক্তিকে খুশি করার জন্য সরকার যদি সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তা কখনো মেনে নিবে না। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সাথে এ দেশের মানুষের আবেগ-অনুভূতি জড়িত। এ আবেগ-অনুভূতিকে গুরুত্ব না দিয়ে সরকার যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাহলে তা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। সোমবার সকাল-সন্ধ্যা শান্তিুপুর্ন হরতাল পালনের মাধ্যমে দেশের তৌহিদী জনতা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের সকল ষড়যন্ত্রের দাতভাঙ্গা জবাব দিবে ইনশাআল্লাহ।
রোববার রাতে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে জামায়াত কেন্দ্র আহুত দেশব্যাপী সোমবারের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে সিলেট মহানগর জামায়াত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথক মিছিল বের করে। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। নগরীর শিবগঞ্জ, সুবিদ বাজার, শাহপরান গেইট ও দক্ষিণ সুরমা এলাকায় অনুষ্ঠিত পৃথক মিছিল সামবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শিবগঞ্জ এলাকায় অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মো: ফখরুল ইসলাম, জামায়াত নেতা হাফিজ মশাহিদ আহমদ, আনোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মো: আব্দুর রব ও ছাত্র শিবির নেতা রাসেল আহমদ প্রমুখ।
সুবিদবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন-জামায়াত নেতা মুফতী আলী হায়দার, মু. আজিজুল ইসলাম, এডভোকেট আজিম উদ্দীন, ইসলামী ছাত্র শিবির সিলেট মহানগর সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ছাত্রশিবির নেতা সুলতান আহমদ প্রমুখ।
শাহপরান গেইট এলাকায় অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- জামায়াত নেতা চৌধুরী আব্দুল বাছিত নাহির, এস.এম মনোয়ার হোসেন, মঞ্জুর রহমান, কামাল মিয়া ও ছাত্র শিবির নেতা মিজানুর রহমান প্রমুখ।
দক্ষিণ সুরমা এলাকায় অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা মুজিবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান কবির রিপন, রেহান উদ্দিন হারিস, এডভোকেট মাকসুদ আহমদ, ছাত্র শিবির নেতা সাদিকুর রহমান ও মুহিব আলী প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ- ঈমানের তাগিদে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহালের দাবীতে শান্তিপুর্ন ও সর্বাত্মক হরতাল পালনের জন্য পরিবহন মালিক, শ্রমিক, ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্থরের সিলেটবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

সারাদিন উত্তেজনা ,গুজব শেষে আঃলীগ, বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে জামায়াত নেতা চেয়ারম্যান

দিসিএম ডেস্ক।। গত ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত  টেকনাফ উপজেলায়    ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতায় ২ ব্যক্তি নিহত এবং অর্থশত ব্যাক্তি অহত হওয়ার পর তুমুল সমালোচনার মূখে পড়ে প্রশ‍াসন।  তাই ঘটনাবহুল টেকনাফের ৬ টি থেকে ৪  ইউপি নির্বাচনে পর সবার দৃষ্টি থাকে হ্নীলা এবং  হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিকে। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে দায়ত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস‌্যরা সারাদিন ছিল নিরেপেক্ষ এবং কঠোর ভূমিকায়।
বিশেষ করে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিয়ে সারাদিন ছিল জল্পনা কল্পনা, উত্তেজনা এবং গুজব ।    সারা দেশে যেখানে  ‘‘প্রার্থী যেই হোক না কেন, নৌকায় ভোট দিতে হবে এবং নির্বাচীত  করতেই হবে দলিয় প্রার্থীকে‘‘ এই নিতীতে দলিয় প্রার্থী নির্বাচিত হচ্ছে,  যেখানে  হোয়াইক্যং  এ যুদ্ধপরাধীর দায়ে অভিযুক্ত সারা দেশে কোনঠাসা হয়ে থাকা  জামায়াতের মত একটি দলতে প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান হওয়াটা ছিল অত্যান্ত কঠিন।
আর তাই নিবাচনের শুরুতে আঃলীগ প্রর্থী সর্মথকরা   হোয়াইক্যং  ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তার করতেগিয়ে দায়ত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস‌্যরা নিরেপেক্ষ ভুমিকার কারনে তা করতে পারেনি।
হোয়াইক্যং নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করায় আওয়ামীলীগ দলীয় নৌকা প্রতীকেরপ্রার্থী ফরিদুল আলম জুয়েলের ছোটভাই শামসুল আলমকে আটক করেছে ভ্রাম্যমান টীম ।
সকালের দিকে গাড়ী নিয়ে কয়েকজন সফরসঙ্গীসহ  ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি টেকনাফের হোয়াইক্যং চেকপোস্ট অতিক্রম কালে  নির্বাচনের নিয়যিতআইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস‌্যরা  তাদেরকে আটক করে । পরবর্তীতে তাদের ৮জনকে গ্রেপ্তার করে বসিয়ে রাখা হলেও পরে ছাত্রলীগ সভাপতি ইসতিয়াকের পরিচয় পেয়ে তাকে সহ ‍১ জনকে ছেড়ে দেয়া হয় । ছাত্রলীগ নেতা  মেহদি হাসানসহ ৬জনকে অস্ত্র রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
উনচিপ্রাং সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে জোরপূর্বক ব্যালটে সীল মারা চেষ্টাকালে এক যুবককে গনধোলাই দেয় জনগন। এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৬ টি ব্যালটে সিল মারার পর জনতার ধাওয়া খেয়ে সীল মারতে আসা আরো যুবকরা পালিয়ে যায়। তবে ওই সময় ব্যালট ছিনতাই এর  গুজব ছড়িয়ে পড়লে সীল মারতে আসা এক যুবককে বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
সারা দিনের ঘটনাবহুল জল্পনা কল্পনা, উত্তেজনা এবং গুজব শেষে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে  আঃলীগ এবং বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে বিগত দিনের সততা যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে টানা তিন বারেরমত তিন হাজার ভোটের বিশাল ব্যাবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিল বিএনপির জুনায়েদ আলী চৌধুরী । তাঁর প্রাপ্ত ভোট – ৬০৫৩ 

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না থাকলে কি হবে? - ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক

আমাদের কি করা উচিত? মদের লাইসেন্স দেয় যে সংবিধান, সে সংবিধানে 'রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম' থাকলেই কি না থাকলেই কি? 
আমাদের মনের মধ্যেই তো ইসলাম ধর্ম নেই আর সংবিধানে থেকে লাভ কি?
'সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল' সংক্রান্ত বিভিন্ন পোষ্টে এরকম চটকদার যুক্তি দেখিয়ে বেড়াচ্ছে একদল মানুষ। অনেকে বলে "এরা হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের ফেইক আইডি। আমাদের আন্দোলন থেকে বিরত রাখতে ওরা মুসলিম নাম ব্যবহার করে চটকদার যুক্তি দেখাচ্ছে।"
এরা কারা এই নিয়ে বিতর্ক না করে আসুন দেখি সংবিধানে ইসলাম না থাকলে কি কি হবে, এবং থাকলে উপকারীতা কি সে বিষয়ে আলোকপাত করা যাক। 
পোষ্টটি বড় হলেও একটু মনযোগ দিয়ে পড়বেন। 

সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকার সুফল:- 

দল মত নির্বিশেষে সবাই এবিষয়ে একমত যে, বাংলাদেশে যে কয়টা দৈনিক পত্রিকা আছে এর মাঝে 'প্রথম আলো' পত্রিকাটি ইসলামের শত্রু। ইসলাম ধ্বংসের এমন কোন ষড়যন্ত্র নাই, যা তারা করে নাই। আমাদের প্রিয় নবী সা: এর ব্যঙ্গচিত্র অংকন করার মত জগন্য খারাপ কাজ ও তারা করেছে। কিন্তু আপনি কি জানেন, প্রথম আলো পত্রিকায় প্রথম দিকে ইসলামি একটা পৃষ্টা ছিলো? এখন সে পৃষ্টা নেই, তবে ইসলামি একটা করে কলাম লিখে। শুধু প্রথম আলোই নয়, বাংলাদেশে যত পত্রিকা আছে, উপরের পৃষ্টায় যতই ইসলাম বিরোধী লেখা থাক, ভিতরে অন্তত একটা করে কলাম থাকে। কিন্তু কেন সেটা কি জানেন? কারন এদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। ইসলাম নিয়ে লিখতেই হবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হলে কোন পত্রিকায় ইসলামি কলাম থাকবে না। 
শুধু কি পত্রিকা? টিভি চ্যানেলেও একই অবস্থা। ঘন্টার পর ঘন্টা ইসলাম নিয়ে সমালোচিত অনুষ্ঠান প্রচারিত হলেও ইসলামিক অনুষ্ঠান প্রচার করে, হোক সেটা আধা ঘন্টার। এর ও একমাত্র কারন এদেশের সংবিধান।
শুধুই কি ইসলামিক অনুষ্ঠান? যতই কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল অনুষ্ঠান হোক না কেন, আজানের সময় হলে সে অনুষ্ঠান বন্দ করে আজান প্রচার করতে বাধ্য প্রতিটা চ্যানেল, কারন এদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হলে কোন চ্যানেলেই আজান প্রচারিত হবে না।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আছে বলেই সংসদ অধিবেশনে আজানের সময় বিরতী দেওয়া হয়। সংসদ সদস্যরা নামাজ পড়ুক বা না পড়ুক, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আছে বলে নামাজের বিরতী দেওয়া হয়। সংসদ অধিবেশন শুরু হয় কোরআন পাঠের মধ্য দিয়ে।
শুক্রবারে সাপ্তাহিক ছুটি কারন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। শব-ই বরাত, মহররম, ফাতেহা ইয়াজদহাম, ঈদেমিলাদুন্নবী, আখিরি চাহার সোম্বা ইত্যাদি সরকারী ছুটি এর একমাত্র কারন এদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না থাকলে কি হবে:- কাজ্জাব লতিফ সিদ্দিকী যখন ইসলামের রোকন নিয়ে কুমন্তব্য করলো, প্রতিবাদে এদেশের তৌহিদি জনতা আন্দোলন করলো। বিচার হোক বা না হোক, আমি আপনি প্রতিবাদ জানাতে পেরেছি। আপনি ইউরোপের কোন কান্ট্রিতে যান, সেইম ঘটনায় কোন প্রতিবাদ করতে পারবেন না।
ওদের প্রশাসন বলবে 'এটা বাকস্বাধীনতা'।
প্রতিবাদে আন্দোলন করলে বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের দ্বায়ে আপনাকে উলটো গ্রেফতার করবে। তসলিমা নাসরিন, হুমায়ুন আজাদ, লতিফ সিদ্দিকী এদের বিরোদ্ধে আন্দোলন করতে পেরেছে একমাত্র কারন এদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হলে প্রকাশ্যে নাস্তিকরা ইসলামকে গালিগালাজ করবে, আমি আপনি টু শব্দটি করতে পারবো না। ওদের বাকস্বাধীনতা বলে চালিয়ে দিবে। নাস্তিকতার প্রতিবাদ করলে বাকস্বাধীনতার হস্তক্ষেপের দরুন আপনাকেই জেলে ডুকাবে।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের সাথে সাথে, এক মুহুর্ত কাল বিলম্ব না করে এদেশের সকল ইসলামি দল/ ইসলামি রাজনীতি নিষিদ্ধ করে দিবে। জামায়াত শিবির, ইসলামি শাষনতন্ত্র আন্দোলন, ইসলামি ঐক্যজোট, খেলাফত সহ সকল ইসলামি দল নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।

সাবধান, সাবধান, সাবধান। সব থেকে বড় বিষয়টা বলতে ভুলেই গেছি। কোরআন বিরোধী 'নারীনীতিমালা আইন', কোরআন বিরোধী 'সম্পত্তি বন্টন নীতিমালা আইন' ইত্যাদি যে সকল আইন পেন্ডিং আছে, সে আইন কেন প্রণয়ন হচ্ছে না জানেন? আপনি কি মনে করেন আপনাদের হুমকি ধামকির বিবৃতি শোনে সরকার ভয়ে এসব আইন পাস করছে না? তবে আপনি ভুল ধারনা করে বসে আছেন। এসব হুমকি ধামকির বিবৃতি সরকার ভয় পাবে তো দুরের কথা, ওদের কান অব্দি পৌছে না।
তাহলে আইন পাস করে না কেন? এর কারন ওদের সংবিধানের ধারা সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। প্রতিটা আইন পাস করার আগে যাছাই বাছাই কমিটি ঘটন করে তারা পর্যালোচনা করে। যাচাইবাছাই কমিটি এই মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে 'রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রেখে ইসলাম বিরোধী আইন পাস করানো হলে, ভবিষ্যতে কেউ রীট করলে নতুন আইন অটোমেটিক বাতিল হয়ে যাবে।' তাই তারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আর এ কারনেই নতুন ইসলাম বিরোধী আইন গুলি পেন্ডিং আছে। 
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হলে, ইসলাম বিরোধী শত আইন পাস হলেও প্রতিবাদ করা যাবে না। প্রতিবাদ করলে সেটা হবে বে আইনি।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হলে লতিফ সিদ্দিকীরা ইসলাম ও প্রিয় নবী সা: কে গালিগালাজ করবে, প্রতিবাদ করলে বাক স্বাধীনতায় আঘাতের দায়ে গ্রেফতার হতে হবে। 
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হলে কবির চৌধুরীরা আজানকে বেশ্যার ডাকের সাথে তোলনা করবে, তসলিমারা কোরআন কে ভুল বলে আল্লাহকে গালিগালাজ করবে, প্রতিবাদ করলে সেটা হবে বাকস্বাধীনতা হরন।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হলে সংবাদপত্রে ইসলাম এর বিরোদ্ধে লেখালেখি হবে, টিভি টকশোতে ইসলামের বিষদাগার করা হবে, প্রতিবাদ করলে সেটা হবে মিডিয়ার স্বাধীনতা হরন। 
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হলে এদেশেও পর্নো ছবি বৈধতা পাবে, পতিতাবৃত্তি পেশার মর্যাদা পাবে।
সব থেকে বড় কথা, সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার বাতিল হয়ে রবিবার হবে। হিন্দুদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত এর দায়ে কোরবানি নিষিদ্ধ হবে। আধুনিক শিক্ষার অজুহাতে মাদ্রাসা বন্দ হবে। 
এরকম লক্ষ লক্ষ সমস্যা দেখা দেবে। কাজেই এখনো সময় আছে,, সবাই সোচ্চার হোন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হলে সবাই একযোগে রাস্তায় নেমে পড়ুন। যারা পোষ্টের প্রথম লাইনের মত চটকদার যুক্তি দেখাবে ওরা সব নাস্তিকদের দালাল, ওদের বয়কট করুন।

-সংগৃহিত

রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬

কাল জামায়াতের ডাকে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

বাংলাদেশ বার্তা: 26 মার্চ ২০১৬ইং রবিবার: সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে দেশকে ধর্মহীন রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর চক্রান্তের প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ রোববার দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে হরতালের ডাক দেন্।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ শতকরা ৯০ ভাগ মুলমানের দেশ।বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশেই রাষ্ট্র ধর্ম  ইসলাম রয়েছে।জনগণের পক্ষ থেকে এমন কোন দাবী উঠেনি যে, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করতে হবে।হাতেগোণা কতিপয় রাষ্ট্র ও ধর্ম বিদ্বেষী ব্যক্তিকে খুশি করার জন্য সরকার যদি সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে এ দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ কখনো মেনে নিবে না।যে সব ব্যক্তি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে যুক্তি দেখাচ্ছেন তা মোটেই গ্রহণ যোগ্য না।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ধর্মনিরপেক্ষতার দাবীদার অনেক দেশেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বহুমানুষের জানমাল ক্সতিগ্রস্ত হচ্ছে।অথচ বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকার পরও এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে।বাংলাদেশে কখনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়না।সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানগণ নর্বদা শ্রদ্ধাশীল।
বিবৃতিতে আরো বলা হয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সাথে এদেশের মানুষের আবেগ-অনুভূতি জড়িত।এ আবেগ অনুভূতিকে গুরুত্ব না দিয়ে সরকার যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সরকার যদি বাদ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তা হলে তা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।

মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন পূরণে ছাত্রশিবির দৃঢ় প্রতিজ্ঞ -শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ বার্তা: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিম আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট হান্নান হোসেনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ আতিকুর রহমান -সংগ্রাম
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান বলেছেন, দেশ ও জাতির জন্য একটি সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন নিয়ে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু দুঃখের বিষয় তাদের সেই স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন পূরণে ছাত্রশিবির দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর এক মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিম আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি খালেদ মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মোবারক হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ঢাকা মহানগরী সভাপতি এডভোকেট হান্নান হোসেনসহ মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।
শিবির সভাপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা হওয়ার কথা ছিল এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে মুক্তিযুদ্ধকে স্বার্থ হাসিলের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। জাতির গৌরবের মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় ও ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত করা হয়েছে। যেই মুুুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য সেই মুক্তিযুদ্ধকেই ব্যবহার করেই জাতিকে বিভক্ত করে ফেলা হয়েছে। যারা আজ মুক্তিযুদ্ধের একচ্ছত্র দাবিদার তাদের দ্বারাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে বার বার। মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা বীরোচিত ভূমিকা রেখেছেন, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে তাদের বিশাল অংশ আজও অবহেলিত। সরকার চেতনাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে ব্যস্ত। কিন্তু ছাত্রশিবির তাদের ভুলে যায়নি। জাতির সেই সাহসী সন্তানদের মধ্যে যারা অসচ্ছল তাদের পরিবারের জন্য ছাত্রশিবির সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছে। স্বাধীনতার এই মাসে তাদের পরিবারকে সহযোগিতা এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের শিক্ষা বৃত্তি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্বস্ত করে বলেন, রক্তে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে যোগ্যতাসম্পন্ন দেশপ্রেমিক নাগরিকের বিকল্প নেই। ছাত্রশিবির সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছে। কিন্তু সফলতা এখনো আসেনি। স্বাধীনতার অর্জনকে অর্থবহ করতে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ছাত্রশিবির নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

হাইকোর্ট থেকে উন্নত চিকিতসার জন্য জামিন প্রাপ্ত হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তির সময় পাবনা জামায়াতের আমীর জেল গেট থেকে ফের গ্রেফতার


পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রহীমকে জেল থেকে ফের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা জামায়াতের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে পাবনা পুলিশ বলছে এ বিষয়টি তারা জানেন না। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা জামায়াত দাবী করেন, মাওলানা আব্দুর রহীম দীর্ঘ এক বছর দুই মাস টানা কারা বন্দী থাকার পর গুরুতর অসুস্থ্য থাকা অবস্থায় কারা কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিতসাধীন ছিলেন। মহামান্য হাইকোর্ট থেকে উন্নত চিকিতসার জন্য জামিন প্রাপ্ত হয়ে ১৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তির সময় পাবনা জেলা পুলিশ কর্তৃক তাকে জেল গেট থেকে সম্পুর্ণ বে-আইনিভাবে পুণরায় গ্রেফতার করা হয়।

পাবনা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে¡ গ্রেফতার করে বুধবার রাতেই তাকে পাবনা নিয়ে আসা হয়। নেতৃবৃন্দের দাবী বর্তমানে তিনি পাবনা ডিবি হেফাজতে আছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, মাওলানা আব্দুর রহীম দীর্ঘ প্রায় সোয়া এক বছর এক টানা বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটক ছিলেন। তিনি হাইড্রোসিল, মুত্রনালী, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্ত চাপসহ নানাবিধ জটিল রোগে বিনা চিকিতসা ও নাম মাত্র চিকিতসায় কারাভোগ করছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হলে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ তারিখে চিকিতসা বোর্ডের পরামর্শে দ্বিতীয় দফায় অপারেশন ও উন্নত চিকিতসার জন্য তাকে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিতসকগণ তাকে ভর্তি করে অপারেশনের পরামর্শ দেন। কিন্তু তাকে ভর্তি না করে এবং অপারেশন না করে সুচিকিতসা দিতে গড়িমসি করা হয়। এ অবস্থায় তার সর্বশেষ মামলায় (এজাহারে নাম না থাকলেও পুলিশ তাকে আসামী করে) মহামান্য হাইকোর্ট থেকে গত ৭ মার্চ জামিন প্রাপ্ত হন এবং ১৩ মার্চ পাবনা জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে বন্ডের মাধ্যমে জামিননামা দাখিল করে সেই মুক্তির আদেশ ১৬ মার্চ ২০১৬, বুধবার ঢাকা কেন্দ্রীয় করাগারে পৌঁছালে আনুমানিক বেলা ৩ টার দিকে জামিনে মুক্তির সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এজাহারে নাম নেই এরকম প্রায় ৭/৮ টা মামলায় যখনই জামিন হয় তখনই তাকে পুণরায় গ্রেফতার দেখিয়ে তার মুক্তি আটকানো হয়েছে। যা আমাদের দেশের প্রচলিত আইনের সম্পুর্ণ পরিপন্থী বলে জেলা নেতৃবৃন্দ এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এমতাবস্থায় মাওলানা আব্দুর রহীমের জীবন সংকটাপন্ন। তার জীবনে যে কোন ঝুঁকির সৃষ্টি হলে সরকার ও জেলা পুলিশ প্রশাসনকেই দায় দায়িত্ব নিতে হবে। তার সুচিকিতসার্থে দ্রুত মুক্তি দাবী করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। 
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের জানান, এমন তথ্য তিনি জানেন না।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা সাংবাদিকদের জানান, তারও বিষয়টি জানা নেই।

শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৬

ছাত্রশিবিরের বিবৃতি তনুর প্রকৃত খুনিদের আড়াল করতেই সরকার সময় ক্ষেপণ করছে -ছাত্রশিবির

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের মেধাবী ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
গতকাল শুক্রবার দেয়া যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, দেশে চলমান বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে জাতিকে আরেকটি নৃশংসতা দেখতে হলো। সারা দেশে এই বর্বরতম হত্যাকা-ের বিচারের দাবি উঠলেও সরকার রহস্যজনকভাবে নীরব রয়েছে। যা জাতির জন্য লজ্জার বিষয়। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। প্রসাশনের এমন নীরবতাই বার বার নির্মম হত্যাকাণ্ডকে উৎসাহিত করছে। এই হত্যাকা- একদিকে যেমন আইনশৃঙ্খলা অবনতির প্রমাণ পেশ করেছে তেমনি সামাজিক অবক্ষয়েরও আরেকটি লজ্জাজনক নজির স্থাপন করেছে। সরকারের নীরবতা কার স্বার্থে, তা নিয়ে ইতোমধ্যে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জনগণ মনে করেন, প্রকৃত খুনিদের আড়াল করতেই সরকার সময় ক্ষেপণ করছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলামী অনুশাসন মেনে না চলাও এ ধরনের সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ। এ ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ এখনি গ্রহণ না করলে তা ভবিষ্যতে আরো ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে।
তারা বলেন, অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য ছাত্রকে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তনুর মতো অসংখ্য ছাত্রী পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যার শিকার হয়েছে। সম্প্রতি রাজশাহীতে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত এমন ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। অথচ আজ পর্যন্ত এসব হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক কোন বিচার জাতি দেখেনি। কারণ, অধিকাংশ ঘটনার পেছনে সরকারদলীয় ক্যাড়াররা জড়িত। 
তারা অবিলম্বে তনু হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একইসাথে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জান-মালের নিরাপত্তার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের র‌্যালী

বাংলাদেশ বার্তা ২৬ মার্চ ২০১৬, শনিবার: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির  ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহনগরীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী করেছে। 
ঢাকা মহানগর উত্তর
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বর্নাট্য র‌্যালি করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।
শনিবার সকাল ৮টায় রাজধানীর বসুন্ধরা গেট এলাকা থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি শুরু হয়ে নর্দ্দা বাসস্ট্যান্ড গিয়ে শেষ হয়।
শাখা সভাপতি হাসান জারিফের পরিচালনায় র‌্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ খান।

এসময় শাহীন আহমেদ খান বলেন, স্বাধীনতার ৪৬তম বছর অতিক্রম করলেও যেই উদ্দেশ্য নিয়ে আমার মাতৃভূমিকে স্বাধীন করা হয়েছিলো সেই স্বাধ দেশের জনগন আজও ভোগ করতে পারছে না। পত্রপত্রিকার দিকে তাকালে আমার ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এই প্রিয় মাতৃভূমিকে মনে হয় যেনো আজিমপুরের গোরস্তানে পরিণত হয়েছে। হাটে ঘাটে মাঠে ঘরে বেডরুমে নদীতে পুকুরে শুধু লাশ আর লাশ।
তিনি বলেন,  যারা  এই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন, আমাদের সেই প্রিয় ইসলামী নেতৃবৃন্দকে আজ বিচারের নামে হত্যা করা হচ্ছে এবং কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ সকল নেতৃবৃন্দকে নি:শর্ত মুক্তি দিতে হবে। তাদেরকে কারারুদ্ধ রেখে কখনোই স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাধ গ্রহণ সম্ভব নয়।
বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শাখা সেক্রেটারি জে. মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সজিব, অর্থ সম্পাদক জাকের হোসাইন ও শিক্ষা সম্পাদক গোলাম সরোয়ার প্রমুখ।
ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ  শনিবার  সকাল সাড়ে ৮ টায়  রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর গেন্ডারিয়া র‌্যাল স্টেশন এলাকায়  এ র‌্যালি  অনুষ্ঠিত হয়।
শিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ মাহমুজুল হক ও দক্ষিণের সভাপতি সাদেক বিল্লাহর  নেতৃত্বে   র‌্যালিতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর সেক্রেটারি সেক্রেটারি রিয়াজ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল আলম, শিবির নেতা তোফাজ্জল হোসাইন, মাসুম তারিক, মজিবুর রহমান মঞ্জু ও ইমাম হোসাইন প্রমুখ।

ঢাকা মহানগর পূর্ব
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বর্নাঢ্য র‌্যালি করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখা। শনিবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় তারা এ র‌্যালি করে।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক মু. মোবারক হোসেন ও শাখা সভাপতি মু. সিয়াম রেজার নেতৃত্বে র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন শাখা সেক্রেটারি এস.আর মিঠু, সাবেক কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক রাশেদুল হাসান রানা, মহানগরী অর্থ সম্পাদক ইমাম হোসাইন ও অফিস সম্পাদক ফায়জুর রহমান প্রমুখ।

শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০১৬

মীর কাসেম আলীর দায় স্বীকার এবং এক কান্নার জলসা লিখেছেন: প্যারিস থেকে Ayesha Khandkar


সালটা মনে করতে পারছিনা। ২০০৭ অথবা ২০০৮ এর প্রথম দিকে হবে। মীর কাসেম আলী প্যারিসে আসলেন। এখানকার ইসলামিক সংগঠনের উদ্যোগে এক আলোচলা সভার আয়োজন করা হল। আমি নগণ্য এক আল্লাহর বান্দাকেও সেই আলোচনা সভায় দাওয়াত দেয়া হলো। মীর কাসেম আলীর কোন প্রোগ্রামে এর আগে ছিলাম কি না মনে নেই। স্মৃতি হাতরিয়েও খুজে পাচ্ছিনা। মীর কাসেম আলীর কোন প্রোগ্রামে আমার হাজিরা এটাই সম্ভবত পয়লা।
প্রোগ্রাম যথারীতি শুরু হয়েছে। এক ভাই পবিত্র কুরআন থেকে সামান্য তেলাওয়াত করেছেন। আমাকে একটি ইসলামিক গানের জন্য আহবান করা হলে আমি গান পরিবেশন করলাম। পরিচয়পর্ব শেষে প্রশ্নোত্তরের সুযোগ দেয়া হলো। প্রত্যেকেই মৌখিক প্রশ্ন করছেন আর জনাব কাসেম আলী কোন জড়তা,হিনমন্যতা কিংবা গোঁজামিলের আশ্রয় না নিয়ে সবকটির সাবলিল জবাব দিয়ে যাচ্ছেন।
২০০৬ সালের রক্তাক্ত ২৮ শে অক্টোবর নিয়ে আমি একটি প্রশ্ন করলাম। প্রশ্নটা ছিলো- যেখানে শেখ হাসিনা তার নেতা কর্মীকে লগি বৈঠা সাথে নিয়ে রাজপথ দখলের হুকুম দিলেন সেখানে জামায়াত নেতৃবৃন্দ তাদের কর্মী সমর্থকদের জনগণের দোয়া নিয়ে মাঠে নামার আহবান করলেন।এতে করে তারা লগি বৈঠার তান্ডবের শিকার হলে প্রতিরোধের কোন সুযোগই থাকলোনা। অনেকগুলি তাজাপ্রাণ নিমিষে ঝরে গেলো। এটা কি জামায়াত নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিক অদুরদর্শিতা নয় ?
এমন প্রশ্নের উত্তরে সহজ সরল ভাবে দায়স্বীকার করে নিয়ে জানালেন , আওয়ামীলীগ এতটা হিংস্র হবে বা পুলিশ বিডিয়ার এতটা নীরব ভূমিকা পালন করবে তা তাদের ধারনায় ছিল না। এভাবে সহজ স্বীকারোক্তি করছেন আর ২৮শে অক্টোবরে শহীদ হয়ে যাওয়া ভাইদের স্মৃতিচারণ করে ঝরঝর করে কাঁদছেন। তার কান্নার সাথে মাহফিলের সকলেই শরিক হলেন। আমিও না কেঁদে পারলাম না। এ কান্না কোন লোক দেখানো কান্না নয়, এ কান্না সত্যি প্রিয়জন হারানোর কান্না। টিভি ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে সস্তা চোখের পানি ফেলানো নয়, এটা কর্মী হারানো এক নেতার অন্তর ছিড়ে বেরিয়ে আসা নোনা জল। সেদিন দেখেছিলাম কতটা নরমদিলের মানুষ তিনি। আল্লাহ তুমি তাকে সাহায্য কর।  সংগৃহীত

মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০১৬

গ্রেফতারের পুর্ব মুহুর্তে শায়খুল হাদীস মাওলানা একেএম ইউসুফ সাহেবের আন্দোলনের সাথী ও সন্তানদের প্রতি অছিয়ত


আমার বয়স এখন ৮৭ বছরে উপনীত হয়েছে।আমার সমবয়সী সাথী ও বন্ধুদের অধিকাংশই এখন দুনিয়া ত্যাগ করে পরপারের যাত্রী। বর্তমানে বয়সের ভার ও নানা রকমের জটিল রোগে রোগাক্রান্ত সত্বেও আল্লাহ এখনও আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমার আট সন্তান ও চব্বিশ জন নাতি-নাতনীদের অধিকাংশই এখন বিদেশে। আমেরিকা, কানাডা ও আরব আমিরাতে বসবাস করছে। যেহেতু আমার বয়স অধিক; উপরন্ত আমি নানা রকম জটিল রোগে রোগাক্রান্ত, যেকোনো সময় আল্লাহর পক্ষ থেকেপরপারের আহবান আসতে পারে, যথাসম্ভব এই আশংকার প্রেক্ষিতে আমার সন্তান ও নাতি-নাতনীরা আমার জীবন-চরিতের উপর একখানা পুস্তিকা প্রকাশের আগ্রহ নিয়ে আমার কাছে তাদের ও আমার অগনিত শুভাকাংখীদের উদ্দেশ্যে নিম্নে লিখিত কথাগুলি পেশ করছি। আশা করি এরা সকলেই আমার অন্তর নিংড়ানো এ কথাগুলিকে উপদেশ (অছিয়ত) হিসেবে গ্রহণ করবে। আমি পরম করুণাময় আল্লাহর একজন ক্ষুদ্র বান্দাহ ও দাস। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমার ও আমার সন্তান-সন্ততি ও নাতি-নাতনীদের উপরে করুনার যে ধারা প্রবাহিত রেখেছেন, আমার কামনার চেয়ে তা অনেক অধিক, যার শুকরিয়া আদায় করা আমার সাধ্যের অতীত। আল্লাহর প্রিয় ও মকবুল বান্দাহদের নেক
আমলসমূহের ধারে কাছেও আমি পৌছতে পারিনি। তবে আল্লাহর উপর গভীর ঈমান নিয়তই আমাকে তাঁর মহান রসুলের (সাঃ) পথ অনুসরণ করে চলার তাকীদ করেছে। ফলে আমি জীবনভর ঐ পথ অনুসরণ করে চলার চেষ্টা করেছি। যদিও চলার পথে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ভুল-ভ্রান্তিও হয়েছে। যার জন্য আমি মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমাপ্রার্থী ও তার করুণার ভিখারী। আল্লাহ নিজেই ঘোষণা দিয়েছেনঃ অর্থাৎ তোমরা আমার রহমত হতে নিরাশ হবে না। আল্লাহ তোমাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দিবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (আয-যুমার, ৫৩)
আমি আমার সন্তান ও শুভাকাংখীদের উদ্দেশ্যে বলতে ছাই যে, আমি মহান আল্লাহ ও তাঁর রসুলের (সাঃ) নির্দেশের আলোকে পিতা-মাতা, স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের হক আদায়ের ব্যাপারে যেমন সজাগ ও সতর্ক ছিলাম, তেমনি সতর্ক ছিলাম সমাজ ও দেশের মানুষের কল্যাণের ব্যাপারে। দেশ ও দেশের বাহিরে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণের জন্য যারা কাজ করেছেন, আমার ক্ষূদ্র প্রচেষ্টা নিয়ে তাদের কাতারেও শামিল ছিলাম।আমার সন্তান ও নাতি-নাতনীদের জন্য আমার অছিয়ত, তোমরা তোমাদের পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি ও আত্মীয়-স্বজনদের অধিকারের ব্যাপারে যেমন সতর্ক থাকবে। তেমনি সতর্ক থাকবে প্রতিবেশী ও দরিদ্রদের অধিকারের ব্যাপারেও। মুসলিম উম্মাহর কল্যাণের কথাটাও যেনো তোমাদের চিন্তায় থাকে।পরম করুণাময় আল্লাহর আমার উপর অনুগ্রহ ছিলো, ফলে আমি দেশ-বিদেশের কতিপয় নেক বান্দাহ ও দাতা সংস্থার সাহায্যে আমার মাতৃভূমির সব এলাকায় বেশ কিছু জনকল্যানমূলক (সদকায়ে জারিয়াহর) কাজ করেছি। সাধ্যের মধ্যে থেকেতোমরাও কিছু সদকায়ে জারিয়াহর কাজ করবে। কেননা সদকায়ে জারিয়াহর সওয়াব মৃত্যুর পরেও আমলনামায় জমা হতে থাকে।আমার প্রাণাধিক সন্তান-সন্ততির জন্য আমার উপদেশ (অছিয়ত) হলো, তোমরা আল্লাহ তা’আলার নির্দেশিত ফরয ইবাদত সমূহ যেমন নামায, রোযা, যাকাত ওহজ্জ্ব নিয়মিত আদায়ের ব্যাপারে আদৌ গাফলতি করবেনা। গুনাহের (অপরাধমূলক) কাজের ধারে কাছেও যাবে না। আর নিয়তই নৈতিক চরিত্রের
উঁচুমানে পৌছার জন্য সচেষ্ট থাকবে। উপরে যে অছিয়ত আমি আমার সন্তান-সন্ততিদের উদ্দেশ্যে করলাম, ঐ একই অছিয়ত আমার
আন্দোলনের সাথী প্রবীণ ও তরুণদের জন্যেও রইল।

মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০১৬

রাষ্ট্রশক্তির মিথ্যাচার ও দম্ভের পরিণতি:গোলাম মাওলা রনি

ණ☛ ঘটনাগুলো খুব বেশি আগের নয়। একটি ঘটেছিল আজ থেকে তিন হাজার তিন শ’ বছর আগে এবং আরেকটি ঘটেছিল মাত্র এক হাজার চার শ’ বছর আগে। প্রথম ঘটনাটির বর্ণনা রয়েছে সব আসমানি কিতাবে এবং দ্বিতীয়টির বর্ণনা রয়েছে পবিত্র আল কুরআনে। উভয় ঘটনাই ঐতিহাসিক। আসমানি কিতাবগুলো ছাড়াও সমসাময়িক ইতিহাস, গল্প-কবিতা এবং লোকগাথায় কাহিনীগুলোর চমৎকার ও জীবন্ত বর্ণনা রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, উভয় ঘটনার নিদর্শনই পৃথিবীবাসীর জন্য রেখে দেয়া হয়েছে। কোনো শাসক যদি অত্যাচারী হয়ে ওঠেন, অহরহ মিথ্যা বলেন এবং মিথ্যার বেসাতির ওপর বসতবাড়ি নির্মাণ করে সীমাহীন দম্ভ করে বেড়ান, তাহলে তাদের ওপর কী ধরনের খোদায়ী গজব কীরূপে নাজিল হয় তা বোঝানোর জন্য উপরোল্লিখিত ঘটনা দু’টি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজে দৃষ্টান্তস্বরূপ রেখে দিয়েছেন। সম্মানীত পাঠিক হয়তো ইতোমধ্যেই বুঝে ফেলেছেন, আমি হজরত মুসা আ:-এর যমানার ফেরাউন রামেসিস দ্য সেকেন্ডে এবং পবিত্র কাবা শরিফ ধ্বংস করার জন্য সসৈন্যে মক্কা আক্রমণকারী ইথিওপিয়া বা আবিসিনিয়ার সেনাপতি এবং দক্ষিণ আরবের রাজা আবরাহা আল আসরামের কথা বলছি। উভয় ব্যক্তি সম্পর্কে বহু ঐতিহাসিক দলিল এবং একই সাথে কেচ্ছাকাহিনী প্রচলিত রয়েছে। পবিত্র কুরআনের একাধিক সূরায় তাদের সম্পর্কে বর্ণনা থাকার কারণে শিক্ষিত মুসলমানেরা যেমন ঘটনাগুলো সম্পর্কে কমবেশি জানেন, তেমনি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকেরাও বিষয়বস্তুর গুরুত্ব ও তাৎপর্যের কারণে ঘটনাগুলো মূল্যায়ন করে আসছেন যুগ যুগ ধরে। আজকের আলোচনায় ঘটনা দু’টির কাহিনীর দিকে সামান্য আলোকপাত করে ভিন্ন প্রসঙ্গে চলে যাবো। প্রথম ঘটনার নায়ক তৎকালীন দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী, সম্পদশালী আর বনেদি সম্রাট ছিলেন। মানবসভ্যতার আদি ভূমি মিসরেই সর্বপ্রথম গড়ে উঠেছিল সুশৃঙ্খল রাষ্ট্্রব্যবস্থা যেখানে দ্বিতীয় রামেসিসের জন্ম হয়েছিল ১৩০৩ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে এবং মৃত্যু হয়েছিল ১২১৩ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে। অর্থাৎ তিনি ৯০ বছর জীবিত ছিলেন। তিনি রাজত্ব করেছিরেন ১২৭৯ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দ থেকে ১২১৩ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দ পর্যন্ত। মিসরের পাঁচ হাজার বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে দ্বিতীয় রামেসিসের মতো প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশালী কোনো দ্বিতীয় ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি মিসরবাসীকে উন্নয়নের চরমে নিয়ে গিয়েছিলেন ও সমসাময়িক দুনিয়ার এক নম্বর সুপার পাওয়ার হিসেবে মিসরকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন ১৯তম রাজবংশের তৃতীয় ফেরাউন বা সম্রাট। তার পিতা সম্রাট প্রথম সেটি এবং মা সম্রাজ্ঞী তুইয়া ছিলেন ইতিহাসের নন্দিত রাজ দম্পতি। 


ණ☛ শাসক হিসেবে অমিতবিক্রম এবং সম্রাট হিসেবে হাজারো উপাখ্যান থাকার পরও দ্বিতীয় রামেসিস আল্লাতায়ালার গজবের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন সিংহাসনে বসে নির্বিচার মিথ্যাচার এবং মিথ্যার বেসাতির জন্য দম্ভ করার কারণে। তিনি যখন বিত্ত-বৈভব এবং ক্ষমতার স্বর্ণশিখরে আসীন, ঠিক তখনই নিজেকে আল্লাহ বলে ঘোষণা করে বসলেন। হজরত মূসা আ:-এর নবুয়তপ্রাপ্তি এবং ফেরাউন দ্বিতীয় রামেসিসের সাগরে পতিত হয়ে মৃত্যুবরণ করার কাহিনীর মাধ্যমে মিথ্যাবাদী ও অত্যাচারী শাসকের পরিনতির যে উপাখ্যান রচিত হয়েছে, তা কিয়ামত পর্যন্ত মানবজাতির জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে। ফেরাউন দ্বিতীয় রামেসিসের মৃতদেহ সংরক্ষিত রয়েছে জাদুঘরে। আল্লাহ ঘোষণা করেছিলেন, তার লাশ সংরক্ষিত রাখা হবে। আসমানি কিতাবগুলোর মধ্যে কেবল পবিত্র কুরআনেই তার লাশ সংরক্ষণের কথা বর্ণিত হয়েছে। কুরআনের মোজেজার উল্লেখযোগ্য একটি দৃষ্টান্ত সবার কাছে প্রমাণিত হয়েছে দ্বিতীয় রামেসিসের মৃতদেহের মাধ্যমে। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত ফেরাউনের লাশ পৃথিবীবাসী খুঁজে পায়নি তার মৃত্যুর কয়েক হাজার বছর পরও। অবশেষে বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে ১৮৯৮ সালে ফেরাউন রামেসিস দ্য সেকেন্ডের লাশ আবিষ্কৃত হয়। 


ණ☛ ফেরাউনের লাশ নিয়ে পৃথিবীবাসী আরো একবার চমকে ওঠে ১৯৮১ সালে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরার সময়ে পরিপূর্ণ রাজকীয় মর্যাদায় লাশটি ফ্রান্সে আনা হয় বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য। গবেষণা দলটির প্রধান ছিলেন মরিস বুকাইলি নামে একজন বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী। গবেষণায় দেখা যায়, লাশের শরীরে লোহিত সাগরের লবণাক্ত পানির লবণের নমুনা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন যে, ৯০ বছর বয়স্ক ফেরাউন সমুদ্রের পানিতে ডুবেই মরেছিলেন। গবেষণা দলের প্রবীণ বিজ্ঞানী মরিস বুকাইলী যখন জানতে পারলেন যে, ফেরাউনের মৃত্যুর ১৮২৩ বছর পর নাজিলকৃত আল কুরআনে তার মৃতদেহের সংরক্ষণ এবং মারা যাওয়ার কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে, তখন তিনি সবকিছু ছেড়ে কুরআনের অন্তর্নিহিত সত্য উদঘাটনে নিজেকে নিয়োজিত করলেন। তিনি কুরআন শরিফ নিয়ে যতই গবেষণা করতে থাকলেন, ততই ঐশী জ্ঞানের কাছে নিজেকে অসহায় ও অসম্পূর্ণ মনে করতে থাকেন। এক সময় তিনি কুরআনের মালিকের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন এবং ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হলেন। কুরআন, বাইবেল এবং বিজ্ঞান নিয়ে তিনি একনাগাড়ে দশটি বছর গবেষণা করে রচনা করলেন তার অমূল্য গ্রন্থ ‘দি বাইবেল, দি কুরআন অ্যান্ড সায়েন্স।’ 


ණ☛ রামেসিস দ্য সেকেন্ডের পর এবার আমরা কাবা আক্রমণকারী বাদশাহ আবরাহা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করে আজকের প্রসঙ্গে আলোচনা করব। আবরাহা যে বছর কাবা শরিফ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে মক্কা আক্রমণ করেছিলেন, সে বছরটিকে আরববাসীরা ‘হস্তি বছর’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আবরাহার সৈন্যবাহিনীর সাথে এক বা একাধিক হাতি ছিল। মরুবাসী বেদুইন কিংবা মক্কা নগরীর অধিবাসীরা কোনো দিন হাতি দেখেনি। ফলে তারা আবরাহার বাহিনীর সাথে হাতি নামক বৃহৎ প্রাণী দেখার পর অতীব আশ্চর্য এবং ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এমন এক সময় যখন আল্লাহর শ্রেষ্ঠ রাসূল সা: মাতৃগর্ভে ছিলেন। পবিত্র কুরআনের সূরা ফিলের মাধ্যমে আল্লাহ বাদশাহ আবরাহা এবং তার সৈন্যবাহিনীর ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার কাহিনী বর্ণনা করেছেন। আবরাহার পতনের সূচনা হয়েছিল মিথ্যার বেসাতি এবং সেই বেসাতি নিয়ে দম্ভ করে সত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার অপরিণামদর্শিতা ও নির্বুদ্ধিতার কারণে। তিনি পবিত্র কাবা শরিফের আদলে তার রাজধানীতে নকল একটি কাবা তৈরি করেন এবং প্রজাসাধারণকে হুকুম করেন তার সৃষ্ট কথিত কাবাকে কেন্দ্র করে মক্কার কাবার মতো হজ, তাওয়াফ, মেলা, গান-বাজনা ইত্যাদি করার জন্য। ফলে ইথিওপিয়া, ইয়েমেন এবং হেজাজসহ দক্ষিণ আরবের বিপুলসংখ্যক লোক আবরাহার নকল কাবাঘরে ভিড় করতে থাকে। এতে মক্কার খানায়ে কাবার দর্শনার্থীদের সংখ্যা অনেক হ্রাস পায়। কাবাকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে তেমনি কাবার দায়িত্বে থাকা কুরাইশ বংশীয় লোকজন আরবভূমিতে নিজেদের শত শত বছরের আদি আভিজাত্য, প্রভাব-প্রতিপত্তি এবং মানসম্মান হারানোর ভয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। এ অবস্থায় জনৈক কুরাইশ আবরাহা নির্মিত নকল কাবা ঘরে গিয়ে মনের দুঃখ, রাগ ও অভিমানে অদ্ভুত এক কাণ্ড করে বসেন। তিনি গভীর রাতে সঙ্গোপনে নকল কাবার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েন এবং সেখানে মলত্যাগ করে নিরাপদে সটকে পড়েন। 


ණ☛ নকল কাবার তীর্থযাত্রীরা সকালবেলা কথিত কাবাঘরের অভ্যন্তরে দুর্গন্ধযুক্ত মল দেখতে পেয়ে হইচই আরম্ভ করে। তাদের বিশ্বাস, এ ঘটনায় মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আল্লাহর ঘরে কোনো মানুষ মলত্যাগ করে পালিয়ে যেতে পারে, এটা তারা কিছুতেই মানতে পারেনি। তারা আবরাহা নির্মিত নকল কাবার জারিজুরি বুঝতে পেরে সদলবলে মূল কাবার পানে ছুটতে আরম্ভ করল। বাদশাহর গোয়েন্দা বাহিনী খবর দিলো, মক্কার কুরাইশরা এহেন কুকর্ম করেছে। বাদশাহ রাগে দিশেহারা হয়ে পড়লেন। কুরাইশদের ‘সমুচিত’ জবাব দেয়ার জন্য এবং আল্লাহর ঘর ধ্বংস করার মানসে তিনি বিপুলসংখ্যক সৈন্য এবং এক বা একাধিক যুদ্ধহাতি নিয়ে মক্কা আক্রমণ করলেন। মহান আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত ক্ষুদ্রকায় আবাবিল পাখির দল আবরাহার সমুদয় সৈন্য সামন্ত এবং হস্তি ধ্বংস করার কাহিনী কমবেশি সবাই জানেন। 


ණ☛ ফেরাউন দ্বিতীয় রামেসিস এবং বাদশাহ আবরাহার ধ্বংস হওয়ার কারণ ও ধরনের মধ্যে দুনিয়াবাসীর জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অসাধারণ সব শিক্ষণীয় বিষয় সন্নিবেশিত করেছেন। আমরা প্রথমে ধ্বংসের কারণ নিয়ে আলোচনা করব। এরপর ধ্বংস করার ধরন নিয়ে কিছু বলে উপসংহারে চলে যাবো। পৃথিবীর সব মানুষ একই রক্ত, মাংস, আবেগ-অনুভূতি, জন্ম-মৃত্যু, ক্ষুধা প্রভৃতি দ্বারা সমগোত্রীয় বিবেচিত হলেও জ্ঞানবুদ্ধি, বংশ মর্যাদা, পদ-পদবি এবং রাজকীয় ক্ষমতা দ্বারা মানবমণ্ডলী একজন অন্য জনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রাধান্য লাভ করে থাকেন। এসব বিষয় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তার বান্দার জন্য অতি উত্তম ও উৎকৃষ্ট নেয়ামত হিসেবে স্বীকৃত। আল্লাহর দয়ায় মানুষ যখন ভালো বংশে জন্ম নেয়, বিশেষ জ্ঞানের অধিকারী হয় অথবা রাষ্ট্রক্ষমতা লাভ করে, তখন তার উচিত নিজের প্রতি ইনসাফ করা। উত্তম আচরণ, সত্যের পথে অবিচল থাকা, জমিনের তামাম মাখলুকের প্রতি ন্যায়বিচার করা, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং তার হুকুম-আহকাম পালনের মাধ্যমেই মানুষ নিজের প্রতি ইনসাফ করে থাকে। রাষ্ট্রক্ষমতাপ্রাপ্ত মানুষের ওপর আল্লাহর একটি বিশেষ হুকুম কার্যকর থাকে। মানুষের রূহ বা আত্মাও আল্লাহর একটি হুকুম মাত্র। আল্লাহ তার হুকুমটি উঠিয়ে নিলে মানুষের দেহ থেকে যেমন রূহ চলে যায়, তেমনি তার হুকুমেই মানুষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয় এবং একইভাবে ক্ষমতা হারিয়েও ফেলে। রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন রাজা-মহারাজা, বাদশাহ বা সম্রাটরা যখন আল্লাহপ্রদত্ত ক্ষমতাকে আল্লাহর নিরীহ বান্দাদের বিরুদ্ধে জুলুমের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন, তখন খোদায়ী গজব তাদের পাকড়াও করার জন্য তাদের আশপাশে যেন টহল দিতে থাকে। ক্ষমতাধর মানুষদের জুলুম-অত্যাচার তাদেরকে প্রতিনিয়ত জাহেলিয়াতের দিকে টেনে নিয়ে যায়। তাদের জ্ঞানের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। বোধশক্তি ভোঁতা হয়ে যায় এবং বিবেক মরে যায়। এ অবস্থায় রাজা-বাদশাহরা অকারণে মিথ্যাচার শুরু করেন এবং তার চেয়েও অকারণে আনন্দ উল্লাস তথা বালখিল্যময় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ ব্যক্তিত্ব হারিয়ে ফেলতে থাকেন। 


ණ☛ দ্বিতীয় ধাপে এসে মিথ্যাবাদী শাসক তার নিত্যদিনের মিথ্যাচার নিয়ে গর্ব করতে শুরু করেন এবং নিজের বোধবুদ্ধি এমন স্তরে নিয়ে যান যাতে তার সর্বদা মনে হতে থাকে যে, সব প্রাণী বোকা এবং কেউ তার মিথ্যাচার ধরতে পারছে না। তৃতীয় ধাপে এসে মিথ্যাবাদী শাসক বিশ্বাস করতে আরম্ভ করেন যে, তার মিথ্যাচারই হলো প্রকৃত সত্য ও বাস্তব ঘটনা। চতুর্র্থ ধাপে সে মিথ্যার বড়াই ও অহঙ্কার প্রদর্শন শুরু করে দেন। পঞ্চম ধাপে এসে নিজেকে খোদা অথবা খোদার প্রতিভূ ভাবতে শুরু করেন। কেউ কেউ প্রকাশ্যে নিজেকে খোদা দাবি করে বসেন কিন্তু বেশির ভাগই মনে মনে নিজেকে খোদার সাথে তুলনা করতে শুরু করেন। ফেরাউন দ্বিতীয় রামেসিস এবং বাদশাহ আবরাহা নিজেদেরকে অধঃপতনের পঞ্চম স্তরে নামিয়ে এনেছিলেন। তাদেরকে ধ্বংস করার আসমানি কৌশল তাদের চার দিক থেকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে ফেলেছিল। পৃথিবীতে তাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ফলে সমাজ-সংসার এবং রাষ্ট্রে তারা দিনকে দিন বেপরোয়া, বেহায়া বা নির্লজ্জ হয়ে পড়েছিলেন। কোনো কাজ করতে তারা ভয় পেতেন না কিংবা সঙ্কোচ বোধ করতেন না। তারা নিজেদেরকে সবকিছুর ওপর বিবেচনা করতেন। বিবেক মরে যাওয়ার কারণে তারা নিজেদের মন্দকাজের জন্য অনুশোচনার পরিবর্তে আনন্দ অনুভব করতেন। তাদের চিন্তা করার ক্ষমতা রহিত হয়ে যাওয়ার কারণে তারা নিজেদের পতনের লক্ষণগুলো বুঝতে পারতেন না। 


ණ☛ ফেরাউন দ্বিতীয় রামেসিস এবং বাদশাহ আবরাহাকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়ার মধ্যে মহান আল্লাহ পাকের অপূর্ব কর্মকৌশলতা এবং নান্দনিকতা ফুটে উঠেছে। তাদেরকে এমন আশ্চর্য ও অদ্ভুত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে যা নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত দুনিয়ার তাবৎ মাখলুককে কেবল বিস্ময় প্রকাশ করতে হবে। পৃথিবীর কোনো নাফরমান, নাস্তিক কিংবা অবিশ্বাসীরা শত চেষ্টা করেও বলতে পারবে না যে, দ্বিতীয় রামেসিস বা আবরাহা কোনো মানুষ দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছেন। ফলে এই দুইটি প্রসঙ্গ উপস্থাপিত হওয়া মাত্র, যে কেউ আল্লাহর অস্তিত্ব এবং তার ক্ষমতা মেনে নিতে বাধ্য। অন্য দিকে, দুইজন মহা জালিমের ধ্বংস হওয়ার ঘটনার মধ্যে আল্লাহর কর্মকুশলতার শ্রেষ্ঠত্ব ফুটে ওঠে। ফেরাউন যখন দেখলেন, তার সামনে সাগরের পানি ভাগ হয়ে গেছে এবং সেখান দিয়ে রাস্তা তৈরি হয়ে গেছে তখন তার জন্য দুইটি খোদায়ী কৌশল মারণ ফাঁদ হয়ে দেখা দিলো। প্রথমত, তার মনমস্তিষ্ক এই অদ্ভুত ঘটনার কার্যকারণ এবং পরিণতি চিন্তা করতে ব্যর্থ হলো। দ্বিতীয়ত, তাকে বহনকারী গাড়ির ঘোড়াগুলো তার হুকুমের অপেক্ষা না করে আল্লাহর হুকুমে সমুদ্রের মধ্যে তৈরি হওয়া পথের দিকে ছুটে চলল। অন্য দিকে, তার অনুগামী সৈন্যবাহিনীও গাফেল হয়ে তাকে অনুসরণ করে ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে নিজেদেরকে সঁপে দিলো। 
ණ☛ আবরাহার পতনের ঘটনাও সাধারণ মানুষের মনমস্তিষ্কে ঢুকবে না। হাজার হাজার ক্ষুদ্রাকার পাখি মটরশুটির মতো ছোট ছোট পাথরের টুকরোর সাহায্যে প্রায় ত্রিশ হাজার সৈন্য এবং তাদেরকে বহনকারী হাতি, ঘোড়া, গাধাকে ধ্বংস করে দেবে বা দিতে পারে- এমন পরিণতির কথা আবরাহা যেমন চিন্তা করতে পারেননি, তেমনি যুগ যুগান্তরে তার উত্তরসূরি কিংবা পূর্বসূরী জালেম শাসকেরাও কল্পনা করতে পারেননি এবং পারবেনও না। এখন প্রশ্ন হলো জালেমরা কিভাবে তাদের পতনের ক্ষেত্র তৈরি করে থাকে? তারা সবার আগে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের শেষ করেছো। তারপর নিরীহজনদের ওপর অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচার করতে করতে মানুষ হিসেবে নিজেদের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। পরের ধাপে তারা অকারণে দ্বন্দ্ব-ফাসাদ, যুদ্ধবিগ্রহ এবং জমিনে বিপর্যয় সৃষ্টির খুঁজতে থাকে। সবশেষে চুঁতা পাওয়ার পর তারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে করতে আল্লাহর গজবের মৃত্যুকূপের দিকে পা বাড়ায় এবং সদলবলে ধ্বংস হওয়ার মাধ্যমে ইহজাগতিক পর্ব শেষ করে। Courtesy by News Organ

লেখক: কলামিস্ট ও সাবেক সাংসদ।