পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রহীমকে জেল থেকে ফের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা জামায়াতের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে পাবনা পুলিশ বলছে এ বিষয়টি তারা জানেন না। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা জামায়াত দাবী করেন, মাওলানা আব্দুর রহীম দীর্ঘ এক বছর দুই মাস টানা কারা বন্দী থাকার পর গুরুতর অসুস্থ্য থাকা অবস্থায় কারা কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিতসাধীন ছিলেন। মহামান্য হাইকোর্ট থেকে উন্নত চিকিতসার জন্য জামিন প্রাপ্ত হয়ে ১৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তির সময় পাবনা জেলা পুলিশ কর্তৃক তাকে জেল গেট থেকে সম্পুর্ণ বে-আইনিভাবে পুণরায় গ্রেফতার করা হয়।
পাবনা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে¡ গ্রেফতার করে বুধবার রাতেই তাকে পাবনা নিয়ে আসা হয়। নেতৃবৃন্দের দাবী বর্তমানে তিনি পাবনা ডিবি হেফাজতে আছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, মাওলানা আব্দুর রহীম দীর্ঘ প্রায় সোয়া এক বছর এক টানা বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটক ছিলেন। তিনি হাইড্রোসিল, মুত্রনালী, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্ত চাপসহ নানাবিধ জটিল রোগে বিনা চিকিতসা ও নাম মাত্র চিকিতসায় কারাভোগ করছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হলে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ তারিখে চিকিতসা বোর্ডের পরামর্শে দ্বিতীয় দফায় অপারেশন ও উন্নত চিকিতসার জন্য তাকে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিতসকগণ তাকে ভর্তি করে অপারেশনের পরামর্শ দেন। কিন্তু তাকে ভর্তি না করে এবং অপারেশন না করে সুচিকিতসা দিতে গড়িমসি করা হয়। এ অবস্থায় তার সর্বশেষ মামলায় (এজাহারে নাম না থাকলেও পুলিশ তাকে আসামী করে) মহামান্য হাইকোর্ট থেকে গত ৭ মার্চ জামিন প্রাপ্ত হন এবং ১৩ মার্চ পাবনা জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে বন্ডের মাধ্যমে জামিননামা দাখিল করে সেই মুক্তির আদেশ ১৬ মার্চ ২০১৬, বুধবার ঢাকা কেন্দ্রীয় করাগারে পৌঁছালে আনুমানিক বেলা ৩ টার দিকে জামিনে মুক্তির সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এজাহারে নাম নেই এরকম প্রায় ৭/৮ টা মামলায় যখনই জামিন হয় তখনই তাকে পুণরায় গ্রেফতার দেখিয়ে তার মুক্তি আটকানো হয়েছে। যা আমাদের দেশের প্রচলিত আইনের সম্পুর্ণ পরিপন্থী বলে জেলা নেতৃবৃন্দ এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এমতাবস্থায় মাওলানা আব্দুর রহীমের জীবন সংকটাপন্ন। তার জীবনে যে কোন ঝুঁকির সৃষ্টি হলে সরকার ও জেলা পুলিশ প্রশাসনকেই দায় দায়িত্ব নিতে হবে। তার সুচিকিতসার্থে দ্রুত মুক্তি দাবী করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের জানান, এমন তথ্য তিনি জানেন না।এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা সাংবাদিকদের জানান, তারও বিষয়টি জানা নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন