দিসিএম ডেস্ক।। গত ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত টেকনাফ উপজেলায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতায় ২ ব্যক্তি নিহত এবং অর্থশত ব্যাক্তি অহত হওয়ার পর তুমুল সমালোচনার মূখে পড়ে প্রশাসন। তাই ঘটনাবহুল টেকনাফের ৬ টি থেকে ৪ ইউপি নির্বাচনে পর সবার দৃষ্টি থাকে হ্নীলা এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিকে। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে দায়ত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা সারাদিন ছিল নিরেপেক্ষ এবং কঠোর ভূমিকায়।
বিশেষ করে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিয়ে সারাদিন ছিল জল্পনা কল্পনা, উত্তেজনা এবং গুজব । সারা দেশে যেখানে ‘‘প্রার্থী যেই হোক না কেন, নৌকায় ভোট দিতে হবে এবং নির্বাচীত করতেই হবে দলিয় প্রার্থীকে‘‘ এই নিতীতে দলিয় প্রার্থী নির্বাচিত হচ্ছে, যেখানে হোয়াইক্যং এ যুদ্ধপরাধীর দায়ে অভিযুক্ত সারা দেশে কোনঠাসা হয়ে থাকা জামায়াতের মত একটি দলতে প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান হওয়াটা ছিল অত্যান্ত কঠিন।
আর তাই নিবাচনের শুরুতে আঃলীগ প্রর্থী সর্মথকরা হোয়াইক্যং ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তার করতেগিয়ে দায়ত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা নিরেপেক্ষ ভুমিকার কারনে তা করতে পারেনি।
হোয়াইক্যং নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করায় আওয়ামীলীগ দলীয় নৌকা প্রতীকেরপ্রার্থী ফরিদুল আলম জুয়েলের ছোটভাই শামসুল আলমকে আটক করেছে ভ্রাম্যমান টীম ।
সকালের দিকে গাড়ী নিয়ে কয়েকজন সফরসঙ্গীসহ ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি টেকনাফের হোয়াইক্যং চেকপোস্ট অতিক্রম কালে নির্বাচনের নিয়যিতআইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা তাদেরকে আটক করে । পরবর্তীতে তাদের ৮জনকে গ্রেপ্তার করে বসিয়ে রাখা হলেও পরে ছাত্রলীগ সভাপতি ইসতিয়াকের পরিচয় পেয়ে তাকে সহ ১ জনকে ছেড়ে দেয়া হয় । ছাত্রলীগ নেতা মেহদি হাসানসহ ৬জনকে অস্ত্র রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
উনচিপ্রাং সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে জোরপূর্বক ব্যালটে সীল মারা চেষ্টাকালে এক যুবককে গনধোলাই দেয় জনগন। এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৬ টি ব্যালটে সিল মারার পর জনতার ধাওয়া খেয়ে সীল মারতে আসা আরো যুবকরা পালিয়ে যায়। তবে ওই সময় ব্যালট ছিনতাই এর গুজব ছড়িয়ে পড়লে সীল মারতে আসা এক যুবককে বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
সারা দিনের ঘটনাবহুল জল্পনা কল্পনা, উত্তেজনা এবং গুজব শেষে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আঃলীগ এবং বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে বিগত দিনের সততা যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে টানা তিন বারেরমত তিন হাজার ভোটের বিশাল ব্যাবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিল বিএনপির জুনায়েদ আলী চৌধুরী । তাঁর প্রাপ্ত ভোট – ৬০৫৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন