ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৬

"বাংলাদেশি পাসপোর্ট? নট অ্যালাউড ইন মুম্বাই !!!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম - 2016-03-29: ওহ! ইউ ফ্রম বাংলাদেশ? সরি! নো বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইজ অ্যালাউড ইন আওয়ার হোটেল। গভর্নমেন্ট পারমিশন নেহি হ্যায়।’ - কথাগুলো বলছিলেন মুম্বাই শহরের হোটেল ‘সি গ্রিন’ ও ‘সি গ্রিন সাউথ’র ম্যানেজাররা।
আইসিসি টি-টোয়িন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে কলকাতা থেকে প্রায় ২৬ ঘণ্টা ট্রেন ভ্রমণ শেষে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকাল সাড়ে দশটায় মুম্বাই রেলস্টেশনে নেমেছি আমরা দশ বাংলাদেশি গণমাধ্যম কর্মী।
নেমেই যথারীতি হোটেল খুঁজতে বেরিয়েছি মুম্বাই শহরে। কিন্তু হোটেলে গিয়ে হোটেলের ম্যানেজারদের মুখ থেকে এসব কথা শুনেই আমাদের সবার চোখ কপালে!
এখানকার হেটেলগুলোতে বাংলাদেশ থেকে এসেছে শুনলেই চোখ উঁচু করে, ভ্রু কুচকে, মুখ বাঁকা করে একবারে সোজা না করে দিচ্ছে! তাহলে কি আমরা বাংলাদেশে জন্মে পাপ করেছি? আমরা তো এখানে বেড়াতে আসিনি। এসেছি আইসিসি’র আমন্ত্রণে। আর যদি বেড়াতেও আসি তাতেই বা দোষ কী?
যাই হোক উল্লিখিত প্রথম দুই হোটেলে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসার পর বাংলাদেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল জি টিভি’র ভারপ্রাপ্ত ক্রীড়া সম্পাদক তাইব অনন্ত ও চ্যানেল আই’র স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট আরিফ চৌধুরী গিয়েছিলেন হোটেল সিলভার মুনসহ আরও দুই হোটেলে।
তাদের পরিচয় না জেনে রুম দেখিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ এক একটি রুমের ভাড়া হাঁকিয়েছেন ৬ হাজার রুপি। রুম দেখার পর তারা দরদামের সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ পরিচয় জানতে চায়। দুজনই বাংলাদেশ থেকে এবং আরও আটজন যারা আসবে সবাই এক দেশের তখন এক রকম রেগে গিয়ে তাদের বলেন, ‘সরি আপকো রুম নেহি মিল সাকতা। কিউ কি আপ বাংলাদেশকা সিটিজেন হ্যায়।’
আরেক হোটেলের ম্যানেজার বলেন, আমাদের সিআইডি ফর্ম নেই। ওটা থাকলে আপনাদের জন্য চেস্টা করে দেখতাম।
জবাবে তারা কিছুই না বলে ফিরে আসেন। তখনও আমাদের সবার শরীর ভীষণ ক্লান্ত, পেটে ক্ষুধা। বসার জায়গা দূরে থাক ল্যাগেজ রাখারও এতটুকু জায়গা নেই।
রোদের মধ্যে না খেয়ে না ঘুমিয়ে ক্লান্ত শরীরে মুম্বাই রেলস্টেশনে ল্যাগেজের পাহারার জন্য তিনজন রেখে বাদ বাকি সবাই বেরিয়ে পড়েছি হোটেলের খোঁজে।
এভাবে একটি দুটি করে প্রায় ১৯টি হোটেল দেখার পর বিকেল ৩টা নাগাদ খাড়াকের মোহাম্মদ আলী রোডের মিনারা মসজিদের পাশে অবশেষে একটি হোটেলে আমরা উঠি। কৃতজ্ঞতায়-তাজুল ইসলাম

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন