রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করতে রিট আবেদন খারিজ করার ঘটনাকে সাজানো নাটক বলে দাবি করেছেন জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। আজকের রিট আবেদন বাতিল হওয়াকে জন্য রাজপথে ও ফেসবুকে আন্দোলনরত মুসলিমদেরকে কৃতিত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। আজ সোমবার রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে করা রিট খারিজ করে দেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকে নিজের পেইজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ দাবি করেন।
স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, 'যদি আজকে মুসলমানরা চুপ করে বসে থাকতো, তবে বিভিন্ন আইনের অজুহাতে আজকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করা হতো। কিন্তু যেহেতু মুসলমানরা তীব্র আন্দোলন করেছে, তাই ভীত হয়ে আইনের অজুহাত দিয়েই বাতিল করা হলো কথিত রিট আবেদন। তাই আজকের রিট আবেদন বাতিল হওয়ার মূল কৃতিত্ব ছিলো রাজপথে ও ফেসবুকে আন্দোলনরত মুসলিম সমাজের।'
ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, 'কোর্ট শুরু হয়েছে ২:০০ টায়, সুপ্রীম কোর্টের এনএক্স ভবনের ২০ নম্বর রুম। তিন জাস্টিস (নাইমা হায়দার, কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামাল বসে আছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (অ্যার্টনী জেনারেল) মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলো না, ছিলো তার সহযোগী অ্যার্টনী জেনারেল মুরাদ রেজা। সে কোর্টের কাছে আরো সময় চায়। এ সময় জাস্টিস কাজী রেজাউল হক তাকে বসিয়ে দেন। এ সময় দাড়ায় থার্ড পার্টি হিসেবে ইন্টারভেনারদের (ইসলামের পক্ষে) আইনজীবি টিএইচ খান ও এবিএম নুরুল ইসলামসহ আরো অসংখ্য আইনজীবি। এ সময় জাস্টিস কাজী রেজাউল হক তাকেও বসিয়ে দেন। বলেন-্আগে রিট আবেদনকারীদের (রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের পক্ষে) কথা শুনবো। এ সময় দাড়ায় রিট পক্ষের (ইসলাম বাতিলের পক্ষে) আইনজীবি সুব্রত চৌধুরী, যে হিন্দুদের অন্যতম নেতা। সে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তার কাছে কাজী রেজাউল হক জানতে চায়- রিট দায়েরকারী কথিত ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির’ লোকাস স্ট্যান্ডি (রিট দায়ের করার আইনী বৈধতা) আছে কি না ? কিন্তু হিন্দু নেতা সুব্রত চৌধুরী তা দিতে সক্ষম হয় না। ফলে কোর্ট শুরুর মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে জাস্টিস কাজী রেজাউল হক বলেন- রিট খারিজ, রুল ডিসচার্জ।'
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হওয়ায় রিটকারীদের আইনজীবি ড.কামালের মেয়ের ইহুদী জামাই রাগান্বিত হয়ে কোর্ট থেকে বেরিয়ে গেছেন বলে ওই স্ট্যাটাসে দাবি করেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক।
এ রিটকে ইসলাম বরোধী আন্তর্জাতিক সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত আখ্যায়িত করে ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে এ বিষয়ে তিনি লিখেন, 'তবে একজন জানালো- রায় ঘোষণা হওয়ার পর কোর্ট থেকে চরম রাগান্বিত অবস্থায় এক সাদা চামড়ার ইউরোপীয় ব্যক্তিকে সে হন হন করে বের হয়ে যেতে দেখেছে। ঐ ব্যক্তির নাম ডেভিড বার্গম্যান। সে ড. কামাল হোসেনের মেয়ে সারা হোসেনের জামাই, সে একজন ব্রিটিশ ইহুদী। এখান থেকে বলা যায়- বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করার চক্রান্ত কত সুদূর প্রসারী ছিলো।
প্রিয়দেশ অনলাইন, ঢাকা:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন