ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৯

৩০ডিসেম্বরের জয় পরাজয়•••••• (প্রথম কিস্তি) - মজিবুর রহমান মনজু


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ একজন আমাকে প্রশ্ন করলেন ৩০ ডিসেম্বর আপনি বা আপনারা কী হেরে গেছেন? নাকি এটাকে আপনাদের নৈতিক বিজয় মনে করছেন? 

আমি বললাম- ইয়েস ৩০ ডিসেম্বর আমরা হেরে গেছি। অন্তত: ব্যক্তিগতভাবে আমি মনেকরি আমি অবশ্যই হেরে গেছি। 
কেন? কীভাবে হারলেন? 
কারণ ৩০ তারিখ স্বৈরতন্ত্রের পতন হবার কথা ছিল। গণতন্ত্র ও দেশ মুক্ত হবার কথা ছিল। লক্ষ কোটি জনতার স্মত:স্ফূর্ত সমর্থনে ফ্যাসিবাদ পরাজিত হবার কথা ছিল। এসব আশা নিয়েই আমি-আমরা ধানের শীষকে সমর্থন দিয়েছিলাম। ধানের শীষ বুকে জড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। 

কিন্তু আমরা জিততে পারিনি, পরাজিত হয়েছি। এই পরাজয়ে আমার যতটুকু দায় তা আমি স্বীকার করছি। 

আমি যদি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক হতাম, আ.স.ম আবদুর রব, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না কিংবা বিএনপি বা ২০ দলীয় জোটভুক্ত কোন দলের শীর্ষ নেতা হতাম তাহলে দায়িত্বপূর্ণ পদ থেকে পদত্যাগ করতাম। আমার সেরকম উল্লেখযোগ্য কোন পদ বা দায়িত্ব নেই। তবুও আমি আমার ব্যক্তিগত দায় থেকে এই পরাজয় স্বীকার করে নিচ্ছি। 
আপনারা হয়তো ভাবছেন কেন আমার এই স্বেচ্ছা স্বীকারাক্তি! 
হ্যাঁ আমি তার ব্যখ্যা দিচ্ছি- 
একজন ক্ষুদে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি এবং আমার মতো অনেকেই জানতো দলীয় সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়না। দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনে চুরি হয়, ডাকাতি হয়, কেন্দ্র দখল হয়। 
কিছুদিন আগে যেসব সিটি কর্পোরেশনে চুরি-ডাকাতির নির্বাচন হয়েছে সেগুলোতে অন্তত: পোস্টার লাগানো গেছে, প্রচার প্রচারণা মিছিল সমাবেশ করা গেছে। কিন্তু এই নির্বাচনে কিছুই করা যায়নি। উপরন্তু নির্বাচনের আগেই ধানের শীষের প্রার্থীদের পাইকারী মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে, প্রার্থীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, প্রার্থীদের উপর নারকীয় হামলা চালানো হয়েছে, কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করা হয়েছে, এমনকি পোলিং এজেন্ট দেয়ার মত প্রতিটি লোককে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে। 

কিন্তু এসবের মধ্যেও ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করেছে। নিজেদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি আর প্রার্থী নির্বাচন করতে লম্বা সময় নষ্ট করেছে। নির্বাচনী ইশতেহার আর ফেসবুক প্রচারনায় ব্যাপক মেধা খাটিয়েছে। অর্থাৎ তারা শুধু গতানুগতিক নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত ছিল। নির্বাচন কে আন্দোলন হিসেবে নেয়ার যে প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছিল তা তারা রক্ষা করেনি। নির্বাচন কালীন নির্যাতন, নিপীড়ন, জুলুম ও ভয়ানক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তারা কার্যকর কোন আন্দোলনের উদ্যোগ নেননি। 
এটা কী তাদের কৌশল ছিল! না ব্যর্থতা? 
আমি মনেকরি এটা অমার্জনীয় ব্যর্থতা। 
এর দায় একান্তভাবে নেতৃত্বের। 
অর্থাৎ একবাক্যে আমি বলতে চাইছি- নির্বাচন কে আন্দোলন হিসেবে নিয়ে আন্দোলন না করাটা এবং আন্দোলন সংগ্রাম ছাড়া শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অটল থাকাটা ছিল মস্তবড় ভুল। এই ভুল যারা করেছেন এবং সেই ভুল সত্বেও আমরা যারা তাদের কাজে সহযোগিতা দিয়েছি তারা উভয়ে ভুল করেছি। এই ভুলের জন্য যারা আমাদের সমর্থন দিয়েছেন, ধানের শীষের জন্য কাজ করেছেন তাদের সবার কাছে আমাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। 
আমাদের ঘাড়ে যে ভয়ংকর ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছে তাকে সরাতে হলে আমাদের সবাইকে প্রচন্ড নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান হতে হবে। 
যে নেতৃত্বের ভুল স্বীকার করার নৈতিক সাহস নেই তাদের ডাকে জনগণ কখনো সাড়া দেবেনা। এটা আমার সুস্পষ্ট বুঝ। কেউ যদি আমার এই মন্তব্য ও বুঝ কে ভুল প্রমাণ করতে পারেন তাহলে খুব খুশী হবো। 
তবে এ প্রসঙ্গে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো- 
বিশ্বের নিকৃষ্টতম, নির্লজ্জ, বেহায়া এই হিংস্র ফ্যাসিবাদী শাসনের কাছে বোকামীপূর্ণ পরাজয় সত্বেও এবারের নির্বাচনে আমাদের জন্য শিক্ষামূলক কিছু কী নেই? 
আমি মনেকরি অবশ্যই আছে। পরাজয়ে মানুষ শুধু হারায় না বড় কিছু অর্জনও করতে পারে। তাই একই সাথে আমি মনেকরি এই নির্বাচনে আমাদের শিক্ষা এবং প্রাপ্তি অনেক অনেক বেশী। যদি আমরা সঠিক উপলব্ধি থেকে সেসব নিয়ে পথ খুঁজতে চাই তাহলেই কেবল তা থেকে সুফল পাওয়া সম্ভব। 
সে সম্পর্কে দ্বিতিয় কিস্তিতে কিছু লিখার আশা আছে। 
আপাতত: আজকের লিখাটি ভুল স্বীকার এবং ক্ষমা চেয়েই শেষ করছি, ধন্যবাদ।
সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন