ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১

চট্টগ্রামে স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ বার্তা: চট্টগ্রামে স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে মহান স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের সাবেক ডিন ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান।


সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. নেছারুল করিম।

ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, 'আমাদের ভূখন্ডকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাখা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব, কারণ দেশ যদি স্বাধীন-সার্বভৌম না থাকে তাহলে আমরা কোথায় আমাদের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করব? আমাদের মনে রাখতে হবে বড় বড় ব্রিজ, কালভার্ট, ফ্লাইওভার এসব উন্নয়ন দেশের স্বাধীনতা-অখন্ডতার পরিচয় বহন করে না। হ্যাঁ, দেশ স্বাধীনের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রত্যাশার কিছু জিনিস আমরা পেয়েছি, কিন্তু আমাদের ভাগ্য থেকে ৫০টি বছর চলে গেছে। কিছু নিয়মিত গতানুগতিক উন্নয়ন হয়তো হয়েছে, কিন্তু যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ছিল না, তা জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। যা প্রত্যাশা করেছিলাম, তার অধিকাংশই আমরা পাইনি। স্বাধীন স্বকীয়তা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোয় স্বাধীনতা। কিন্তু আমাদের রাজনীতি, আমাদের পররাষ্ট্রনীতির আজ কী হাল? আমাদের সভা সমাবেশ করার অনুমতি নেই, নির্বাচন ব্যবস্থা একেবারেই ধ্বংস হয়ে গেছে, ভোটের আগের রাতে ভোট হয়ে যায়। এসব তো মুক্তিযুদ্ধের সময় কথা ছিল না। ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টের মাধ্যমে কথা বলার স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেয়া হবে, মামলা দেয়া হবে, স্বার্থ রক্ষা করতে না পারলে চিফ জাস্টিসের মতো ব্যক্তিকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে, এগুলো কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? স্বাধীনতার এই ৫০ বর্ষপূর্তিতে সকলের প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঘোষণা অনুযায়ী সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আল-কুরআনের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। কেবলমাত্র সেই আদর্শের মাধ্যমে একটি সৎ, যোগ্য নেতৃত্বের কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব।'

প্রধান বক্তা প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেন, 'স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস আমাদের জানতে হবে, ইতিহাসের অনেক বিকৃতি হয়েছে, সেটি আমাদের দুর্ভাগ্য। ১৯৪৭ সালে আমাদের প্রথম স্বাধীনতা দিবসে আমরা পুর্ব পাকিস্তানের যে মানচিত্র পেয়েছিলাম সেটাই আমাদের বাংলাদেশের মানচিত্র, পরবর্তী প্রজন্ম যাতে এটি ভুলে না যায়। গণতন্ত্রের জন্য, অনাচারের বিরুদ্ধে আমাদেরকে দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন তিনিই বাকশাল গঠন করে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন। অথচ ভাষাগত , জাতিগত ও ধর্মীয়ভাবে আমরা অধিকাংশই এক, এটা পুরো পৃথিবীতে বিরল, কিন্তু নানা ষড়যন্ত্রের কারণে আমরা বহুধা বিভক্ত। সঠিক নেতৃত্বও আমরা পাইনি। আমাদের সবাইকে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করতে হবে, গণতন্ত্র থাকলে দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে। যে রাজনৈতিক দলই দেশে ক্ষমতায় থাকুক, মেধাবীদেরকে মূল্যায়ন করতে হবে। অতএব স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তিতে আমার চাওয়া আমরা যদি একটি সৎ যোগ্য জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে পারি, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন যদি সম্ভব হয় তাহলে আগামী দিনের বাংলাদেশ অনেক সুন্দর হবে।'

সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ জনাব মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, 'বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত মহান স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনার’২১ এ উপস্থিত সকল অতিথিবৃন্দকে জানাচ্ছি আন্তরিক মুবারকবাদ। স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তিতেও দেশে বাকস্বাধীনতার চরম সংকট চলছে। এরকম একটি দিনেও আলেম-ওলামা-মুসল্লিদের উপর পাখির মতো গুলি করা হচ্ছে। ’৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা যে উদ্দেশ্যে তাঁদের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন, বাংলাদেশ কি সেই উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে? দেশ কি ইনসাফের ভিত্তিতে চলছে? দেশের মানুষ কি অর্থনৈতিক ভাবে মুক্তি পেয়েছে? অবকাঠামো গত কিছু উন্নয়নের চমক এটি একটি দেশের জন্য বড় অর্জন হতে পারে না। গণতন্ত্র বিবর্জিত, মানবতা বিবর্জিত উন্নয়ন মানুষকে শুধু প্রতারিতই করতে পারে, মানুষের অন্তরকে জয় করতে পারে না। আজ দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে, গণতন্ত্রের লেশমাত্রও কোথাও দেখা যাচ্ছে না। আজ আমাদেরকে ভার্চুয়াল সেমিনারের আয়োজন করতে হচ্ছে, অথচ আজ এটি একটি বড় হল রুমে হওয়ার কথা ছিল। আজকে যে উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে, তা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। আজকের এই সেমিনার থেকে আমরা সুস্পষ্ট ভাবে উচ্চারণ করতে চাই, রাজনৈতিক যে কাদা ছোঁড়াছুড়ি, জাতীয় ঐক্যের পরিবর্তে সকল ক্ষেত্রে যে অনৈক্য, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনআর নামে আমাদের নতুন প্রজন্মকে ইসলাম বিবর্জিত এবং ধর্ম নিরপেক্ষ প্রজন্ম গড়ে তোলার যে সুদুরপ্রসারি চক্রান্ত, এখান থেকে জাতিকে উদ্ধার করতে হবে। আমরা জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে যদি সঠিক ট্র্যাকে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে পৃথিবীতে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে। তাই আসুন, আজকের এই সেমিনারের আলোচনাগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ গড়ার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ি।'

এছাড়াও উক্ত সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবদুর রব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. মাঈন উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের প্রফেসর ড. শামীম উদ্দিন খান প্রমুখ।

সেমিনারে সমাপনী বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক জনাব আ.জ.ম ওবায়েদুল্লাহ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ নুরুল আমীন৷ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ আলম চৌধুরী ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরীসহ চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

মনে রেখো হেফাজত —মল্লিক মাহমুদ

হেফাজত তুমি খুনে রাঙা এক

দৃপ্ত কাফেলা জানি,
তোমার মিছিলে দাঁড়িয়ে অনেকে
প্রাণ দেয় কোরবানি।
তেরো সালে সেই বজ্র শ্লোগানে
জেগেছো যখন তুমি,
টুপি-জুব্বায় সাদা হয়েছিলো
শাপলার পুরো ভূমি।
বাতিলের সাথে লড়েই গিয়েছে
লক্ষ মুজাহিদেরা,
কারোর কারোর আবার সেদিন
হয় নি তো ঘরে ফেরা।
বদরের পথে কদম বাড়িয়ে
স্বপ্ন প্রদীপ জ্বেলে,
কোরানের রাজ কায়েমের তরে
রক্ত দিয়েছে ঢেলে।
তবে কিছুদিন পর—
কিছু দালালের আগমনে ভরে
গিয়েছে তোমার ঘর।
স্বার্থের মোহে হৃদয় তাদের
সর্বদা ডুবে ছিলো,
তাইতো নিমিষে নিজ আদর্শ
নিস্তেজ করে দিলো।
তাগুতের সাথে দুহাত মিলালো
একই মঞ্চে বসে,
এই দুনিয়ার লাভ-ক্ষতি নিয়ে
জটিল অঙ্ক কসে।
তখন হতাশা জমাট বেঁধেছে
শত মুমিনের মনে,
রঙিন গোলাপ শুকিয়ে গিয়েছে
স্বপ্নের মধুবনে।
এমনি করেই অনেকটা দিন
পার হলো অবশেষে,
বুকে টেনে আর নেয় নি তো কেউ
তোমাদের ভালোবেসে।
কিন্তু হঠাৎ অন্যায় দেখে
কাল বোশেখীর বেগে,
নতুন শপথে বলীয়ান হয়ে
আবারো ওঠেছো জেগে।
আবারো নেমেছে ঈমানী শ্রাবণ
ধূসরিত সরোবরে,
শহীদি জযবা উথলে ওঠেছে
শত কোটি অন্তরে।
জীবনের মায়া ভুলে—
মিছিলের মুখে গর্জে ওঠেছে
তাকবীর ধ্বনি তুলে।
বুকের ভেতরে জমা হয়ে থাকা
ভালোবাসা ঢেলে দিয়ে,
আরো কিছু তাজা টগবগে প্রাণ
শাহাদাত নিলো পিয়ে।
সংগ্রাম দিয়ে মানুষের মন
আবারো নিয়েছো কেড়ে,
তোমার জন্য জাতির মমতা
দ্বিগুন গিয়েছে বেড়ে।
আজকে তোমায় কাব্যের সুরে
অনুরোধ করি শুধু,
ফুলে ভরা এই কাফেলা আবার
করো না মরুর ধূধূ।
মনে রেখো হেফাজত—
তোমার জন্য রক্তে রেঙেছে
এদেশের রাজপথ!
.
৩০।০৩।২১

দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড ছোটপুল নিবাসী মনজুর আলমের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ   চট্রগ্রাম ২৭নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড ছোটপুল নিবাসী আমির আহাম্মদ মাঝির বাড়ির আবুল খায়ের এর ছেলে মন্জুর আলম ২৮/০৩/২০২১ ইং রোজ রবিবার ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।


তার মৃ্ত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেছেন জামায়াত নেতা জনাব মাসুদ পাভেজ।
বিবৃতিতে জনাব মাসুদ মরহুমের  রুহের আত্নার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেছেন আল্লাহ্‌ যেন তাহার পরিবার কে শোক সই বার শক্তিদান করেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন, আল্লাহ্‌ যেন তাহাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমিন

আল্লামা মামুনুল হক আপনার নিকট জানতে ইচ্ছে করে এ আন্দোলনের গন্তব্য কোথায়?

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ গন্তব্য কোথায়? আল্লামা মামুনুল হক আপনার নিকট জানতে ইচ্ছে করে এ আন্দোলনের গন্তব্য কোথায়?

মোদি বিরুধী আন্দোলন করলেন,পুলিশ ছাত্রলীগরেরা হামলা করলো, শহীদ হলো কয়েকজন ভাই।

এর পাল্টা জবাবে হরতাল দিলেন,এবং আপনি বললেন তৃতীয় কোন দল যেন না ঢোকে।
এটা আপনার বক্তব্য আপনার ব্যাপার,,,বাট আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে,, আবার ৪৮ ঘন্টার হরতাল।

এই আন্দোলন হরতালের কারনটা কি?
নিশ্চয় নিহত হওয়া শহীদ ভাইদের যারা হত্যা করছে তাদের বিচারের দাবি?

গতকাল শহীদ হলো,আজ শহীদ হলো,আবার ডাকবেন না জানি আরও কতজন শহীদ হবে।

আমি জানতে চাই-----মেনে নিলাম সরকার সব আসামি আইনির আওতায় আনলো। এবং বিচারের মুখোমুখি করলো।

আমি কিছু সময়ের জন্য মেনে নিলাম,তাদের ফাঁসিও দিলো সরকার। লাভ কি?

আবার থেমে যাবেন,আবার সরকার কিছু ইসলাম বিরুধীতে লিপ্ত হবে, আবার ডাকবেন আন্দোলন আবার মরবে ভাইয়েরা।
এগুলা তো ৯৬ সাল থেকে দেখে আসছি আমরা।

কি করবেন? এটা তো সরকার বিরুধী আন্দোলন না,বা পতনের আন্দোলন না,,তাহলে এই আন্দোলনের যৌতিক্তা কি?

আপনাদের দাবি কি এটায় তো জানতে পারলাম না,মুল দাবি কি?

মরা কি বার বার মরা যায়,নাকি একবার মরে মানুষ? ইমানদার তো এক গর্তে বার বার পড়ে না।

বার বার সরকারের তাবেদারী করবেন নাকি জাতিকে মুক্তি দিবেন।

যদি জাতীকে মুক্তি দেন, তাহলে এখনও সময় আছে, সব ইসলামিক মাইন্ডের দল নিয়ে বৈঠকে বসুন,আলোচনায় বসুন।

আপনাদের আন্দোলন হরতালের কোন গন্তব্য নেই,গন্তব্যহীন পথ কখনো সফলতার পথ দেখাই না।

এখন সময় সরকার পতনের আন্দোলন,আসেন এক কাতারে,,আপনি জানেন না মামুনুল হজুর আমরা হেফাজত কওমি চরমুনাইকে কলিজার মত ভালোবাসি।

আমাদের কলিজায় এই হত্যাযজ্ঞ আর সইতেছে না,,,আমরা সরাসরি নামতে পারছিনা,কারন গন্তব্যহীন পথের আন্দোলন।

সরকারকে উচ্ছেদ করেন, ডাক দিন,ইসলামিক মাইন্ডের রাজনৈতিক দলের সাথে ঐক্যে আসুন প্লিজ।

আমরা শুধু রক্তনা জিবন দিতে প্রস্তত,,না পারলেও জামায়াতকে পাশে নিন, আর অভিমান নয়।

আমাদের হাত পা রক্ত এখনও স্বচল, আমরা মরতে চাই মারতে চাই,,একবার শুধু একবার জামায়াত হেফাজত চরমুনাই এক কাতারে আসতে চাই,,এবং কাঁধে কাঁধ মিলাতে চাই।

পারলে এক কাতারে আসেন,না হয় আন্দোলনের ঘোষনা বয়কট করেন,,আর লাশ চাইনা আমরা।

সংগৃহীত

মোহরা নিবাসী এডঃ হাসান আলীর পিতার ইন্তেকালে জসিম সরকারের শোক প্রকাশ

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ মোহরা নিবাসী এডঃ হাসান আলীর পিতার ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন সরকার।

চান্দগাঁও থানা মোহরা ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মোহরা নিবাসী শরাফত ম্যানশন ও এস কে আর্কেড এর স্বতাধিকারী এবং এডভোকেট হসান আলীর পিতা জনাব,শরাফত আলী সাহেব আজ রাতে ইন্তেকাল করেছেন; (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)

মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন সরকার তার ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করে একটি বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতি তিনি মরহমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন, আল্লাহ যেন মরহুমকে জান্নাতে মাকামে আ,লা দান করেন।আমিন।

ক্ষমতায় যাওয়াটাই কি এখন ইমান বাচানোর জন্য ফরজ নয়????

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আবেগের আন্দোলন

দেশে এখন যে আন্দোলন হচ্ছে এটা কিসের আন্দোলন আমি বুঝতে পারছি না।
বলা হচ্ছে মোদী বিরোধী আন্দোলন। ঠিক আছে মেনে নিলাম মোদী বিরোধী তো মোদীর যারা সেবা করছে তাদের বিরুদ্ধে কেনো আন্দোলন নয়???
বিষয়টা যেনো এমন নিজের বউ পরকীয়া করছে একবার না বার বার কিন্তু বউয়ের কোনো দোষ নেই সব দোষ যার সাথে পরকীয়া করেছে তার! কি আজব যুক্তি তাই না!
যে হুজুর গুলো আজকে চিল্লাচ্ছেন, এতিম ছাত্রদের গুলির মুখে ছুঁড়ে দিচ্ছেন আপনারা যদি আজ সরকার গঠন করতেন তাহলে কি কসাই টা আসতে পারতো?
প্রিয় হুজুর আপনি যদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতেন তাহলে কি কসাই টাকে দাওয়াত করতেন?
আরে ভাই বুঝেন না কেনো সরকার গঠন করলেই তো সব সমস্যার সমাধান করতে পারছেন।
তাহলে ক্ষমতায় যাওয়াটাই কি এখন ইমান বাচানোর জন্য ফরজ নয়????
অথচ হেফাজত একটা অরাজনৈতিক সংগঠন। বাহ্ খুব ভালো। তামাশা পাইছেন মিয়া? ক্ষমতায় যাওয়া ছাড়া যে ইসলামের হেফাজত করা যায় না এটা জেনে বুঝেও আপনি অরাজনৈতিক?
হেফাজতে ইসলাম যার নামেই বুঝা যাচ্ছে লক্ষ্য হচ্ছে ইসলামের হেফাজত করা। আর এটাও স্পষ্ট হেফাজতের কাছে কোনো পাওয়ার নেই। ইসলামের উপর কেউ আঘাত করলে তাকে সাস্থি দেওয়ার কোনো ক্ষমতা রাখে না। তাহলে কিভাবে ইসলামের হেফাজত করবেন ভাই?
ভাই আপনাদের প্রধান ঈমানী কাজ তো নিজে সরকার হওয়া। তারপর তো হেফাজত করবেন ইসলামের। এত বড় আলেম আপনারা সরকার ছাড়া যে ইসলামের হেফাজত করা যায় না এটা বুঝা কি খুব কঠিন?
জামায়াত যেটা 1941 সালে বুঝেছে ক্ষমতায় যাওয়া ছাড়া ইসলাম হেফাজত করা যায়না। আমাদের প্রিয় চরমোনাই পীর সেটা বুঝতে পেরেছেন 47 বছর পর 1987 সালে। যাক আলহামদুলিল্লাহ তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
কিন্তু ইসলামী আন্দোলন এখনও মাদ্রাসার ভিতরেই রয়েছে। শুধু কি পাঞ্জাবি পায়জামা পড়ে দেশ চালানো সম্ভব?
আপনি ব্যারিস্টার না হলে তো সেখানে ব্যারিস্টার তাগুত শক্তি হবে। আপনি পুলিশ না হলে কাকে পুলিশ রাখবেন?
আলহামদুলিল্লাহ বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত সেক্টরে জামায়াত শিবির ঢুকে গেছে। আজ আমাদের পর্যাপ্ত আইনজীবী রয়েছে। প্রতি বছর ঈর্ষণীয় ভাবে বিসিএস ক্যাডার শিবির তৈরি করছে।
আজ আমাদের ইসলামী ব্যাংক অন্যান্য সকল ব্যাংকের আদর্শ।
আমাদের মেডিসিন কোম্পানি দেশের সেরা।
আলহামদুলিল্লাহ শিবির প্রশাসনে ঢুকে গেছে। আজ আমরা জেলে গেলে পুলিশ ভাইয়ের ভালোবাসা পাই।
বুয়েট ক্যাম্পাস থেকে আজ শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি হয়।
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের কোচিং আজ ডাক্তার তৈরির কারখানা।
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের শিবিরের চরিত্র নিয়ে কেউ অভিযোগ পর্যন্ত করেনা।
অথচ আপনাদের মাদ্রাসাগুলোতে আমরা বলাৎকারের অভিযোগ পাই। যদিও আমরা বিশ্বাস করি বলাৎকারের অভিযোগ এটা মাদ্রাসা গুলোকে কলুষিত করার সরযন্ত্র।
কিছুদিন আগে ভাস্কর্য ইস্যুতে আপনাদের কর্মীরা গ্রেফতার হওয়ায় থানায় থানায় ছুটতে হয়েছে। আইনি সহায়তা পাওয়ার জন্য আপনাদের আইনজীবী নগণ্য।
অথচ জামায়াত দেখুন আইনজীবী সমিতির নেতৃত্ব দিচ্ছে।
সরকারও জানে এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেখানে শিবির নেই। আর শিবিরে মেধাবী ছাড়া উপরে উঠা যায়না।
তাই যতদিন বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকবে
ততদিন শিবির থাকবে
শিবির শুধু থাকবেই না
শিবির সেখানে নেতৃত্ব দিবে।
শুধু জানাজা নামাজ পড়ালেই হবে না ভাই। প্রত্যেকটা সেক্টরেই আপনাকে যেতে হবে।
তাছাড়া আপনি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না।
এবার একটু জঙ্গি ভাইদের উদ্দেশে কিছু বলতে চাই।
ভাই আপনারা যে হামলা গুলো করেন অনেক মানুষ মারা যায়! আচ্ছা যারা মারা যায় তারা সবাই কি অপরাধী। আর ভাই কেউ তো নিরপরাধ হতেই পারে কারণ মানুষ তওবা করলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।
আপনি যেহেতু মানুষের মনের খবর জানেন না তাই আপনি কখনোই সবাইকে অপরাধী বলতে পারেন না। আর সবাই অপরাধী না হলে যদি একজন নিরপরাধ মারা তাহলে তো আল্লাহ বলছে আপনি গোটা মানবজাতিকে হত্যা করলেন। এইযে জঙ্গি ভাই গোটা মানবজাতিকে হত্যা করলে বুঝি জান্নাতে যাওয়া যাবে?
সবাই কে স্পষ্ট বলে দিতে চাই মুহাম্মদ (সা) ইসলাম কে কখনোই যুদ্ধের মাধ্যমে জয়ী করেন নি।
আপনি যদি যুদ্ধ গুলো বিশ্লেষণ করেন দেখবেন হাজার এর বেশি মানুষ মারা যায়নি। অথচ অন্যান্য বিপ্লবগুলোর দিকে দেখুন কোটি কোটি মানুষ মারা গেছে। তাই এটা এইতিহাসিক সত্য কথা যে মুহাম্মদ সা: এর ইসলামী বিপ্লব রক্তপাতহীন ইসলামী বিপ্লব।
যেহেতু নবীজীর বিপ্লব ছিলো রক্তপাতহীন বিপ্লব আর আপনি বিপ্লব করতে গিয়ে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে তাহলে আপনি জেনে রাখুন আপনি নবীজীর পথে নাই।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইসলামী দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যতদূর এগিয়ে গেছে জামায়াত কে ছাড়া এইদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে চিন্তা করা আবেগ। আমি বলবো শতাব্দীর সেরা আবেগ।
একটা কথা সবাই আমরা শুনেছি যে যখন অনেকগুলো ইসলামী দল থাকবে তখন তাগুত যাকে ভয় করবে যার উপর নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার চালাবে সেটাই হচ্ছে সত্য ইসলামী দল।
আজ অন্যান্য ইসলামী দল লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে কর্মসূচি পালন করে তাগুত শক্তি প্রটেকশন দেয়। আর আমাদের ৩-৪ জন মাত্র ছাত্র নিয়ে বই পড়লেও গ্রেফতার করে।
বাংলাদেশের সকল মুসলিম ভাইয়ের প্রতি আহ্বান জামায়াত কে জানুন। জামায়াত বুঝুন। এবং জামায়াতের সঙ্গে জান্নাতী সমাজ তৈরির এই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করুন। ইনশাআললাহ বিজয় অতি নিকটে।
সত্য প্রচার এর জন্য আপনাদের সাপোর্ট চাই

কিছু তীর্যক মন্তব্য দেখে মনে হলো, কিছু কথা এখুনি বলা দরকার

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ অনেকগুলো অর্জন আছে এই আন্দোলনের। আন্দোলন এখনো চলমান। সার্বিক মুল্যায়নের সময় এখনো আসেনি। কিন্তু তারপরও কিছু তীর্যক মন্তব্য দেখে মনে হলো, কিছু কথা এখুনি বলা দরকার।

প্রথমত, হরতাল নামক একটি রাজনৈতিক কর্মসূচীকে জ্যান্ত করার জন্য ইসলামপন্থী শক্তিকে ধন্যবাদ দেয়া যায়। যারা নিয়মতান্ত্রিক দৃশ্যমান পদ্ধতিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেন, অন্তত বাংলাদেশে তাদের জন্য অন্যতম একটি সেরা কৌশল ছিল হরতাল। কিন্তু প্রধান বিরোধী দলের নিস্ক্রিয়তা এবং ভালো করে একটি ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করার মুরোদ কমে যাওয়ায় হরতাল নামক কর্মসূচীটি বাংলাদেশ থেকে প্রায় চলেই গিয়েছিল। সর্বশেষ অদ্ভুত জাতীয় নির্বাচনের পরও ঘটনা কম ঘটেনি। কিন্তু প্রতিবাদ কর্মসূচী হিসেবে হরতালকে কখনোই বেছে নেয়ার সাহস করা হয়নি।

দ্বিতীয়ত, হরতাল ডেকে ঘরে বসে থাকা বা এসিরুমে থাকার যে দুর্নাম এই দেশের মূল ধারার রাজনীতিবীদদের হয়েছিল, আগেও এবং এবারও ইসলামপন্থীরাই সে দুর্নাম ঘুচিয়েছে। বড়ো দলগুলো ছোটদলগুলোর সাফল্যকে স্বীকৃতি দিতে চায় না। কিন্তু জনগন যা বোঝার তা বুঝে গিয়েছে।

তৃতীয়ত, মিডিয়াগুলো আরেকবার তাদের দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করেছে। ফ্যাক্ট আর রিয়েলিটি থেকে তারা কতটা দূরে- তা এবার আরো একবার প্রকাশিত হয়েছে। যে যুক্তি দিয়েই তারা নিজেদের অক্ষমতাগুলোকে জাস্টিফাই করুন না কেন, মানুষের গনমাধ্যমের ওপর থেকে বহু আগেই আস্থা উঠে গিয়েছিল। অনাস্থার সেই জায়গাটা এবার আরো বেশি পোক্ত হলো।

চতুর্থত, দালাল কাপুরুষদেরকে চিত্রায়িত করা সম্ভব হলো। আগে যে কথাগুলো মানুষ মনে মনে ভাবতো কিন্তু বলতে সাহস পেতো না, এবার তারা মুখে লেখনিতে তা প্রকাশ করেছে। এখন সেলিব্রেটিদেরকে নিজেদের পথ বেছে নিতে হবে। তারা মিডিয়ার মতো বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে পারেন অথবা আস্থা অর্জনও করে নিতে পারেন। সিদ্ধান্ত তাদের।

পঞ্চমত, প্রবাসী মানুষদের দেশ নিয়ে আকুতি চোখে পড়েছে। তারা যেহেতু স্বাধীনভাবে ফেসবুক ব্যবহার করতে পেরেছেন, তাই তাদের সক্রিয় থাকার সুযোগও ছিল। আর তারা যতটা পারেন, করেছেন। ননস্টপ অনলাইনে থাকা এবং আত্মিকভাবে পাশে থাকার চেষ্টা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন বার্তা বহন করে।

৬ষ্ঠত, আমরা অনেকগুলো নেতা পেয়েছি। আস্থা রাখার মতো লোক পেয়েছি। আমরা অনেকেই দুশ্চিন্তা থেকে বলি, নেতা কই? নেতা কবে আসবে? এই চিন্তাগুলো আসে, প্রথাগত ভাবনা থেকে। অনেক সময় পরিস্থিতিই নেতা তৈরি করে দেয়। খেয়াল করে দেখুন, দুদিন আগে আমরা কয়জনই বা মধুপুরের পীর সাহেবের কথা জানতাম। অথচ আজ কমবেশি সবার ওয়ালেই তার ছবি। তার সাহসিকতার প্রশংসা। এভাবেই সামনে আসার লোক তৈরি হয়ে যায়।

শেষে এসে একটি কথা বলি। যদি এই প্রয়াসকে আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয় অকার্যকর মনে হয়, তাহলে আপনারই দায়িত্ব হলো, বিকল্প রাস্তার কথা বলে দেয়া। কিছু মানুষ দেখছি, প্রতিনিয়ত সমালোচনা করছেন, বলছেন, এভাবে হবে না ওভাবে করুন। কিংবা বলছেন, এগুলো দূরদর্শী কাজ নয়। কেউ কেউ আবার বলছেন, হরতাল অবরোধ বা গণতান্ত্রিক কর্মসূচী দিয়ে কিছু হবে না। অন্য কিছু চাই। কেউ বা বলছেন, রাসুলের সা,. সুন্নাতের আদলে আন্দোলন। এভাবে ভাসা ভাসা কথা না বলে, আপনার চিন্তা বা কর্মসূচীর আউটলাইন দিন। কীভাবে কী করতে চান, প্রকাশ্যে বলুন। আপনার ডিটেইলস কথা সঠিক হলে প্রজন্ম মেনে নেয়ার মতো মানসিকতা রাখে। তারপরও আল্লাহর ওয়াস্তে কথায় কথায় মানুষের ত্যাগ কুরবানিকে খারিজ করবেন না।

(আলী আহমেদ মাবরুর)