ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১

ক্ষমতায় যাওয়াটাই কি এখন ইমান বাচানোর জন্য ফরজ নয়????

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আবেগের আন্দোলন

দেশে এখন যে আন্দোলন হচ্ছে এটা কিসের আন্দোলন আমি বুঝতে পারছি না।
বলা হচ্ছে মোদী বিরোধী আন্দোলন। ঠিক আছে মেনে নিলাম মোদী বিরোধী তো মোদীর যারা সেবা করছে তাদের বিরুদ্ধে কেনো আন্দোলন নয়???
বিষয়টা যেনো এমন নিজের বউ পরকীয়া করছে একবার না বার বার কিন্তু বউয়ের কোনো দোষ নেই সব দোষ যার সাথে পরকীয়া করেছে তার! কি আজব যুক্তি তাই না!
যে হুজুর গুলো আজকে চিল্লাচ্ছেন, এতিম ছাত্রদের গুলির মুখে ছুঁড়ে দিচ্ছেন আপনারা যদি আজ সরকার গঠন করতেন তাহলে কি কসাই টা আসতে পারতো?
প্রিয় হুজুর আপনি যদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতেন তাহলে কি কসাই টাকে দাওয়াত করতেন?
আরে ভাই বুঝেন না কেনো সরকার গঠন করলেই তো সব সমস্যার সমাধান করতে পারছেন।
তাহলে ক্ষমতায় যাওয়াটাই কি এখন ইমান বাচানোর জন্য ফরজ নয়????
অথচ হেফাজত একটা অরাজনৈতিক সংগঠন। বাহ্ খুব ভালো। তামাশা পাইছেন মিয়া? ক্ষমতায় যাওয়া ছাড়া যে ইসলামের হেফাজত করা যায় না এটা জেনে বুঝেও আপনি অরাজনৈতিক?
হেফাজতে ইসলাম যার নামেই বুঝা যাচ্ছে লক্ষ্য হচ্ছে ইসলামের হেফাজত করা। আর এটাও স্পষ্ট হেফাজতের কাছে কোনো পাওয়ার নেই। ইসলামের উপর কেউ আঘাত করলে তাকে সাস্থি দেওয়ার কোনো ক্ষমতা রাখে না। তাহলে কিভাবে ইসলামের হেফাজত করবেন ভাই?
ভাই আপনাদের প্রধান ঈমানী কাজ তো নিজে সরকার হওয়া। তারপর তো হেফাজত করবেন ইসলামের। এত বড় আলেম আপনারা সরকার ছাড়া যে ইসলামের হেফাজত করা যায় না এটা বুঝা কি খুব কঠিন?
জামায়াত যেটা 1941 সালে বুঝেছে ক্ষমতায় যাওয়া ছাড়া ইসলাম হেফাজত করা যায়না। আমাদের প্রিয় চরমোনাই পীর সেটা বুঝতে পেরেছেন 47 বছর পর 1987 সালে। যাক আলহামদুলিল্লাহ তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
কিন্তু ইসলামী আন্দোলন এখনও মাদ্রাসার ভিতরেই রয়েছে। শুধু কি পাঞ্জাবি পায়জামা পড়ে দেশ চালানো সম্ভব?
আপনি ব্যারিস্টার না হলে তো সেখানে ব্যারিস্টার তাগুত শক্তি হবে। আপনি পুলিশ না হলে কাকে পুলিশ রাখবেন?
আলহামদুলিল্লাহ বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত সেক্টরে জামায়াত শিবির ঢুকে গেছে। আজ আমাদের পর্যাপ্ত আইনজীবী রয়েছে। প্রতি বছর ঈর্ষণীয় ভাবে বিসিএস ক্যাডার শিবির তৈরি করছে।
আজ আমাদের ইসলামী ব্যাংক অন্যান্য সকল ব্যাংকের আদর্শ।
আমাদের মেডিসিন কোম্পানি দেশের সেরা।
আলহামদুলিল্লাহ শিবির প্রশাসনে ঢুকে গেছে। আজ আমরা জেলে গেলে পুলিশ ভাইয়ের ভালোবাসা পাই।
বুয়েট ক্যাম্পাস থেকে আজ শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি হয়।
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের কোচিং আজ ডাক্তার তৈরির কারখানা।
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের শিবিরের চরিত্র নিয়ে কেউ অভিযোগ পর্যন্ত করেনা।
অথচ আপনাদের মাদ্রাসাগুলোতে আমরা বলাৎকারের অভিযোগ পাই। যদিও আমরা বিশ্বাস করি বলাৎকারের অভিযোগ এটা মাদ্রাসা গুলোকে কলুষিত করার সরযন্ত্র।
কিছুদিন আগে ভাস্কর্য ইস্যুতে আপনাদের কর্মীরা গ্রেফতার হওয়ায় থানায় থানায় ছুটতে হয়েছে। আইনি সহায়তা পাওয়ার জন্য আপনাদের আইনজীবী নগণ্য।
অথচ জামায়াত দেখুন আইনজীবী সমিতির নেতৃত্ব দিচ্ছে।
সরকারও জানে এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেখানে শিবির নেই। আর শিবিরে মেধাবী ছাড়া উপরে উঠা যায়না।
তাই যতদিন বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকবে
ততদিন শিবির থাকবে
শিবির শুধু থাকবেই না
শিবির সেখানে নেতৃত্ব দিবে।
শুধু জানাজা নামাজ পড়ালেই হবে না ভাই। প্রত্যেকটা সেক্টরেই আপনাকে যেতে হবে।
তাছাড়া আপনি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না।
এবার একটু জঙ্গি ভাইদের উদ্দেশে কিছু বলতে চাই।
ভাই আপনারা যে হামলা গুলো করেন অনেক মানুষ মারা যায়! আচ্ছা যারা মারা যায় তারা সবাই কি অপরাধী। আর ভাই কেউ তো নিরপরাধ হতেই পারে কারণ মানুষ তওবা করলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।
আপনি যেহেতু মানুষের মনের খবর জানেন না তাই আপনি কখনোই সবাইকে অপরাধী বলতে পারেন না। আর সবাই অপরাধী না হলে যদি একজন নিরপরাধ মারা তাহলে তো আল্লাহ বলছে আপনি গোটা মানবজাতিকে হত্যা করলেন। এইযে জঙ্গি ভাই গোটা মানবজাতিকে হত্যা করলে বুঝি জান্নাতে যাওয়া যাবে?
সবাই কে স্পষ্ট বলে দিতে চাই মুহাম্মদ (সা) ইসলাম কে কখনোই যুদ্ধের মাধ্যমে জয়ী করেন নি।
আপনি যদি যুদ্ধ গুলো বিশ্লেষণ করেন দেখবেন হাজার এর বেশি মানুষ মারা যায়নি। অথচ অন্যান্য বিপ্লবগুলোর দিকে দেখুন কোটি কোটি মানুষ মারা গেছে। তাই এটা এইতিহাসিক সত্য কথা যে মুহাম্মদ সা: এর ইসলামী বিপ্লব রক্তপাতহীন ইসলামী বিপ্লব।
যেহেতু নবীজীর বিপ্লব ছিলো রক্তপাতহীন বিপ্লব আর আপনি বিপ্লব করতে গিয়ে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে তাহলে আপনি জেনে রাখুন আপনি নবীজীর পথে নাই।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইসলামী দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যতদূর এগিয়ে গেছে জামায়াত কে ছাড়া এইদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে চিন্তা করা আবেগ। আমি বলবো শতাব্দীর সেরা আবেগ।
একটা কথা সবাই আমরা শুনেছি যে যখন অনেকগুলো ইসলামী দল থাকবে তখন তাগুত যাকে ভয় করবে যার উপর নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার চালাবে সেটাই হচ্ছে সত্য ইসলামী দল।
আজ অন্যান্য ইসলামী দল লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে কর্মসূচি পালন করে তাগুত শক্তি প্রটেকশন দেয়। আর আমাদের ৩-৪ জন মাত্র ছাত্র নিয়ে বই পড়লেও গ্রেফতার করে।
বাংলাদেশের সকল মুসলিম ভাইয়ের প্রতি আহ্বান জামায়াত কে জানুন। জামায়াত বুঝুন। এবং জামায়াতের সঙ্গে জান্নাতী সমাজ তৈরির এই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করুন। ইনশাআললাহ বিজয় অতি নিকটে।
সত্য প্রচার এর জন্য আপনাদের সাপোর্ট চাই

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন