বিভেদ নয়, ঐক্য ও সম্প্রীতিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসুন- অধ্যক্ষ নুরুল আমীন
নগরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মাসব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি পালন করলেও আজ আমরা আগ্রাসী শক্তির কাছে পরাধীন। এছাড়াও নির্বাচন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত, আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ, গণমাধ্যমও পরাভুত। আজ দেশের গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা ভুলন্ঠিত। তিনি দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিভেদ নয়, ঐক্য ও সম্প্রীতিপূর্ণ ন্যায় সঙ্গত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
মহান স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য র্যালীত্তোর সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগরী এ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ আলম চৌধুরী, শ্রমিক নেতা এস এম লুৎফর রহমান, জামায়াত নেতা আমীর হোসাইন, জাকির হোসেন, খালেদুল আনোয়ার, মুহাম্মদ ইলিয়াছ, ছাত্রনেতা নোমান রশীদ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে নুরুল আমীন আরো বলেন, দীর্ঘ পথ পরিক্রমার মাধ্যমে বহু মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর মানচিত্রে সমুজ্জ্বল। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এই সবুজ ভূ-খন্ডে সমৃদ্ধি ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য যুগে যুগে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদেরকে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। এদেশের মানুষের মাঝে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন, আত্মিক উন্নতি সাধন, ধর্মীয় সম্প্রীতির সুরক্ষা এবং ন্যায়-ইনসাফপূর্ণ একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে এসে সেই পথচলা আরও দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, একটি সুন্দর, উন্নত, সম্প্রীতিপূর্ণ, ন্যায়সংগত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে দেখতে হলে আমাদের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই যেমন রয়েছে অধিকার, তেমনি রয়েছে দায়িত্ববোধ। সেই নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। ন্যায়সংগত কাজে পারস্পরিক সহযোগিতা যেমন আমাদের দায়িত্বে অবিচ্ছেদ্য অংশ, ঠিক তেমনি দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাও আমাদের নাগরিক দায়িত্ব।
নুরুল আমিন বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের সাথে সাথে সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয় স্বাধীনতার সুরক্ষা। বাংলাদেশের ভৌগলিক বাস্তবতায় সেই চ্যালেঞ্জ আরও বৃহৎ। বর্তমান যুগে ভৌগলিক সীমানা সুরক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে সুরক্ষিত থাকা অপরিহার্য। তাই দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশবাসীকে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে।
উল্লেখ্য যে, মহান স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী গৃহীত আরো কর্মসূচীর মধ্যে আলোচনা সভা, সেমিনার, সামাজিক কার্যক্রম, রচনা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ও তাদের সন্তানদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা, করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান, ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, রক্তদান কর্মসূচী ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের আর্থিক সহায়তাসহ নানা কর্মসূচী পালন করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন