বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আব্বা বলতেন, “খুব অল্প সময়ে বেশি টাকা আয় হলেই তা খারাপ হবে তা নয়। তবে, যদি খুব অল্প সময়ে এবং অল্প পরিশ্রম করে অনেক টাকা পাওয়ার সুযোগ আসে, তাহলে তার উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করবে। কারণ এ জাতীয় উপার্জনে হালাল-হারামের মানদন্ডে স্বচ্ছতা থাকে না। হারাম হওয়ারও ঝুঁকি থাকে। আর অনেক পরিশ্রম করে যদি অল্প টাকা পাও, তাহলে অন্তত পরিশ্রমের মূল্য পাওয়া গেছে বলে জানবে। সেক্ষেত্রে বিতর্ক হওয়ারও সুযোগ কম। যাদের টাকা কম, তারা আলোচনা-সমালোচনায় থাকে না।”
আমি এ কথাবার্তাগুলো তখন কেবল শুনেছি। অনেক বছর পরে এসে যখন কর্মজীবনের বাস্তবতায় এ বিষয়গুলো চিন্তা করি, তখন এর সত্যতা টের পাই। অনেকেই বলে, ঢাকায় টাকা ওড়ে। আমি জানিনা, কোথায় সে টাকা। তবে, অনুভব করি, হালাল পথে টাকা উপার্জনের মতো কঠিন কাজ আর কিছু হয় না।
যখন অনেকের অনেক সম্পদের গল্প শুনি, কোটি টাকা আয়ের কথা জানি, তখন অবাক লাগে। কীভাবে সম্ভব? এত টাকা কীভাবে হয়? সেদিন এক প্রবাসী ভাইও বললেন, ‘ভাই টাকা আয়ের সুযোগ তো বাংলাদেশে।’ আমি বললাম, ‘বাংলাদেশে হালাল পথে টাকা আগেও কম ছিল এখনো তাই। এখানে অনেক পরিশ্রম করেও যত কম টাকা পাওয়া যায়, তা বিশ্বে আর কোথাও হয় কিনা আমার জানা নেই।’
তাছাড়া আপনি শ্রম দিলেও তার মুল্যায়ন পাবেন- এরও কোনো গ্যারান্টি নেই। আপনি নিয়ম মেনে গাড়ি চালালেও দুর্ঘটনা হতে পারে, কারণ অন্য সবাই নিয়ম মানছে না। ঠিক তেমনি পরিশ্রম আর সততা দিয়ে কাজ করলেও থার্ড কোনো ফ্যাক্টর এসে আপনার পাওনা পাওয়ায় সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটাই আমাদের এখানে বাস্তবতা- ক্ষেত্র বিশেষে হয়তো অভিজ্ঞতা ভিন্ন ভিন্ন হয়।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ যেভাবে রেখেছেন তার জন্য আমি শুকরিয়া আদায় করি। অনেকেই বড়ো হওয়ার জন্য নানা পথে যান। তারা ঋন পরিশোধ করার জন্য আরো বেশি ঋণে জড়িয়ে পড়েন। আল্লাহ এখনো অবধি এ জাতীয় পরীক্ষা থেকে হেফাজত করেছেন। আল্লাহ এভাবে যেন বাকি সময়টায়ও হেফাজত করেন। আমিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন