ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭

জামায়াতে ইসলামীর ৭১ সালের ভুমিকা-পর্ব-(১) #মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম

জামায়াতে ইসলামীর অতীত ও বর্তমানের ভূমিকা থেকে একথা সুস্পষ্ট যে,আদর্শ ও নীতির প্রশ্নে জামায়াত আপোষহীন ৷ দুনিয়ার কোন স্বার্থে জামায়াত কখনো আদর্শ বা নীতির সামান্য ও বিসর্জন দেয়নি ৷ এটুকু মূলকথা যারা উপলব্ধি করে,তাদের পক্ষে ৭১- এ জামায়াতের ভূমিকা বুঝতে কোন অসুবিধা হবার কথা নয় ৷
আদর্শগত কারণেই জামায়াতের পক্ষে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও সমাজতন্ত্রের ধারক ও বাহকগণের সহযোগী হওয়া সম্ভব ছিলো না,যারা ইসলামকে একটি পূর্ণাংগ জীবন বিধান বলে সচেতনভাবে বিশ্বাস করে, তারা এ দুটো মতবাদকে তাদের ঈমানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী মনে করতে বাধ্য ৷ অবিভক্ত ভারতে কংগ্রেস দলের আদর্শ ছিলো ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ৷জামায়াতে ইসলামী তখন থেকেই এ মতবাদের অসারতা বলিষ্ঠ যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করেছে ৷ আর সমাজ তন্ত্রের ভিত্তিই হলো ধর্মহীনতা ৷
পাকিস্হানের প্রতি ভারত সরকারের অতীত আচরণ থেকে,জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ইন্দিরা গান্ধীকে এদেশের এবং মুসলিম জনগণের বন্দু মনে করা ও কঠিন ছিলো ৷ ভারতের পৃষ্টপোষকতার ফলে সংগত কারণেই তাদের যে আধিপত্য সৃষ্টি হবে এর পরিণাম মংগলজনক হতে পারে না বলেই জামায়াতের প্রবল আশংকা ছিলো ৷
জামায়াত একথা বিশ্বাস করতো যে,পূর্ব পাকিস্হানের জনসংখ্যা পশ্চিম পাকিস্হানের তুলনায় বেশী হওয়ার কারণে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু হলে,গোটা পাকিস্হানে পূর্ব -পাকিস্হাণের প্রাধান্য সৃষ্টি হওয়া হওয়া সম্ভব হবে৷ তাই জনগণের হাতে ক্ষমতা বহাল করার আন্দোলনের মাধ্যমেই জামায়াত পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার অর্জন করতে চেয়েছিলো ৷
জামায়াত বিশ্বাস করত যে,প্রতিবেশী সমপ্রসারণ-বাদী (ভারত) দেশটির বাড়াবাড়ি থেকে বাঁচতে হলে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্হানকে একীভূত থাকাই সুবিধাজনক ৷ আলাদা হয়ে গেলে ভারত সরকারের আধিপত্য রোধ করা,পূর্ব পাকিস্হানের একার পক্ষে বেশী কঠিন হবে ৷ মুসলিম বিশ্ব থেকে ভৌগোলিক দিক দিয়ে বিচ্ছিন্ন এবং ভারত দ্বারা বেষ্টিত অবস্হায় পূর্ব পাকিস্হানের নিরাপত্তা প্রশ্নটি জামায়াতের নিকট উদ্বেগের বিষয় ছিলো ৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন