জামায়াতে ইসলামীর অতীত ও বর্তমানের ভূমিকা থেকে একথা সুস্পষ্ট যে,আদর্শ ও নীতির প্রশ্নে জামায়াত আপোষহীন ৷ দুনিয়ার কোন স্বার্থে জামায়াত কখনো আদর্শ বা নীতির সামান্য ও বিসর্জন দেয়নি ৷ এটুকু মূলকথা যারা উপলব্ধি করে,তাদের পক্ষে ৭১- এ জামায়াতের ভূমিকা বুঝতে কোন অসুবিধা হবার কথা নয় ৷
#প্রথমত,,
আদর্শগত কারণেই জামায়াতের পক্ষে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও সমাজতন্ত্রের ধারক ও বাহকগণের সহযোগী হওয়া সম্ভব ছিলো না,যারা ইসলামকে একটি পূর্ণাংগ জীবন বিধান বলে সচেতনভাবে বিশ্বাস করে, তারা এ দুটো মতবাদকে তাদের ঈমানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী মনে করতে বাধ্য ৷ অবিভক্ত ভারতে কংগ্রেস দলের আদর্শ ছিলো ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ৷জামায়াতে ইসলামী তখন থেকেই এ মতবাদের অসারতা বলিষ্ঠ যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করেছে ৷ আর সমাজ তন্ত্রের ভিত্তিই হলো ধর্মহীনতা ৷
পাকিস্হানের প্রতি ভারত সরকারের অতীত আচরণ থেকে,জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ইন্দিরা গান্ধীকে এদেশের এবং মুসলিম জনগণের বন্দু মনে করা ও কঠিন ছিলো ৷ ভারতের পৃষ্টপোষকতার ফলে সংগত কারণেই তাদের যে আধিপত্য সৃষ্টি হবে এর পরিণাম মংগলজনক হতে পারে না বলেই জামায়াতের প্রবল আশংকা ছিলো ৷
#তৃতীয়ত,,,,
জামায়াত একথা বিশ্বাস করতো যে,পূর্ব পাকিস্হানের জনসংখ্যা পশ্চিম পাকিস্হানের তুলনায় বেশী হওয়ার কারণে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু হলে,গোটা পাকিস্হানে পূর্ব -পাকিস্হাণের প্রাধান্য সৃষ্টি হওয়া হওয়া সম্ভব হবে৷ তাই জনগণের হাতে ক্ষমতা বহাল করার আন্দোলনের মাধ্যমেই জামায়াত পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার অর্জন করতে চেয়েছিলো ৷
#চতুর্থত,,,,
জামায়াত বিশ্বাস করত যে,প্রতিবেশী সমপ্রসারণ-বাদী (ভারত) দেশটির বাড়াবাড়ি থেকে বাঁচতে হলে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্হানকে একীভূত থাকাই সুবিধাজনক ৷ আলাদা হয়ে গেলে ভারত সরকারের আধিপত্য রোধ করা,পূর্ব পাকিস্হানের একার পক্ষে বেশী কঠিন হবে ৷ মুসলিম বিশ্ব থেকে ভৌগোলিক দিক দিয়ে বিচ্ছিন্ন এবং ভারত দ্বারা বেষ্টিত অবস্হায় পূর্ব পাকিস্হানের নিরাপত্তা প্রশ্নটি জামায়াতের নিকট উদ্বেগের বিষয় ছিলো ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন