ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ২৬ জুন, ২০১৭

বাবা আমার স্পন্দনে!

বাংলাদেশ বার্তাঃ এক নিম্নবৃত্ত পরিবারের ছেলে মাহিম। জন্ম নেয় সে নিম্নবৃত্ত পরিবারে তাই তার সকল চাওয়া পাওয়া গুলো থেকে যায় অপূর্ণ, হয়ত বা কিছু হয় তাতে সে অনেক খুশি! আর এই হাঁসি খুশি থাকার একমাত্র কারন তার বাবা-মায়ের ভালোবাসা টুকু পায় পরিপূর্ণভাবে। তার বয়স এখন মাত্র চার বছর, এই চার বছরেই বয়ে যায় তার উপর চৌয়াল্লিস ধরনের দূর্যোগ। দূর্যোগ গুলোর বর্ণনা দেওয়াও আমার পক্ষে খুব মর্মান্তিক!তবুও একটু দেয়, যখন তার বয়স এক কি দেড় বছর তখন সে এক পুকুরের জলে পড়ে যায় নিয়তির লিখা ছিল তাই সেদিন সে বেঁচে গেছে। মাহিম সেদিনই এই পৃথিবীর ছেড়ে চলে যেতে পারত, কিন্তু যায় নি হয়ত সামনের যন্ত্রনা গুলো দেখার জন্য। অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, এই বয়সে তো ছেলে-মেয়েদের একলা কোথাও ছেড়ে দেওয়ার কথা না? আমিও মানলাম সেটা, কিন্তু বুঝতে পারছেন না তার পরিবারটি কি রকম।গ্রাম অঞ্চলে সাধারণত ছেলেদের বিয়ে দিয়ে কিছুদিন পর পরিবার তাদের আলাদা করে দেয়, গ্রামে বসবাসরত হলে খুব সহজে বুঝতে পারবেন ব্যাপারটি। এই মাহিমের বাবা-মার ক্ষেত্রে তা হয়েছিল। তাই তার মা একলা সংসারের কাজ সামলাতে গিয়ে মাহিম কে ছেড়ে দিয়েছিল, প্রতিদিনই ছেড়ে রাখত কাজের সময় টুকু। তবে কোনদিন পুকুর পাড়ে যায় নি আজ হয়ত ভাগ্য তাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল আবার ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে এটাই অনেক শুকরিয়া। জলে পড়ার কিছুদিন পর একবার তার ম্যালেরিয়া হয়েছিল হয়ত সে এই দরিদ্র পরিবারে স্বভাবিক খাবার পেত না।একবার উঠান থেকে পড়ে গিয়ে তার ছোট্ট কমল ঠোট টা দিয়ে অঝর ধারায় রক্ত ঝরে ছিলো। আরো অনেক আছে, আপতত এই গুলোই মাহিমের ছোট্ট জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু নির্মমতা।ও! একটা কথা বলতে ভুলেই গেছি সে দেখতে কেমন? চেহারাটা খুব একটা ফর্সা নয়, তবে সে রকম কালো নয় চোখে কেমন একটা অকাল্পনিক মায়া মায়া ভাব, দেহটা একটু সুঠাম ধরনের জন্মের সময় একটি সুস্থ শিশু যে রকম হয় আর কি। সব মিলিয়ে তার বাবা-মার কাছে সে এক চাঁদের কনা, লোক-জনের কাছে কি রকম জানি না। বয়স এখন তার চার বছর, মুখে অস্পষ্ট ভাষা কথাগুলো শুনতে খুব ভালো লাগে! তার প্রিয় বন্ধু তার বাবা মাঠ থেকে কাজ করে তার বাবা বাড়িতে ফিরলে আব্বু...আব্বু...আব্বু..। কথা না বল্লে আবার, আব্বু...আব্বু...আব্বু..!কলিজা জুড়ানো ডাক শুনে প্রচন্ড রৌদ্রে পোড়া দেহের ভিতর করা মন শীতল হয়ে যায়। তখন বাবা দুই একটা চুমু দিয়ে তারে ছেড়ে দেয়, মনে হয় সে এই টুকু নিতে এসেছে। আবার শুরু করে দেয় কাঁপা কাঁপা কন্ঠে অনেক কথা।বাবা মনে মনে ভাবে, হয়ত কোন ধনী ঘরে জন্ম নিলে অফিস থেকে ফিরত তার বাবা ব্যাগে অথবা হাতে থাকত অনেক দামি দামি চকলেট বা অন্য কিছু।তখন কাছে এসে ডাকতো, পাপ্পা, পাপ্পা! কাছে এসে জড়িয়ে ধরত, বাবা তখন দামি জিনিস গুলো দিত আর সে তা পেয়ে আনন্দে চলে যেত মার কাছে। কিন্তু আমার ছেলে তো এসব পায় না, তবু সে কিসের জন্য এতো কথা বলে আর কেনই বা আমি কোথাও থেকে আসা মাত্র ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে রাখে? কিছুই আমি জানি না! উপর ওয়ালায় সব ভালো জানে কি আছে এই ছোট্ট ছেলের মনে। মাঝে মাঝে নিজেকে বড় অপরাধী মনে হয়, কত জনই না কত কি করে ছেলের জন্য আর আমি কিছুই করতে পারি না একটা মাত্র ছেলের জন্য।২-দুপুরে গোসল সেরে খাওয়া শেষে বাবা ছেলে এক সঙ্গে শুয়ে গল্প শুরু করে দেয়। বাবার চেয়ে মনে হয় ছেলে বড় গল্পাকার। কি গল্পের ধরন! মনে হয় তার গল্পের কোন শেষ নায়। হঠাৎ...ছেলে: উহ..!বাবা: কি হলো বাবা তোমার? (হন্তদন্ত হয়ে)ছেলে: আব্বু এই উঁচু যায়গা টা আমার পিঠে লাগল।অজান্তেই চোখে জল চলে আসলো হাসান মিঞার এতো দিন যাবত সংসার করছে তবু ঘরে একটা চৌকি নায়, মাথা রাখার বালিসটা পর্যান্ত সেই পুরনো! মাটিতেই তিনি হিরার টুকরো টাকে রেখে দেন।বাবা: আব্বা এত নড়াচড়া করনা আর এত কথা বলতে হয়না ছোট ছেলেদের, ঘুমিয়ে পড়! (করুন স্বরে)ছেলে: আমি ছোট! আমি তো তোমার চেয়েও বড় (একটু বাবার বালিশের উপরে মাথা রেখে) দেখো এই তো আমি তোমার বড়।বাবা: হু, বাবা তুমি আমার মেলা বড় তুমি যে আমার বাপ।আমি তোমার বাপ! তাহলে কাল থেকে ঐ দাদূটাকে আব্বা বলে ডেক না! আমাকে আব্বা বল।বাবা: কেন বাবা? তোমাকে কি করেছে আমার আব্বা?ছেলে: আবার ঐ দাদুটাকে আব্বা বল্লে!বাবা: আচ্ছা আর বলব না কিন্তু কি বলে তোমার দাদু তোমাকে?ছেলে: আমি রাস্তায় খেলতে গেলে আমাকে ধমক দিয়ে বলে, ঐ ছেলে..! রাস্তায় যাওয়া হবে না ছেলে ধরায় ধরে নেবে। আচ্ছা বাবা তুমি বল তো আমি কি ছোট ছেলে যে, ছেলে ধরায় ধরে নিয়ে যাবে? আর ধরে নিয়ে যাবে কোথায়? তুমি তো ঐ রাস্তার পাশেই কাজ কর তাই না?এ রকমি তাজ্জব তাজ্জব কথা বলে চার বছরের মাহিম। কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়ে সে তার বাবার পাশে দেখে মনে হবে ঘুমিয়েও কথা বলে এই ছেলে।আর এ রকম ছেলে যদি বাবাকে ছেড়ে চলে যায় না ফেরার দেশে তাহলে তো বাবার পাগলের ন্যায় অবস্থা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই অবুঝ শিশুটিকে রেখে যদি বাবা চলে যায় না ফেরার দেশে তাহলে কি অবস্থা হবে একবার ভেবে দেখেছেন কি? হয়ত বা না তবে আমি আমার মত করে ভেবেছি যেখানে এই মাহিম এর বয়স মাত্র চার বছর আর এ পরিবারে তার বাবা প্রধান একদিন কাজ না করলে খাওয়া দাওয়ার টানা পড়ে। তবুও পরিবারটা অনেক সুখী ছিল এতোদিন। তবে বিধাতা বুঝি কাউরে সুখে রাখে না বেশি দিন এ ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম হয়নি। হঠ্যাৎ একদিন সুখের সংসারে অসান্তি ঢুকল, কারনটা অজানায় থাক।সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিয়ে হঠ্যাৎ একদিন মাহিমের বাবা-মা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল।৩-আজ অনেকদিন হয়ে গেল অনেক বড় হয়েছে মাহিম। বিয়ে করেনি এখনো তবে একটা বউ পেয়েছে তার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে, হাতে জলন্ত একটা সিগারেট। মেয়েটির কাছে অতীতের কাহিনি গুলো বলছে।অনেক সুখী ছিলাম আমি কিন্তু একদিন আমার বাবা-মার ভুল বোঝাবুঝি হয়, সেখান থেকে সৃষ্টি হয অনেক সমস্যা। কেউ হার মানতে রাজি হয় না, অবশেষে বাবা-মার ছাড়া-ছাড়ি হয়ে যায়। একটি বারের জন্য কেউ আমার কথা ভাবলো না, বাবা মা কে ছেড়ে চলে গেল আমাকে একবার শেষ আদরটা করে নি আমার বাবা। হয়ত মায়ায় পড়ে যাবে বলে।কিছুদিন পর মা আর চলতে না পেরে আরেকটা বিয়ে করে সেই নতুন বাবার কাছে আমি থাকতাম।নতুন বাবা যখন কাজ করে বাড়ি ফিরত তখন আমাকে আলাদা একটা ঘরে রেখে যেত, তাদের ঘরে যেতে দিত না। এভাবে দেখতে দেখতে কি ভাবে যেন হঠ্যাৎ একদিন আমি তাদের দরজার কাছে চলে গেলাম, দেখি দরজা খোলা আছে ভিতরে প্রবেশ করে তো আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। সেখানেই খুন করলাম দুইজন কে একবার ভেবেছিলাম একজন কে মারব কিন্তু না আমার মা কে যদি বাঁচিয়ে রাখি তাহলে সে আবার বিয়ে করবে, তখন আবার আমার চোখে এ রকম দৃশ্য পড়বে তাই দুইজন কে একসাথে শেষ করে দিলাম। কিন্তু একবার ভাবিনি যে এবার আমি নিজেই শেষ হয়ে যাব। সেই রাতেই ঐ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লাম নিরউদ্দ্যেশহীন পথে। হঠ্যাৎ একদিন বাবার সাথে দেখা তিনাকে দেখার পর অশ্রু ধরে রাখতে পারলাম না, আমাকে দেখে বাবা ও কেঁদে দিলেন। আর বল্ল বাবা তুমি এইখানে কেন?সব ঘটনা বাবাকে খুলে বল্লাম বাবা শুধু একটু মুচকি হাঁসল আমি কিছু বুঝলাম না।বাবা: তা এখন কিছু করছো?ছেলে: না, তবে কোন কিছু করার জন্যই এসেছি বাবা। কিন্তু কোন যায়গায় মিলছে না কোন কাজ অশিক্ষিত বলে।বাবা: তাহলে এখন চল বাবা আমার সাথে মনে হচ্ছে তুই কিছু খাস নি।গেলাম বাবার সাথে গিয়ে দেখলাম শহরের সবচেয়ে কুড়ে ঘরটা বাবার। ভিতরে ঢুকলাম ঘরে শুধু ঔষুধের প্যাকেট পড়ে আছে আমার মনে হয় কোন সুস্থ মানুষকে এতো ঔষূধ খাওয়ালে সে নির্ঘাত অসুস্থ হয়ে পড়বে। বাবা কে বল্লাম, বাবা এতো ঔষূধ কি তুমি খেয়েছো?বাবা: হ্যা রে বাপ, সারাদিন শ্রম দিয়ে যখন বাড়ি ফিরি তখন একটু ক্লান্ত মনে হয় তাই ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী এগুলো খেতে হয়।ছেলে: আচ্ছা বাবা কাল থেকে তোমার কাজ টা আমি করব।বাবা: তুই কেন এখন কাজ করবি তোর তো........বাবাকে থামিয়ে দিযে আমি বল্লামছেলে: যেখানে আমি এই কথা বলব আর বাবা তুমি বলছো এখন, বাবা-মা কে তো ছেলেরা এ বয়সে সেবা করে এতোদিন তুমি ছিলে না আর আজ যখন পেয়েছি তখন কি ছাড়া যায়। দয়া করে বাবা তুমি না করনা!বাবা: কাজ টা যে খুব কঠিন আছে।ছেলে: এ কি বলছ বাবা? ছেলেকে কাজ করতে দেবে না বলে বলছ কাজটা কঠিন, দেখ তোমার ছেলের কাছে সহজ লাগবে।৪-পরদিন কাজে গেলাম আমি। আসলেই কাজটা কঠিন একজন অর্ধ মাঝ বয়সি মানুষদের এমন কাজ করা মোটেও উচিৎ নয়। ভাবলাম কত গল্প শুনেছি যে, ছেলেরা বড় বড় চাকুরীওয়ালা হয়ে বাবা-মাকে বৃদ্ধা শ্রমে রেখে চলে যায়। কিন্তু আমি তো আমার বাবা কে এখানে রাখিনি তিনি নিজ ইচ্ছাই এসেছেন, লোকদের কাছে কি উত্তর দেয় আমি ঠিক জানি না। তবে এই টুকু বলতে পারি যে আমার বাবা বলতে পারবে না লোকদের কাছে, আমার ছেলে চাকুরীজীবী আর সেই চাকুরীর জন্য আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।তবে হ্যা, আমি যদি লিখা পড়া শিখতাম, আর যদি চাকুরী করতাম তাহলে বাবাকে তো ছাড়তাম না, সঙ্গে আরো অনেক অবহেলিত বাবাদের রাখতাম। আসলে যার ধন আছে তার মন নাই।মেয়েটির চোখের জল একফোটা মাহিমের হাতে পড়ল।মাহিম: এ কি সিমা তুমি কাঁদছো কেন? তুমি কাঁদলে তো আমি আর বাঁকিটুকু বলতে পারব না।মায়া: না, না, আর কাঁদব না তুমি বল! শুনতে কষ্ট হলেও অনেক ভালো লাগছে!কাজ শেষে বাড়ি ফিরে দেখি বাবা খাবার নিয়ে বসে আছে আমার জন্য।আমি: বাবা তুমি এখনো খাওনি?বাবা: আমি কি আমার ছোটন কে ছেড়ে খেতে পারি!আমি: আচ্ছা বাবা তুমি পরে আর বিয়ে কর নি কেন? আরেকটা বিয়ে করতে পারনি?বাবা: বিয়ে..! এমনি নিজেই চলতে পারি না আবার বউ চালাব কি করে? (কথাটা শুনে বাবা-ছেলে একটু হাঁসা হাঁসি করলাম)সেই ছাড়া-ছাড়ির পর বাবা আর বিয়ে করেনি। যায় হোক অনেকদিন পর বাবা-ছেলে একসঙ্গে ভালো কাবার খেলাম। বাবা বল্ল, তুই এসে আবার আমাকে নতুন করে সুখী করে দিলি (যদিও এতোক্ষন বাবা তুমি করে কথা বলছিল আমার সাথে) কোন কাজই করতে দিস না আর। কথাটি শুনে হৃদয় কম্পিত হলো, আমি বাবাকে সুখী করেছি! এ তো এক বড় পাওয়া যা ভাগ্যবান কারো ভাগ্যে জোটে। তবে বেশি সুখ যে কারো কপালে বেশিদিন থাকে না তার প্রমান আবার পেলাম। এইভাবে কাজ করে রোজ বাড়ি ফিরি বাবার সাথে খেয়ে গল্প করি, কিন্তু প্রায় পনের দিন পর কাজ থেকে বাড়ি ফিরে দেখি বাবা মৃত্যূ যন্ত্রনায় ছটফট করছে। অনেক বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু টাকা ছাড়া ডাক্তাররা দেখতেই চাননি। আমার কাছে তখন টাকাও ছিলো না তখন বুঝেছিলাম টাকাটা কত মূল্যবান। তবে মৃত্যূর আগ পর্যান্ত সন্তানের জন্য ভবিষৎ সুখ কামনা করে গিয়েছিলেন বাবা। এই হলো আমার স্বরল মনের বাবা যার প্রতিটি স্মৃতি আমার হৃদয়ে গাঁথা।মায়া কান্না জড়িত কন্ঠে বল্ল, পৃথীবির সমস্ত বাবারা সন্তানের জন্য এই রকম হয় না কি? মৃত্যূর আগ পর্যান্ত হৃদয়ের শেষ ভালোবাসা টুকু দিয়ে যায় সন্তান কে উজাড় করে। আরেক টা খাঁটি কথা বলেছিল, তাইত সকল বাবা সন্তানদের স্পন্দনে।আমি বলেছিলাম বাবা তো আমার স্পন্দনে।তখন মায়া আমায় একটা চিমটি কেটে বলেছিল না, না বাবা আমার স্পন্দনে!
সাইমুম চৌধুরী

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন