ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০১৭

আরব দেশের সরকারগুলো তাদের দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেনা


এখানে এই বিষয়টি খোলাসা করা খুবই দরকার যে, আরব দেশের সরকারগুলো তাদের দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেনা। আবার কোন দেশের সরকারের সমালোচনা করা মানে সে দেশের প্রতি অশ্রদ্ধা জ্ঞ্যাপন করা নয়। হেজাযের মুল্য আমাদের কাছে দুনিয়ার সব কিছুর চেয়ে বেশী। হেজায ইসলামের প্রাণকেন্দ্র। তার প্রেম ভালোবাসা আমাদের অন্তরে কোন দিন কমবে না। তবে তার মানে এই নয় যে, সেখানকার শাসকদের ভুলগুলো আমরা ধরতে পারবোনা। হেজায কারও বাপের সম্পত্তি নয়, এটি গোটা দুনিয়ার মুসলমানদের সম্পত্তি। অতএব, হেজায নিয়ে কথা বলার অধিকার আমাদের আছে। আর হেজায শাসন করার জন্য যে আল্লাহ তায়ালা সবসময় ফিরিশতা পাঠিয়েছেন তা নয়। ৬৩ হিজরিতে উমাইয়া খলীফা ইয়াজিদের নির্দেশে তিন দিন ধরে মদিনায় গনহত্যা চালানো হয়েছিল। মসজিদে নববীতে আযান দেওয়াও সম্ভব হয়নি। ৭৩ হিজরিতে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ মিঞ্জানিক দিয়ে পাথর মেরে কাবার দেয়াল গুড়ো করেছিল। ৩১৭ হিজরি থেকে নিয়ে ৩৬৩ হিজরি পর্যন্ত শিয়া ‘কারামিতা’ সম্প্রদায় হেজায শাসন করেছিল এবং কাবা থেকে হাজরে আসওয়াদ খুলে নিয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ ২২ বছর পরে তারা হাজরে আসওয়াদ ফিরিয়ে দিয়েছিল। ৩৩৬ হিজরি থেকে নিয়ে ৫৬৬ হিজরি পর্যন্ত দীর্ঘ ২০২ বছর ফাতেমী শিয়ারা হেজায শাসন করে। এখন কারামিতা আর ফাতেমীরা হেজায শাসন করেছে এই জন্য তাদের সমালোচনা করা যাবেনা এ কথা তো কেউ বলেনি। আর তাদের সমালোচনা করা মানে যে হেজাযবাসির অমঙ্গল কামনা করা তাও নিশ্চয়ই নয়। হেজাযের উপর যখন শকুনদের শ্যান দৃষ্টি পড়ে তখন তা আমাদেরকে বিচলিত করে। সেখানকার শাসকদের বিলাসিতা আর মসনদ প্রীতির কারণে যদি খায়বারের উপর ইহুদীরা আবার গরম নিঃশ্বাস ফেলার সাহস পায় তখন মুসলমান হিসেবে তা আমাদেরকে বিদ্রোহী করে তোলে।সবশেষে একটি কাহিনী দিয়ে কাতার ট্র্যাজেডি শেষ করি-একবার একদল শত্রু সেনা একটি গ্রামে হামলা করে। গ্রামের সব পুরুষকে হত্যা করে এবং নারীদেরকে সারা রাত ধরে ধর্ষণ করে। কিন্তু একটি ঘরে ঘটেছিলো ব্যাতিক্রম ঘটনা। ঐ ঘরে ছিল এক সাহসী যুবতী। সে তার ঘরে প্রবেশকারি সৈন্যটির সাথে লড়াই করে তাকে হত্যা করে। সকালে গ্রামের সব নারী যখন রাস্তায় বের হয়ে আসলো দেখা গেলো যে, সবার চুল এলোমেলো। পরনে ছেঁড়া কাপড়। মস্তক অবনত। কিন্তু তাদের মধ্যে একটি যুবতী মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আর তার হাতে একটি ছিন্ন মস্তক। গ্রামের মেয়েরা তাকে দেখেই হিংসায় জ্বলে উঠলো। একজন বলল – এই শয়তানী তো আমাদের মাঝে মাথা উঁচু করবে চলবে আর আমাদেরকে সারা জীবন ধিক্কার দেবে। তখন তারা সবাই বুদ্ধি করে একসাথে চিৎকার করে উঠলো – ধর হারামজাদীকে, সে সন্ত্রাসী। বেচারা নিরীহ সৈনিকটিকে সে হত্যা করেছে।আবেগি ভাষার জন্য ক্ষমা করবেন।
mohammad noman

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন