ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৭

এমপি লিটনের খুনিদেরকে আড়াল করতেই পরিকল্পিতভাবে জামায়াত শিবিরের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে -অধ্যাপক মুজিবুর রহমান


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  দুর্বৃত্তদের গুলিতে গাইবান্ধা-১ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন খুন হওয়ার পর খুনিদেরকে আড়াল করার হীন উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর দোষ চাপিয়ে গণহারে গাইবান্ধা, নীলফামারী, রংপুর ও লালমনিরহাট জেলায় জামায়াতের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ০১ জানুয়ারী ২০১৭ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “একজন এমপির বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনাই প্রমাণ করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কী সাংঘাতিক অবনতি ঘটেছে! অথচ সরকার ও দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অহরহ বলে বেড়াচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। আমি এ হত্যাকান্ডের নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের দাবি করছি। 

দেশে কোন ঘটনা ঘটলেই তার তদন্ত ছাড়াই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর দোষ চাপিয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনে অত্যাচার চালানো হয়। সরকার জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের ওপর আর কত অত্যাচার চালাবে? আমরা বারবার বলেছি জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তাই কোন হত্যাকান্ডের সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ত থাকার প্রশ্নই আসে না। প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার হীন উদ্দেশ্যেই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে এ সব বক্তব্য দেয়া হয়। অতীতে বারবার বিভিন্ন ঘটনার সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সম্পৃক্ত করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু কোন ঘটনাই আজ পর্যন্ত তারা প্রমাণ করতে পারেনি। 

আওয়ামী লীগের এমপি লিটন হত্যার পর সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও পলাশবাড়িসহ গাইবান্ধা, নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট জেলায় বাড়ি ঘরে হানা দিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রায় অর্ধশতাধিক নিরপরাধ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সুন্দরগঞ্জে জামায়াত সমর্থক ডা. আবদুল গাফ্ফারের দোকান এবং বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। অথচ এ ঘটনার সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমি আওয়ামী লীগ কর্মী এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নৃশংসতার তীব্র নিন্দা করছি এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি এবং গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের নিঃশর্তভাবে অবিলম্বে মুক্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে জনগণকেও এ ধরনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।” 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন