এমপি লিটন হত্যার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে রাজধানী থেকে ২ ছাত্রের গ্রেফতার নিয়ে তাদের পরিবার বিবৃতি প্রদান করেছেন। নিখোঁজ ছাব্বির আহমেদের মা রেবেকা বেগমের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ৪ জানুয়ারী দিবাগত রাত ২টায় ঢাকার বাড্ডা স্বাধীনতা স্মারণীর এক বাসা থেকে পুলিশ ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ ৩য় বর্ষের ছাত্র আশরাফুল ইসলাম, সাবেক জনপ্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম ও ছাব্বির আহমেদকে আটক করে। গ্রেপ্তারের পর আমরা বার বার তাদের সন্ধান চেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তুু তারা গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।’
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ‘৭ দিন গুম রাখার পর বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে র্যাব। একই সাথে আশরাফুল ইসলামকে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা সুস্পষ্ট মিথ্যাচার ছাড়া কিছু নয়। অপরদিকে এখন পর্যন্ত ছাব্বির আহমেদকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করা হয়নি। আমাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এমপি হত্যার তাদের সম্পৃক্ততার প্রশ্নই আসেনা। বরং এ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই এমপি লিটনের সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক সহচর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তাছাড়া সেচ্ছা সেবকলীগ নেতা আহসান হাবিব ও আওয়ামীলীগ নেতা আহসান হাবিব মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ যাদেরকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ স্পষ্ট করে গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন যে তারা এ হত্যার ব্যপারে এখন পরিবার ও রাজনৈতিক সহচরদের দিকেই নজর দিচ্ছেন। এমন অবস্থায় নিরপরাধ ছাত্রদের গ্রেপ্তারের পর বেআইনী ভাবে গুম রাখা, ৭ দিন পর হাজির ও একজনকে হাজির না করায় বিষয়টি ষড়যন্ত্রমূলক বলে মনে করি। আমরা আশঙ্কা করছি, আমাদের সন্তানরা অপরাজনীতির বলি হতে পারে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যপারে মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার, তাদের মুক্তি এবং গ্রেপ্তারকৃত ছাব্বির আহমেদের সন্ধান দিতে পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতি জোড় দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে আমরা জাতীয় মানবাধিকার সংস্থাসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কাছে আমাদের সন্তানদের ন্যায় বিচার পাবার অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি। আমাদের সন্তানদের জান মালের কোন ক্ষতি হলে তার দায়ভার সরকার ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই নিতে হবে। আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।’ বিজ্ঞপ্তি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন