বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, আদর্শীক পন্থায় সকল সম্ভাবনাকে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধ দেশ গঠন ছাত্রশিবিরের লক্ষ্য। একই সাথে তা জাতির প্রত্যাশা। সকল প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করে ছাত্রশিবির জাতির প্রত্যাশা পূরণে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে যাবে।
তিনি আজ ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর ও মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত সদস্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর শাখা সভাপতি তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সহ-সেক্রেটারী অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তরের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তরের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন মাহমুদ এবং মহানগরী দক্ষিণের সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ শোয়াইব।
শিবির সভাপতি বলেন, জাতির এক ঐতিহাসিক প্রয়োজনে ছাত্রশিবিরের পথ চলা শুরু হয়েছিল। এ দীর্ঘ পথ চলার প্রতিটি বাকে বাকে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদেরকে সিমাহীন ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। অকালে ঝড়ে গেছে হাজারো সম্ভাবনা। যা এখনো অব্যাহত আছে। কিন্তু ছাত্রশিবিরের এই ত্যাগ বৃথা যায়নি। এই প্রচেষ্টা জাতিকে একটি সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় দূর্জয় কাফেলা উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে। ছাত্রশিবিরের পতাকা তলে আজ লাখো তরুণ সৎ, যোগ্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে দেশ গঠনের মাধ্যমে জাতির প্রত্যাশা পূরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যত বাধাই আসুক না কেন, ছাত্রশিবির তার লক্ষ্য থেকে পিছু হটবেনা। জাতির প্রত্যাশা পূরণে ছাত্রশিবির তার ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে যাবে। এই আদর্শিক পথ চলায় সহযোগির ভূমিকা পালন করতে আমরা দেশের ছাত্র-জনতার প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক বাস্তবতা হলো সত্য ও ন্যায়ের পথ মসৃন নয়। আমরা এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়ার ব্যপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ছাত্রশিবির তার পথ চলায় প্রতিটি প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করেছে আদর্শ আর চারিত্রিক শক্তি দিয়ে। এখনো তার ব্যতিক্রম হবে না। আমরা বিশ্বাস করি বাতিল পন্থা সময়ের ব্যবধানে আদর্শিক শক্তির কাছে অবশ্যই পরাজিত হবে। সুতরাং নতুন বছরে নতুন উদ্যামে ঈমানের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, ছাত্রশিবির আজ এক বিশাল কাফেলায় পরিণত হয়েছে কিন্তু লাখো ছাত্র পথহারা বা বিপথে ডুবে আছে। তাই চারিত্রিক ও আদর্শিক শক্তি দিয়ে ছাত্রসমাজকে কুরআনের আলোকে সাজানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আর কুরআনের আলোকে আগামী প্রজন্ম গঠন করতে পারলেই জাতির প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন