ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬

আমাদের সন্তানরা কি এ+ নির্যাতনের শিকার?

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ   এবারের পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় যারা কৃতকার্য হয়েছে তাদের সবাইকে অভিনন্দন। আমার মেয়ে নাবিলাও জেএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছে। পিএসসি’তে এ+ এবং ক্লাসে সবসময় ফাস্ট থাকায় সবাই আশা করেছিল জেএসসিতে সে গোল্ডেন এ+ পাবে। তবে আমি তা মনে করিনি। কারণ পরীক্ষা চলাকালীন সে মারাত্মক অসুস্থ ছিল। সে পাশ করতে পারবে কিনা তা নিয়েই আমি সন্দিহান ছিলাম। তাছাড়া এ+ পেতেই হবে এমন তো কোন কথা নেই। ভাল রেজাল্ট করলে ভাল, তবে খারাপ করলে তিরস্কার করা উচিৎ নয়। তাদের জীবনের পরবর্তী পরীক্ষাগুলোই বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
নাবিলা পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৯০ পাওয়ায় বাসায় মিষ্টি নিয়ে এলাম। পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ক’জন সদস্য মিষ্টি দেখে রেগে গেলেন; বললেন “মিষ্টি কেন? ও কি এ+ পেয়েছে? লজ্জায় কারো সাথে তো কথাই বলতে পারছি না… ইত্যাদি… ইত্যাদি”। আমি বল্লাম, "লজ্জা কিসের? তোমরা কি ভুলে গিয়েছ ওর অসুস্থতার কথা। ওর জিপিএ ৪.৯ আমার কাছে গোল্ডেন এ+ এর চেয়েও বেশী…।“ কথাগুলো বলে মেয়েকে নিজ হাতে মিষ্টি খাওয়ালাম এবং তার কপালে চুমু খেলাম। মেয়ের চোখের কোণে পানি দেখে আমিও চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমার মতো অনেক বাবা মা-ই হয়তো মাঝে মাঝে কাঁদেন। সন্তানদের মানুষ করার যুদ্ধে অনেকেই হয়তো আহত বা পরাস্থ।
বাবা-মা হিসেবে আমাদের ছেলে-মেয়েরা ভাল কিছু করলে আমরা খুব খুশী হই। তা অত্যন্ত স্বাভাবিক। তাই বলে সব সময় ভালই করতে হবে এমন আশা করা কি সমীচীন? শতকরা প্রায় দশভাগ সন্তান যারা এবারের জেএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছে তাদের বাবা-মাও তো তাদের সন্তানদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। আমাদের জানা দরকার, আমাদের সন্তানদের ভাল ফলাফল শুধু আমাদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করেনা। তা নির্ভর করে তাদের লেখাপড়া ছাড়াও তাদের প্রতি সামগ্রিক যত্নশীলতার উপর, তাদের মন মানসিকতার উপর, তাদের সুস্থতা-অসুস্থতার উপর এবং সর্বোপরি মহামহিম প্রভুর উপর।
আমার দৃষ্টিতে, বর্তমানে সারা দেশে আমাদের কোমলমতি সন্তানদের উপর জিপিএ ৫ তথা এ+ নির্যাতন চলছে। যে করেই হউক এ+ পেতে হবে। যেন জিপিএ ৫’ই সবকিছু। অথচ ভালো জিপিএ না পাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার সংবাদ আমাদের অজানা নয়। আমি মনে করি, আমাদের উচিৎ আমাদের সন্তানরা কতোটুকুন আদব-কায়দা শিখলো, দেশপ্রেমে জাগ্রত হলো, নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলো তথা চরিত্রবান হলো তার উপর বেশী জোর দেয়া। ভালো মানুষ তৈরিই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ, কেবল ভালো জিপিএ নয়। সামগ্রিক গুণে গুণান্বিত হয়ে যারা এ+ পাবে তারাই তো সত্যিকার অর্থে সফল-তাই না?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন