ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৭

পৃথিবীতে নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করেছে ‘ইসলাম’


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ   রাসূল (সঃ) উমরাহ শেষে মদীনায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় একটি বাচ্চা মেয়ে চাচা, চাচা বলে আল্লাহর রাসূলের দিকে দৌড়ে এল। বাচ্চা মেয়েটি ছিল রাসূল (সঃ) এর চাচা হামযা (রাঃ) এর মেয়ে। হযরত আলী বাচ্চাটিকে কোলে তুলে নিলেন।
সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন হযরত জাফর, যায়েদ এবং ফাতিমা (রাঃ)। এতিম বাচ্চাটিকে নিজের হাওলায় নেওয়ার জন্য তারা পরস্পর ঝগড়া শুরু করে দিল। হযরত আলী বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! বাচ্চাটিকে আমি প্রথম কোলে তুলে নিয়েছি। অতএব বাচ্চাটি আমারই প্রাপ্য।
হযরত জাফর বললেন, বাচ্চাটির বেশি হকদার আমি জাফর। কারণ তার বাবা আমার চাচা। তাছাড়া, ওর খালাকেও আমি বিবাহ করেছি। হে আল্লাহর রাসূল! বাচ্চাটিকে আমার হাওলায় দিন। হযরত যায়েদ বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! বাচ্চাটির বাবা আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। সেই বন্ধুত্বের খাতিরে বাচ্চাটিকে আমার নিকট দিন। তাদের পরস্পরের ঝগড়া দেখে রাসূল (সঃ) স্বভাবসুলভ মুচকি হাসি দিলেন। তারপর বাচ্চাটিকে জাফর (রাঃ)কে দিলেন। কারণ, জাফরের ঘরে ছিল বাচ্চাটির খালা। মায়ের পরে খালাই হয় সবচেয়ে আপন। সুবহান আল্লাহ।
যে আরবরা পূর্বে মেয়ে বাচ্চাদের সহ্যই করতে পারতো না! তাদেরকে জীবন্ত কবর দিত তারাই কিনা আজ মেয়ে বাচ্চা লালন পালনের জন্য ঝগড়া করছে। আর ঝগড়া করার কারণ কি জানেন? তাহলে আল্লাহর রাসূলের (সঃ) ওয়াদাটুকু স্মরণ রাখুন। “যে ব্যক্তি দু’কন্যা প্রতিপালন করল। এমনকি তারা উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক এবং যুবতী হয়ে গেল। কেয়ামতের দিন সেই পিতা এমনভাবে অবস্থান করবে যে, সে এবং আমি এ দু’আঙ্গুলের মতো একসাথে হবো। রাসূল (সঃ) নিজের আঙ্গুলগুলোকে মিলিয়ে দেখালেন”। (সহীহ মুসলিম)
সুবহান আল্লাহ! ইসলাম নারীদেরকে এত্তো সম্মানিত করেছে যা অভাবনীয়। অথচ আজকের তথাকথিত আধুনিকরা বলছে, ইসলাম নারীদেরকে বেইজ্জতি করেছে। তাদের পায়ে শিকল পরিয়ে দিয়েছে। আর ইসলাম সেই কাজটি করেছে পর্দার বিধানের মাধ্যমে। পর্দা যে শিকল নয় নারীর অধিকার সে কথা ধর্মবিশ্লেষকরা নির্দিধায় স্বীকার করে নিবেন। এমনকি প্রধান সব ধর্মেই পর্দার বিধান ছিল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখায় পাবেন হিন্দুদের পর্দার ব্যবস্থার বর্ণনা। একসময় হিন্দুরা এত্তো কঠোর পর্দা পালন করত , যে পালকীতে বাড়ির বউকে নিয়ে যাওয় হতো সেই পালকীটাকেও মোটা কাপড় অধবা কাঁধা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হতো। খৃষ্টান ধর্মেও পর্দার বিধান রয়েছে। এসব হাটু বের করা ইস্কার্ট খৃষ্টান ধর্মেও হারাম। কিন্তু নারী লোভী এক শ্রেণীর মানুষদের কারণে সেইসব ধর্ম থেকে পর্দার চ্যাপ্টার গায়েব করে দেওয়া হয়েছে।
যেকোন বুদ্ধিসম্পন্ন এবং বিবেকবান নারীই বুঝতে পারবেন,পর্দা কোন শিকল নয় বরঞ্জ অধিকার। পর্দা সম্মান হানিকর নয়,বরঞ্জ নিজেকে অধিক সম্মানিতা করবার উত্তম পন্থা। ইসলাম নারীকে বন্দি করেনি। বরঞ্জ এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করেছে ‘ইসলাম’। 

মাসুদ পাভেজ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন